User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Valo. tobe jara motivation type book pochondo koren na tader kena thik hobe na.
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদক বইটির আক্ষরিক অনুবাদ করেছেন।তাতে বইটি সুখপাঠ্য হয়ে উঠেনি। তবে বইটির অন্তর্নিহিতভাবটি বুঝে নিতে সমস্যা হয়না। আমাদের দেশের সার্কাসদলে যে কসরতগুলো দেখানো হয় তার অনেকগুলোতেই সার্বক্ষণিক মৃত্যুঝুঁকি থাকলেও এই দুর্ঘটনা কিন্তু ঘটেনা। তীব্র মানসিক আকাঙ্ক্ষা ও একাগ্রতাই সার্কাস বালিকাদের এই দক্ষতা এনে দেয়। বইটির শিক্ষাও ঠিক তাই। বইটির দার্শনিকভাবনা হোল সুফিমতাবাদের দর্শন বা ভারতীয় অদ্বৈত্ববাদী দর্শন। যা হোল মানুষ নিজেই বিশ্বপ্রকৃতি বা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের একাংশ। যে ঐক্যতানে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড চলছে সেই ধ্বনিত শুরে মানুষ অনুরণিত হচ্ছে। পরমাত্মা জীবাত্মাতেই বিরাজ করছেন। তাই সমগ্র বিশ্বপ্রকৃতি কোন মানুষের সৎইচ্ছার বাস্তবায়নে তো বাঁধার সৃষ্টি করেইনা বরঞ্চ তাতে সর্বোতভাবে সহায়তা করে থাকে। এজন্যই সৎ আকাঙ্খা নিয়ে যারা কোন উত্তম সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্যে একাগ্রচিত্তে অগ্রসর হয় তারা তাদের অভিষ্ট গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়না। উদাহরণ - বঙ্গবন্ধু, প্রফেসর ইউনুস, নেলসন ম্যান্ডেলা, স্টিফেন হকিঙস, নিউটন আইনস্টাইন লেনিন মাওসেতুং বিলগেটস বারাকওবামা ইলনমাস্ক সহ আরো অনেক সফল ব্যক্তিত্ব।।
Was this review helpful to you?
or
"দি আলকেমিস্ট" – স্বপ্ন, ভাগ্য ও আত্মঅনুসন্ধানের এক জাদুকরী যাত্রা কিছু বই শুধু গল্প বলে না, তারা পাঠককে জীবনের গভীরতম সত্য উপলব্ধি করায়। পাওলো কোয়েলহোর "দি আলকেমিস্ট" ঠিক তেমনই এক বই, যা শুধুমাত্র একটি চরিত্রের যাত্রা নয়—এটি প্রত্যেক পাঠকের ব্যক্তিগত স্বপ্ন, বিশ্বাস, আর প্রতিজ্ঞার প্রতিচ্ছবি। এই বইটি এক রাখাল ছেলের স্বপ্নকে সত্যি করার সাহস এবং বিশ্বের গূঢ় ভাষা বোঝার এক রোমাঞ্চকর অভিযানের গল্প। এটি শেখায়—"যখন তুমি হৃদয়ের গভীর থেকে সত্যিই কোনো কিছু কামনা করো, তখন সমগ্র মহাবিশ্ব তোমার আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে আপন শক্তি ও সম্ভাবনার দরজা উন্মুক্ত করে দেয়।" গল্পের সংক্ষিপ্তসার: এক স্বপ্নযাত্রার শুরু - সান্তিয়াগো—স্পেনের আন্দালুসিয়ার এক সাধারণ রাখাল ছেলে, যার জীবন কাটে সবুজ মাঠ আর নীল আকাশের নিচে। কিন্তু তার হৃদয়ের গভীরে লুকিয়ে আছে এক অজানা তৃষ্ণা, এক অদ্ভুত স্বপ্ন, যা বারবার তার ঘুমে এসে বলে—মিশরের পিরামিডের কাছে এক গুপ্তধন লুকিয়ে আছে, যা শুধু তার জন্য অপেক্ষা করছে! প্রথমে সে দ্বিধান্বিত হয়—এ কি শুধুই কল্পনা? নাকি সত্যিই তাকে এই অজানা পথে পা বাড়াতে হবে? তারপর এক জিপসি বুড়ির সাথে দেখা হয়, যিনি বলেন, "তোমার স্বপ্ন সত্যি। কিন্তু তা খুঁজে পেতে হলে যাত্রা শুরু করতে হবে।" এরপর এক রহস্যময় বৃদ্ধ তার সামনে হাজির হন এবং বলেন সেই বিখ্যাত লাইন— "যখন তুমি তোমার অন্তরের ডাকে সাড়া দাও, তখন সমগ্র বিশ্ব তোমার পাশে এসে দাঁড়ায়।" সান্তিয়াগো তার ভেড়ার পাল বিক্রি করে তার স্বপ্নপথে যাত্রা শুরু করে। সে আফ্রিকায় পৌঁছায়, কিন্তু প্রথম ধাক্কাতেই তার সমস্ত টাকা চুরি হয়ে যায়! হতাশ হয়ে সে ভাবে—ফিরে যাবে কি? কিন্তু তখনই এক স্ফটিক ব্যবসায়ী তাকে শেখায়—জীবনে বাধা এলেও এগিয়ে যেতে হয়। এইভাবে, একে একে সান্তিয়াগো জীবনের প্রতিটি নতুন বাঁকে নতুন নতুন শিক্ষা লাভ করতে থাকে। আলকেমিস্টের শিক্ষা: যাত্রার চূড়ান্ত ধাপ - মরুভূমির পথে সান্তিয়াগোর দেখা হয় এক ইংরেজ অভিযাত্রীর সাথে, যে আসল আলকেমিস্টকে খুঁজছে। এই অভিযাত্রী থেকে সে শেখে যে জীবন এক রহস্যময় সংকেতের খেলা, আর প্রকৃতির ভাষা বোঝাই হলো প্রকৃত জ্ঞান। অবশেষে, সে এক আসল আলকেমিস্টের দেখা পায়, যিনি তাকে শেখান— বিশ্বের সবচেয়ে বড় সত্য হলো "নিজের হৃদয়ের ভাষা বোঝা"। "ভয়ই আমাদের একমাত্র বাধা। যদি তুমি সাহস কর, তবে বিশ্ব তোমার পাশে থাকবে।" "স্বপ্নের পথ কখনোই সহজ হয় না, তবে যারা সত্যিকারের চেষ্টা করে, তারা শেষ পর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছায়।" মরুভূমির পথে চলতে চলতে সান্তিয়াগো শিখে যায়, বিশ্বাসই হলো সবচেয়ে বড় শক্তি। - এই বই এত জনপ্রিয় কেন? "দি আলকেমিস্ট" কেবল একটি গল্প নয়, এটি এক আত্মঅনুসন্ধানের দর্শন। এটি এমন একটি বই, যা পাঠকের মনে আলো জ্বালিয়ে দেয়, তাকে তার স্বপ্নের দিকে ঠেলে দেয়। এটি আমাদের শেখায় যে ভাগ্য বলে কিছু নেই—আমরাই আমাদের ভাগ্য তৈরি করি। এটি বলে, পৃথিবী আমাদের দিকে সংকেত পাঠায়, শুধু আমাদের তা বোঝার ক্ষমতা থাকা দরকার। এটি আত্মবিশ্বাস আর ধৈর্যের এক অপূর্ব পাঠ, যা প্রতিটি বয়সের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। যারা জীবনে নতুন কিছু করতে চায়, কিন্তু ভয় বা অনিশ্চয়তা তাদের পেছনে টানে, তাদের জন্য এই বই একটি জীবন্ত অনুপ্রেরণা। - কেন পড়া উচিত? ✔️ আপনার যদি জীবনে কোনো স্বপ্ন থেকে থাকে, তবে এটি আপনাকে সেই স্বপ্নের পথে হাঁটতে শেখাবে। ✔️ এই বই আপনাকে ভেতর থেকে বদলে দেবে, কারণ এটি আত্মবিশ্বাসের শক্তি দেখায়। ✔️ আপনি যদি কখনো মনে করেন, "আমি কি সত্যিই পারব?"—তাহলে এই বই পড়ুন। উত্তর নিজেই পেয়ে যাবেন! - শেষ কথা: স্বপ্ন দেখুন, যাত্রা করুন! "দি আলকেমিস্ট" শুধুই একটি গল্প নয়, এটি আমাদের নিজেদের বিশ্বাস, স্বপ্ন, এবং ভাগ্যের প্রতি আস্থাশীল হতে শেখায়। সান্তিয়াগোর যাত্রার মাধ্যমে আমরা শিখি—আমাদের সত্যিকারের গুপ্তধন বাইরের কোথাও নেই, তা লুকিয়ে আছে আমাদের নিজেদের মধ্যেই। একবার পড়তে শুরু করলে এই বই আপনার মন বদলে দেবে, জীবন বদলে দেবে! আপনি কি প্রস্তুত আপনার স্বপ্নের পেছনে ছুটতে? যদি হন, তবে "দি আলকেমিস্ট" আপনার সঙ্গী হতে পারে। ।।দি আলকেমিস্ট।। লেখক: পাওলো কোয়েলহো প্রকাশ কাল : ১৯৮৮ অনুবাদক: ফুয়াদ আল ফিদাহ প্রকাশনী: চিরকুট
Was this review helpful to you?
or
“...ভবিষ্যতের সব রহস্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে বর্তমানের লক্ষণে। তাই বর্তমানের দিকে নজর দিলে উন্নতি করা যায়। আর উন্নতি সঙ্গে করে নিয়ে আসে আনন্দময় ভবিষ্যৎ। তাই বলি, ভুলে যাও সামনে কী হবে সেই চিন্তা। প্রতিটা দিন কাটাও স্রষ্টার আদেশ মান্য করে।....প্রতিটা দিন তাই সঙ্গে করে নিয়ে আসে অসীম সম্ভাবনা। ” আন্দালুসিয়ার রাখাল বালক সান্তিয়াগো। বলতে গেলে একপ্রকার নিজেই সে রাখাল হয়েছে। তার পিতামাতা চেয়েছিল তাকে যাজক বানাতে। কিন্তু সান্তিয়াগো নিজের জীবনের লক্ষ্য পেয়ে গিয়েছিল। জানতে পেরেছিল যে, পৃথিবী ভ্রমণেই তার সুখ। এই ধরণীকে দুচোখ ভরে দেখাই তার জীবনের লক্ষ্য। কিন্তু গরীব ঘরের সন্তানদের তো এসব লক্ষ্য হওয়া উচিত না! সান্তিয়াগোর পিতা তার লক্ষ্যের কথা শুনে খানিক ব্যর্থ বোঝানোর চেষ্টা করলেন। শেষ পর্যন্ত সান্তিয়াগোর ভবিষ্যতের জন্য জমিয়ে রাখা কিছু অর্থ তার হাতে তুলে দিয়ে বিদায় দিলেন। এই অর্থ দিয়ে সান্তিয়াগো অনেকগুলো ভেড়া কিনল। কারণ ভ্রমণ করার জন্য এসময় রাখাল হওয়ার থেকে ভালো কিছুই নেই। শুধু ভেড়ার পালের খাবার আর পানির ব্যাপারটা দেখলেই হল। এভাবেই সান্তিয়াগো হল রাখাল বালক। একদিন রাতে হঠাৎ ভাঙা গির্জায় শুয়ে থাকতে থাকতে সে দেখে অদ্ভুত স্বপ্ন। শুধু সেদিন না, পরপর দুদিন একই স্বপ্ন দেখল সে। পিরামিডের কাছে কোনো এক জায়গায় গুপ্তধন লুকনো আছে। ততদিনে রাখাল বালক ভ্রমণ করে, বই পড়ে প্রকৃতির ভাষা একটু একটু পড়তে শিখেছে। সেও বুঝতে পারে, কোনো এক সত্ত্বা চাচ্ছে তাকে তার নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিতে। হলোও তাই। সেই গুপ্তধন খোঁজাই হল তার জীবন-মরণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। চাইলেই তো আর পিরামিড পৌঁছানো যায় না। এরজন্য পাড়ি দিতে হবে অজানা পথ, এলাকা। রাখাল বালকের ধারণাও নেই পিরামিড কেমন বা কোথায় অবস্থিত। হাতে পর্যাপ্ত পয়সা কড়িও নেই। তবে উপায়? বৃদ্ধ সালেমের রাজা বলেছিল — “যখন মানুষ সর্বান্তকরণে কিছু একটা পেতে চায়, তখন মহাবিশ্বের প্রতিটি কণা লেগে পড়ে সেই চাহিদা মেটাবার যোগসাজশে!” ◼️ পাঠপ্রতিক্রিয়া : দি আলকেমিস্ট বইটা নিয়ে নতুন করে বলার মতো কিছু নেই। অত্যন্ত পাঠকপ্রিয় ও পরিচিত একটা বই। যার পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় রয়েছে জীবনের লক্ষ্য অর্জনের উপদেশ, উপায়। আমার পড়া অন্যতম সেরা একটা বই। কেন সেরা, তা বলছি। যদি বাহ্যিকভাবে বইয়ের কাহিনীর প্রতি লক্ষ্য করেন, তাহলে গল্পটি খুবই সাধারণ প্লটের। একজন রাখাল বালক তার লক্ষ্য অর্জনের দিকে ছুটে চলছে। কিন্তু এই বইটা সে-সকল পাঠকদের জন্য নয়, যারা কিছু পড়ে চিন্তা করে না। এই বই পড়তে হলে আপনাকে ভাবতে হবে, চিন্তা করতে হবে। প্রতিটি বাক্যকে নিজের মধ্যে আত্মস্থ করতে হবে। আমার পরিচিত এক ভাই বলেছিলেন, বইটা পুরোপুরি উপলব্ধি করতে চাইলে স্পিরিচুয়াল ব্যাপারে জ্ঞান থাকা জরুরি। কথাটা কতটুকু সত্য আমি জানি না। তবে এই গল্প আত্মোপলব্ধির প্রতি আগ্রহ জাগায়। বেশ কিছু জায়গায় অলৌকিক কর্মকাণ্ড হতে দেখা যায় কিন্তু সেসবই লেখক কৌশলগতভাবে ব্যবহার করেছেন। সেসব বিষয় বাস্তবসম্মত নয় বটে কিন্তু এর মধ্যে প্রচুর চিন্তার খোরাক রয়েছে। এককথায় বলতে গেলে এই গল্পে দর্শনের অভাব নেই। প্রতিটা দর্শনই চিন্তার খোরাক জোগায়। আর নিঃসন্দেহে নিজের জীবনের লক্ষ্য অর্জনের প্রতি মনকে দৃঢ় করে তোলে। আমার মনে একটা বাক্য গেঁথে গিয়েছে —“যখন মানুষ সর্বান্তকরণে কিছু একটা পেতে চায়, তখন মহাবিশ্বের প্রতিটি কণা সেই চাহিদা মেটাবার যোগসাজশে লেগে পড়ে।” বলতে গেলে এই বাক্যের উপরই পুরো গল্পটি জড়িত। মজার ব্যাপার হল গল্পে রাখাল বালক তার ভালোবাসার পাত্রীকে খুঁজে পায়। আর এই গল্পে সেই পাত্রীকে আমি আলাদা খুঁজে পেয়েছি। প্রকৃত ভালোবাসার প্রয়োজনীয়তা খানিক উপলব্ধি করেছি। গল্পের ভেতরকার দর্শন, বিষয়গুলোর বাইরে বের হয়ে বাইরের গল্পটাও বেশ উপভোগ্য। ভিতরের বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা না করলেও খালি চোখে অবশ্যই রাখাল বালকের লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা, তদবির চোখে পড়বে। এই বইটা আমি তুলে রাখব না। বারবার পড়ব৷ কখনো লক্ষ্য অর্জন থেকে পিছিয়ে পড়ছি বলে মনে হলেই এই বইয়ের পৃষ্ঠায় চোখ বোলাব। বইয়ের চরিত্রগুলোও যেন মনে গেঁথে গিয়েছে। বৃদ্ধ সালেমের রাজা, স্ফটিকের দোকানদার, জিপসি বুড়ি, মরুর মেয়ে ফাতিমা, আর আলকেমিস্ট। আলকেমিস্টের নামে মনে পড়ল, গল্পের মূল জিনিসটাই তো এই আলকেমি বা আলকেমিস্টকে ঘিরে। সেটা নাহয় গল্পে গল্পেই জানলেন। রিভিউতে বোঝানো সম্ভব না। অনুবাদ নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। আমি আগে থেকেই ঠিক করে রাখছিলাম যে এই বইয়ের অনুবাদ পড়লে ফুয়াদ ভাইয়েরটাই পড়ব। অনুবাদক হিসেবে উনার ভালোই পরিচিতি আছে৷ পুরো বইতেই সহজ ও সাবলীল ভাষার ব্যবহার হয়েছে। কিছু জায়গায় হয়ত কঠিন শব্দের ব্যবহার মনে হতে পারে কিন্তু মূল বইয়ের ভাবার্থ বা উৎকৃষ্ট অর্থ বোঝানোর জন্য সেগুলোই উপযুক্ত। কিছু টাইপ মিস্টেক রয়ে গেছে। তাছাড়া সব ঠিকঠাক। আর চিরকুটের প্রোডাকশন নিয়ে আলাদা করে বলতে হবে? টপনচ! সবশেষে, বইটি পড়তে গিয়ে অনেক বিষয় বোধগম্য না হতে পারে। আমিও যে সবটা বুঝেছি, তাও না। তবে প্রতিটা বাক্য উপলব্ধির চেষ্টা করেছি। এই গল্প আমাকে জীবনে নতুন করে চলতে শিখিয়েছে, লক্ষ্য অর্জনের দিকে ছুটতে শিখিয়েছে। আবার পড়ব, বুঝব, উপলব্ধি করব.... ব্যক্তিগত রেটিং : ৫/৫ বই : দি আলকেমিস্ট লেখক : পাওলো কোয়েলহো অনুবাদক : ফুয়াদ আল ফিদাহ প্রকাশনী : চিরকুট মুদ্রিত মূল্য : তিনশত টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৬০
Was this review helpful to you?
or
Alhamdulillah hate pelm, delivery service khub valo legeche , onk fast delivery. Boi er quality o besh valo, onubad shundor. Boi ti na pore thakle pore felun,valo lagbe asha kori.
Was this review helpful to you?
or
বইটা অনেক ভালো লাগছে পড়ে!
Was this review helpful to you?
or
মটিভেটেড
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব ভালো লাগলো পড়ে
Was this review helpful to you?
or
দারুন একটা বই👍
Was this review helpful to you?
or
"মানুষ যখন সর্বান্তকরণে চায় কিছু একটা পেতে, মহাবিশ্বের প্রতিটি কণা যোগসাজশে লেগে পড়ে সেই চাহিদা মেটাতে" -দি আলকেমিস্ট স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদানের পথে বরাবরই কিছু বাধা আসে, আর সেগুলোকে অতিক্রম করতে পারলেই স্বপ্নকে ছোঁয়া যায়। কেউ তাতে দমে যায় আবার কেউ সেই বাধাগুলি থেকেই শক্তি সঞ্চয় করে যাত্রাপথে এগিয়ে চলে। আমাদের সবার উচিত অন্তরাত্মার কথা অনুসরণ করা। যা স্বয়ং ঈশ্বরের আশীর্বাদ। যখন কোনো কাজ আমাদের ভীষণ আনন্দ দেয়,বুঝতে হবে সেটিই অন্তরাত্মার দেখানো পথ। যে পথটি চিনতে পারে তার চেয়ে সৌভাগ্যবান আর কেউ নেই। আন্দালুসিয়ার রাখালবালক সান্তিয়াগোর যাত্রাও শুরু হয় স্বপ্নে দেখা গুপ্তধনের খুজে। পাড়ি জমায় অচেনা-অজানা এক সম্ভাবনাময় পথে।সেই পথে তার দেখা মেলে জিপসি বুড়ি আর সালেমের রাজার সাথে,যারা তাকে সঠিক পথ খুঁজতে সাহায্য করে। সেই জানে না, এই যাত্রায় তার জন্য অপেক্ষমাণ ওর জীবনের লক্ষ্য। কিন্তু জীবনের মানেই যে কুহেলিকা । খুব সহজেই কি সেই রহস্যের সমাধান মেলে? সেই জীবনরহস্য উন্মোচনে তাকে তিলে তিলে তৈরী করতে পথে আসে নানান বাধা।যেনো সৃষ্টিকর্তার নির্দেশেই হচ্ছে সব। জীবনের রহস্যটা হলো, "সপ্তমবার ভূপাতিত হওয়ার পরও অষ্টমবারের মতো উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা"। সে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে চলে। কিন্ত শেষপর্যন্ত সান্তিয়াগো কি পারবে সে রহস্য উন্মোচন করতে, পাবে কি সেই গুপ্তধন? নাকি ভালোবাসা বাধা হয়ে দাঁড়াবে তার লক্ষ্যের পথে? লেখক বইয়ের শুরুতেই সুস্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন স্বপ্ন কি। স্বপ্নের পথে কেন সবাই এগুতে পারে না,সেই বাধা-বিপত্তির কথাও তুলে ধরেছেন। চিনিয়ে দিয়েছেন সেগুলো থেকে পরিত্রাণের উপায়। কারণ বইটিও যে লেখকের তেমনি এক সফলতার প্রমাণ। বইটির প্রারম্ভে আলকেমিস্টের পড়া ছোটগল্পটি যেন সুক্ষ্ম জীবনদর্শনের প্রমাণ। গল্পটি যেন বই পড়ার ইচ্ছেটাকে দ্বিগুণ,তিনগুণ… শতগুণ বাড়িয়ে দেয়। তারপর শুরু হয় গল্পের নায়ক সান্তিয়াগোর ভ্রমণ,আর সেই পথে যেন সান্তিয়াগোর নিঃশব্দে চলা সঙ্গী হই আমি। প্রতিটি পদক্ষেপে সান্তিয়াগোর সাথে অন্তরাত্মার কথা আমিও শুনতে পাই। সান্তিয়াগোর অতিক্রম করা প্রতিটি বাধা যেন আমিও অতিক্রম করি। আমিও যেনো সান্তিয়াগোর সাথে অনুভব করি দূর থেকে আসা বাতাসকে। কাফেলার চলার পথে মরুভূমির উত্তাপ যেন আমাকেও ছুঁয়ে যায়। এককথায়, সান্তিয়াগোর সঙ্গে মিশে যাই আমি। গল্পটি এমনি ছিল। একে গল্প না ভ্রমণকাহিনী বলা যায়, যে ভ্রমণে পাঠকও সঙ্গী হয়।সমগ্র যাত্রাপথে নিজের প্রতিটি কোষে অনুভব করে রোমাঞ্চ। সুক্ষ্মজীবনবোধ,জীবনকে উপভোগের আনন্দ আর লক্ষ্য অর্জনে অর্জুনের মতো একনিষ্ঠতা মিশ্রিত হয়েছে এই গল্পে। গুপ্তধনের রহস্যের মতোই আরেকটি রহস্য হলো 'আলকেমিস্ট' শব্দটি। দর্শন, সূক্ষ্ণ জীবনবোধ আর লক্ষ্য অর্জনের প্রেরণা মিলিত হয়েছে যে বইয়ের পাতায় তারই নাম 'দি আলকেমিস্ট'। বইটি থেকে অনেক শিক্ষা অর্জন করা সম্ভব,যা হয়ত পুরো ছাত্রজীবন চষে বেড়ালেও পাওয়া যায় না।তার মধ্যে কিছু হলোঃ ১. লক্ষ অর্জনে একনিষ্ঠতা। ২. বাধা অতিক্রমের ক্ষমতা। ৩. দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। ৪. ভালোবাসার আসল মানে। ৫. সবশেষে কোনো অবস্থাতেই হারা না মানা। এরকম আরো অনেক। এই দু-একটি কথায় হয়ত বুঝা সম্ভব নয় কিন্তু গল্পের মাধ্যমে প্রতিটি পদক্ষেপ যেন সেগুলি শিখিয়ে দেয় পাঠককে।লেখক যেনো নিজের জীবনেরই অর্জিত দর্শন মিশিয়েছেন তার লেখায়। অনুবাদের ক্ষেত্রে যদিও কিছু শব্দের দুর্বোধ্যতা (সিকামোর, কাফেলা,যোগসাজশ) গল্পের রেশটা কাটিয়ে দেয়। আর বাক্যগঠনে বেশ একটা অসামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থা প্রতীয়মাণ। কেমন একটা অস্বস্তিবোধ হয় সেক্ষেত্রে। তাই বইটিকে সরাসরি অনুবাদ না বলে ভাষান্তর বলবো।যদিও লেখক প্রথমেই এই সম্পর্কে লিখেছেন। তাও লেখক যেন পরবর্তী মূদ্রণে খানিকটা পরিবর্তন আনেন শব্দগুলি চয়নে। আর জিপসি বুড়ি না বলে বেদে বুড়ি/বাংলায় অন্য কোনো যোগ্যতাসম্পন্ন শব্দ ব্যবহার করলে বেশি মানানসই হতো। প্রতিটি শব্দের পুঙখানোপুঙখ অর্থ বের করা চাট্টিখানি কথা না।যদিও ভাষান্তর বইয়ের মুলকথায় খানিকটা ব্যাঘাত ঘটায় তাও সবদিকমিলিয়ে,অনুবাদক অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। সবশেষে একটা কথা, 'আগে দর্শনধারী,পরে গুণবিচারী' তা মাথায় রেখেই যেন প্রচ্ছদটি এক সৃজনশীল মনের শৈল্পিক সৃষ্টি। প্রচ্ছদ যেনো সম্পূর্ণ গল্পের ক্ষণিকের বর্ণনা। রঙ নির্বাচন সেটিকে সম্পূর্ণতা দান করে। বলা বাহুল্য, বইটি যখন পড়েছিলাম,তখন মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলাম। তাই হয়ত বইটির প্রতিটি কথা আমার মানসপটে গেঁথে রয়েছে এবং সারাটিজীবন থাকবে।সেই থেকেই বইটি আমি সবাইকে পড়তে পরামর্শ দিই। একটি মাত্র কারণে হলেও বইটি পড়া উচিত আর সেটি হলো জীবনে সঠিক মানেটা জানা। পরিশেষে, বইটি পড়ে দুশ্চিন্তা,হতাশা সব যেনো ধুলোয় মিশে গিয়ে স্বাদ দেয় এক অপূর্ব জীবনের। লেখকঃ পাওলো কোয়েলহো অনুবাদকঃ মো. ফুয়াদ আল ফিদাহ প্রচ্ছদঃ জুলিয়ান প্রকাশনাঃ চিরকুট প্রকাশনী মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫০৳ ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৯/১০
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম- দ্যা এলকেমিস্ট লেখক- পাওলো কোয়েলহো সারসংক্ষেপ- এক রাখাল বালক, যার প্রবল ইচ্ছে অজানাকে জানার, পুরো পৃথিবীর অদেখাকে দেখার। তাই সে প্রচুর বই পড়ে, ঘুরে বেড়ায়। একদিন সে স্বপ্নে দেখে মিশরের পিরামিডে গেলে পাবে গুপ্তধন । এক অজ্ঞাত রাজা তাকে পথ দেখায়। সেই স্বপ্নের পরিপ্রেক্ষিতেই শুরু হয় বালকের রোমাঞ্চকর অভিযান। পাঠপ্রতিক্রিয়া- ২৫ মিলিয়নের বেশি কপি বিক্রিত বইটি পড়ার আগেই আঁচ পেয়েছিলাম অনেক বিশাল কিছু পেতে চলেছি। অনুবাদ মনে ধরেনি, তাই আদাজল খেয়ে নেমে পড়লাম মূল ইংরেজিটা পড়তে। প্রতিটি লাইন, গল্পের গাঁথুনি, অসাধারণ প্লট, দার্শনিক চিন্তাধারা, চরিত্রায়ন এক কথায় প্রতিটি জিনিস আমায় মুগ্ধ করেছিল। গল্পটির প্লট ইন্টারেস্টিং থাকলেও পুরো ধ্যান চলে গিয়েছিল দার্শনিক ও মনস্তাত্ত্বিক বাক্যগুলোতে। বাক্যগুলোর গভীরতা ছিল অতলস্পর্শী। কিছু বাক্য জীবনকে এক অন্য মাত্রায় ভাবতে শিখিয়েছিল। এবার মোদ্দা কথায় আসি, প্রথম দিকে অনেক অনেক ভালো লাগবে। একটা অদৃশ্য টান অনুভব করবেন। ধীরে ধীরে ইন্টারেস্টিং হয়, এডভেঞ্চার আসে। তবে মাঝে কাহিনী শ্লথ হওয়া শুরু করে, তবুও পড়ছিলাম। বালকের রাখাল হবার কারণ, একজনকে হাত দেখিয়ে স্বপ্নের ব্যাখা জানা, তারপর এক অচেনা রাজার সাক্ষাত লাভ, এক কথায় সকল বর্ণনা ছিল অত্যন্ত নিঁখুত আর রোমাঞ্চকর। গুপ্তধনের সন্ধানে প্রতিটি পদক্ষেপ চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে মনে। তারপর এই যাত্রার মাঝেই অনেক বাধার সম্মুখীন হয় আমাদের মূল চরিত্র। আরবে এসে আটকে যায়, স্বপ্ন যায় ভেঙ্গে, এক এলকেমিস্ট এর সন্ধান পায়। তখন গল্পে আসে নতুন মোড় এবং কিছু অন্য মাত্রার জীবনমুখী কথাবার্তা আর দার্শনিক চিন্তাধারা। তখন সেই গুপ্তধন থেকে অনেকটা সরে আসে গল্পটা। ধীর গতুতে আগায়, অতিরিক্ত দার্শনিক কথা বারবার চিন্তায় ফেলে, বিরক্তি আসে। কিন্তু শেষের দিকে আসে তীব্র উত্তেজনা। সত্যিই শেষে এক অপ্রত্যাশিত ও হ্যাপি এণ্ডিং গল্পের মূল থিমকে এমন পরিপূর্ণতা দিয়েছে যে, আমি পুরো সেকেণ্ড কয়েক স্তব্ধ ছিলাম! গল্পের মূল থিম হলো, প্রত্যকের মনে এক রোমাঞ্চকর স্বপ্ন বাসা বোনে। সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটে চল। কে জানে? হয়ত স্বপ্নে বিচরণের মাধ্যমে জগত তোমাকে তোমার অন্য হাজারো গন্তব্যে নিয়ে যাবে, হয়ত তুমি নিজের অন্য সত্তার পরিচিতি পাবে। নিজেকে গুটিয়ে রেখো না, বরং খুঁজতে থাকো, নিজের প্রকৃত পরিচয়। **** তো কারা বইটি পড়বেন? যারা গল্পের প্রতিটি লাইনের গভীরতা অনুভব করতে ভালোবাসেন। জীবনকে অন্য মাত্রায় দেখতে চান তারা নিরাশ হবেন না। তো কারা পড়বেন না? যারা প্লট ও থ্রিলিং বেশি পছন্দ করেন, লাইনের গভীরতা খেয়ালই করেন না, দার্শনিক কথাবার্তা যাদের কাছে অযৌক্তিক ও হাস্যকর মনে হয়, যারা বাস্তবের রোমাঞ্চর জগত নিয়ে বেশি সিরিয়াস তারা। পার্সোনাল রেটিং- ৪.৫ আউট অফ ৫ .৫ কম দিয়েছি মাঝের দিকে একঘেয়েমি আসার জন্যে, তবে সমস্যা নেই, একঘেয়েমি স্বল্প সময়ব্যাপী ছিল। হ্যাপি রিডিং। (মূল ইংরেজি পড়লে ভালো, অনুবাদ পড়লে চিরকুট প্রকাশনী বেস্ট)
Was this review helpful to you?
or
📚বুক রিভিউ 📚 বইয়ের নাম :- দি আলকেমিস্ট লেখক :- পাওলো কোয়েলহো অনুবাদ :- মোঃ ফুয়াদ আল ফিদাহ ধরন :- অনুপ্রেরণা মূলক উপন্যাস প্রকাশনী :- চিরকুট প্রচ্ছদ :- জুলিয়ান পৃষ্ঠা সংখ্যা :- ১৫৯ মুদ্রিত মূল্য :- ২৫০ টাকা 📝 শুরুর আগে :- "দর্শন, সূক্ষ্ম জীবনবোধ আর লক্ষ্য অর্জনের প্রেরণা মিলিত হয়েছে যে বইয়ের পাতায়....তারই নাম 'দি আলকেমিস্ট'।" বিখ্যাত সাহিত্যিক "পাওলো কোয়েলহো" এর জন্ম ১৯৪৭ সালে, ব্রাজিলে। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় বই 'দি আলকেমিস্ট' প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে। বিশ্বে ৮০ টিরো বেশি ভাষায় অনুবাদ হওয়া এই বইয়ের বিক্রি সংখ্যা প্রায় ২৫০মিলিয়ন বা আড়াই কোটি কপি। কি এমন লেখা আছে এই বইতে? যার জন্য পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন দেশের, ভিন্ন ভিন্ন ভাষার কোটি কোটি মানুষ মুগ্ধ হয়ে পড়ে এই বই! আমেরিকার প্রেসিডেন্ট 'বিল ক্লিনটন' এই বই পড়ে এবং ছবিও তোলা হয়! বলিউড বাদশা 'শাহরুখ খান' তার মুভিতে ব্যবহার করে বইয়ের বিখ্যাত ডায়লগ! বিখ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী 'জুলিয়া রবার্টস' ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিন'কে জানায় এই বই পছন্দের কথা..!! 📖 ফ্ল্যাপ থেকে :- "মানুষ যখন সর্বান্তকরণে চায় কিছু একটা পেতে, মহাবিশ্বের প্রতিটি কণা যােগসাজশে লেগে পড়ে সেই চাহিদা মেটাতে" আন্দালুসিয়ার রাখাল-বালক সান্তিয়াগাে। স্বপ্নে দেখা গুপ্তধন উদ্ধারে নামে পথে জিপসি বুড়ি ও সালেমের রাজার কথা শুনে।। জানে না...এই যাত্রার শেষে অপেক্ষা করছে ওরই জীবনের লক্ষ্য! কিন্তু জীবনের অপর নাম যে কুহেলিকা! এত সহজে পেতে দেবে না ওকে লক্ষ্য। তাই ছেলেটাকে প্রস্তুত করার জন্য একের-পর-এক বাধা ফেলল সামনে, সেই সাথে উপহার দিল সেগুলাে অতিক্রম করার উপায়ও। এলাে প্রেম, ভালােবাসাকে শক্তি বানিয়ে রাখাল- বালক এগিয়ে গেল দৃঢ়তার সাথে। শেষ পর্যন্ত পেল কি সেই গুপ্তধন? ❤️পাঠ প্রতিক্রিয়া :- পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বইয়ের একটি হলো 'পাওলো কোয়েলহো' রচিত 'দি আলকেমিস্ট'। খুবই সাধারণ পটভূমিতে রচিত অসাধারণ এই বইয়ের পরতে পরতে লেখা আছে জীবনের গল্প। কিভাবে জীবনকে সুখী বানানো যায়, নিজের লক্ষ্য অর্জন করা যায়, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়া যায় সেই গল্পই বলা আছে বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠায়। রাখাল বালক সান্তিয়াগো, গরিব খামার শ্রমীক বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে যাজক হবে, সেই অনুযায়ী পড়াশোনাও শুরু করে সান্তিয়াগো। কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল পৃথিবী ঘুরে দেখার, এই সৃষ্টির সৌন্দর্য উপভোগ করার। তাই ভেড়ার পাল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে পথে। ঘুরে বেড়ায় বিভিন্ন শহর, নগর, বন্দর, পাহাড় পর্বত। রাতে ঘুমায় তারার চাদরের নিচে, শরীরের নিচে থাকে ঘাসের কোমল চাদর, ঠান্ডা বাতাসে শরীর শীতল করে দেয় সবুজ বৃক্ষরাজি, পানির পিপাসা মেটায় বহতা নদী। এমনি এক রাতে স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে যায় রাখাল বালকের, পরপর একই স্বপ্ন দুবার দেখায় স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে সে হাজির হয় এক বুড়ির কাছে।বুড়ি বলে পিরামিড এর কাছে গেলে পাওয়া যাবে গুপ্তধন। বুড়িকে বিশ্বাস না করে বের হয়ে আসে সান্তিয়াগো। আর তখনই দেখা হয় এক বুড়ো রাজার সাথে। রাজাও তাকে বলে একই কথা।তাকে পারি দিতে হবে বিশাল মরুভূমি, এগিয়ে যেতে হবে নিজের লক্ষ্যের দিকে, যত বাধাই আসুক না কেন, লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে তাহলেই পাওয়া যাবে গুপ্তধন। "মানুষ যখন সর্বান্তকরণে চায় কিছু একটা পেতে, মহাবিশ্বের প্রতিটি কণা যােগসাজশে লেগে পড়ে সেই চাহিদা মেটাতে" এই বইয়ের গল্পটা আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে খুবই সাধারণ, কিন্তু চিন্তা করলে দেখা যাবে অসাধারণ সব কথা লেখা আছে বইতে যেগুলো প্রতিটি মানুষকে দেয় অনুপ্রেরণা, জানিয়ে দেয় নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায়। ঘরে থাকুন, বেশি বেশি বই পড়ুন❤️❤️ Stay Home, Be Safe❤️❤️ বই হোক সব সময়ের সঙ্গী ❤️❤️ Happy Reading ❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
ই: দি আলকেমিস্ট লেখক: পাওলো কোয়েলহো অনুবাদ: মোঃ ফুয়াদ আল ফিদাহ প্রকাশক: চিরকুট প্রকাশনী পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৫৯ মলাট মূল্য: ২০০ ৳ স্পেনের আন্দালুসিয়ায় বসবাসকারী এক যুবকের নাম সান্তিয়াগো। বাবা মায়ের ইচ্ছা সে বড় হয়ে যাজক হবে কিন্তু সান্তিয়াগো চায় বিশ্ব ভ্রমণ করতে। মনোবাঞ্ছা পূরণ করতে একদিন সে ভেড়ার পাল নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে। একরাতে সে গুপ্তধন নিয়ে অদ্ভুত একটা স্বপ্নে দেখে, জিপসি বুড়ির কাছে স্বপ্নের তদবির জানতে চাইলে বুড়ি তাকে মিশরের পিরামিডের কথা বলে। বুড়ি তাকে গুপ্তধনের সন্ধান পাইয়ে দেবে কিন্তু তার বিনিময়ে সে গুপ্তধনের ভাগ চায়। বুড়ির কথা শুনে সান্তিয়াগোর মনেও আশা জাগে, কিন্তু কোথায় পাবে সেই গুপ্তধন? সত্যিই কি তার ভাগ্য তাকে গুপ্তধনের সন্ধান দিবে নাকি সবই মরিচীকা? অবশেষে সে ঠিক করে গুপ্তধন খুঁজতে বের হবে, এরপরই তার দেখা হয় সলেমের বৃদ্ধ রাজার সাথে, যে তাকে দুইটি মূল্যবান পাথর উপহার দেয়। বৃদ্ধের দেওয়া দিক নির্দেশনা অনুযায়ী সান্তিয়াগো বেরিয়ে পড়ে গুপ্তধনের খোঁজে... শুরু হয় এক অনিশ্চিত যাত্রা, কখনো স্পেনের অদূরে কোনো শহরে, যেখানে প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় তাদের নতুন নতুন সব গল্প। কখনো বা মরুভূমিতে যেখানে যেখানে পদে পদে ছিলো মৃত্যুফাঁদ, আবার কখনো মরুদ্যান যেখানে তার জন্য জমা ছিলো ভালোবাসা আর হাতে ছিলো ক্ষমতা। তবে এসব কিছুই সান্তিয়াগোকে দমিয়ে রাখতে পারেনি, একসময় সে মিশরে পৌছে। কিন্তু সায়ান্তিয়াগো কি গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েছিলো, নাকি খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তাকে? দি আলকেমিস্ট বইটা সত্যিই অসাধারণ একটি বই। আমাকে যদি কেউ আমার পড়া সেরা পাঁচটা বইয়ের লিষ্ট করতে, সেই পাঁচটার মধ্যে এই বইটা অবশ্যই থাকবে। বইটির মূল উপজীব্য বিষয় হলো, জীবনে লক্ষ্য অর্জন করতে হলে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। অল্পতেই হাল না ছেড়ে নিজের উপর বিশ্বাস নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। লেখক খুব সাধারণ একটা গল্পকে গভীর জীবনবোধ দিয়ে কী সুক্ষ্মভাবেই অসাধারণ করে তুলেছেন, বইটা না পড়লে বোঝা যাবেনা। ব্রাজিলিয়ান লেখক পাওলো কোয়েলহোর লেখা 'দি আলকেমিস্ট ' বইটি নিউইয়র্ক টাইমস এর বেস্টসেলার বই, বিশ্বের প্রায় ৭৬ টা ভাষায় এই বইয়ের অনুবাদ করা হয়েছে । এই বইটা অনেক আগে থেকেই পড়ার ইচ্ছা ছিলো, কিন্তু কয়েক বছর আগে বইটার একটা বাংলা অনুবাদ হাতে নিয়ে চরম বিরক্তি নিয়েই না পড়ে রেখে দিয়েছিলাম, সেই তুলনায় তুলনায় ফুয়াদ আল ফিদাহ'র এই অনুবাদটা সত্যিই বেশ আরামে পড়েছি। খুব সম্ভবত এই বইয়ের বাংলা অনুবাদের জন্য এই বইটাই বেষ্ট। আর ইংরেজি বইটাও কিছুদিন হলো শেষ করেছি, বাংলার থেকে ইংরেজিটাই পড়তে সহজ লেগেছে। যারা এখনো বইটা পড়েন নি, অবশ্যই অবশ্যই পড়ে ফেলুন। কারণ, দর্শন, সূক্ষ্ণ জীবনবোধ আর লক্ষ্য অর্জনের প্রেরণা মিলিত হয়েছে যে বইয়ের পাতায়.... তারই নাম দি আলকেমিস্ট।
Was this review helpful to you?
or
excellent
Was this review helpful to you?
or
দি আলকেমিস্ট হচ্ছে ব্রাজিলিয়ান লেখক পাওলো কোয়েলহো রচিত একটি বিখ্যাত উপন্যাস।পাওলো কোয়েলহো'র "দি অ্যালকেমিস্ট" বইটি ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬৭টি ভাষায় প্রকাশ পায় আর সারা পৃথিবীতে বিক্রি হয় প্রায় দুই কোটি কপিরও বেশী, ভাবা যায়? একটা বই কতটুকু ভাল হলে এই সফলতা স্পর্শ করতে পারে ভাবুন তো? দি আলকেমিস্ট একটি রূপকধর্মী উপন্যাস যেখানে নায়ক একজন তরুণ আন্দালুসিয়ান মেষপালক। সে তার জন্মস্থান স্পেনে স্বপ্নে দেখে এক বাচ্চা তাকে মিশরের রত্নের ভান্ডারের সন্ধান দিচ্ছে, সেই রত্ন পাওয়ার লক্ষেই মিশরে যাত্রা করে সে, বইটিতে সেই যাত্রাপথের বিভিন্ন বাধার কথা উঠে এসেছে, যেখানে একজন আলকেমিস্টের সাথে তার দেখা হয় এবং এভাবে কাহিনী আবর্তিত হতে থাকে। আমরা যখন শৈশবে পদার্পণ করি আমাদের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয় -আমরা যা করতে চাই তা কখনই সম্ভব নয়,যদি কোনো কারণে আমরা সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেলি তখন বাধা হয়ে দাড়াই ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা যা আমরা কখনই ত্যাগ করতে পারি না। অথচ সত্যকারের ভালোবাসা আমাদের সফলতার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সঙ্গি হয়, জীবনের পথে।অনুপ্রেরণা জোগায়। আমাদের জীবনকে আমাদের সেই স্বপ্ন, ভালোবাসা গুলো চালিতো করে। দি আলকেমিস্ট সেই স্বপ্নপূরণের গল্প। দি আলকেমিস্ট বইটিতে এমনি এক জীবন-দর্শন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যা আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যের কথা বলে। জীবনে একবার হলেও বইটি পড়া উচিত সকলের, বইটির গল্পটি অসাধারণ বলা যায় সেই সাথে মুগ্ধ করেছে বইটির প্রথমে লেখা লেখকের বিবৃতি, এত ছোট পরিসরে জীবন, স্বপ্ন, লক্ষ্য, ভালোবাসা নিয়ে লেখক যে কথা গুলো বলেছেন তা আসলেই বাস্তবে উপলব্ধি করা যায়। চিরকুটকে এবং অনুবাদক ফুয়াদ আল ফিদাহ ভাই কে অসংখ্য ধন্যবাদ বইটি অনুবাদ এবং প্রকাশের জন্য। সাম্প্রতি প্রকাশক এবং অনুবাদক বইটির পিডিএফ রিলিজ দিয়েছেন তাই আপনিও চাইলে এই হোম কোয়ারেন্টাইন এর দিনে বইটি পড়তে পারেন, আশাকরি হতাশ হবেন না। সেই সাথে বুঝতে পারবেন আমাদের আসলে কী করা উচিত? কোথায় লুকিয়ে আছে আমাদের স্বপ্নের প্রতিফলন। বইঃ দি আলকেমিস্ট লেখকঃ পাওলো কোয়েলহো অনুবাদকঃ ফুয়াদ আল ফিদাহ #HappyReading #StayAtHome
Was this review helpful to you?
or
হুম
Was this review helpful to you?
or
আন্দালুসিয়ার রাখাল বালক সান্তিয়াগো ছুটতে শুরু করে স্বপ্নে দেখা গুপ্তধনের খোজে। পথে নানান বাধার সম্মুখিন হয় সে। তাকে ধোকা দিয়ে তার সবকিছু চুরি করে এক লোক। তার পরও হার না মেনে পরিশ্রম করে অর্থ উপার্যন করে সে মরুর দিকে যাত্রা করে। এবং শেষ পর্যন্ত সে তার কষ্টের ফল পেয়ে যায় কারন মানুষ যখন সর্বান্তকরনে চায় এই মহাবিশ্বের প্রতিটি কণা যোগসাজোগ লেগে পড়ে সেই চাহিদা মেটাতে।
Was this review helpful to you?
or
দ্য আলকেমিস্ট এমন একটা বই যা আসলেই একজন পাঠকের জীবন চিরকালের জন্য বদলে দেবে। বইটি একটি রূপক ধর্মীয় বই যাতে লেখক বিভিন্ন রকম গল্পের মাধ্যমে পাঠককে তার জীবন সম্পর্কে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা দেবে।
Was this review helpful to you?
or
"যখন মানুষ সর্বান্তকরণে কিছু একটা পেতে চায় , তখন মহাবিশ্বের প্রতিটি কণা লেগে পড়ে সেই চাহিদা মেটাবার যোগসাজশে !" বইয়ের এই লাইনটি বইটিকে অমর করে রেখেছে | চিন্তাশীল মানুষদের জন্য বইটি অনেক সুন্দর , দারুণ | যদিও অনুবাদ তেমন ভালো নয় , তবুও বোঝার মতো |
Was this review helpful to you?
or
বইটি সত্যিই খুব ভালো । মানতেই হবে পাওলো কোয়েলহো একজন জাদুকরী লেখক। আর ফুয়াদ আল ফিদাহর অনুবাদ আমাকে মুগ্ধ করেছে।
Was this review helpful to you?
or
Hands down, the best translation of The Alchemist in Bangla and in Bangladesh. বাংলাদেশে ও বাংলা ভাষায় দি আলকেমিস্ট এর এরচেয়ে ভালো, সঠিক, সাবলীল, মূলানুগ, উপভোগ্য ও চিত্তাকর্ষক অনুবাদ সম্ভবত দ্বিতীয়টি নেই। বিশ্বাস না হলে এই রকমারিতেই আরো ১২/১৪টার স্যাম্পল আছে, অন্য গুলো পড়ে তারপর এটায় এসে দেখুন। কারা রেটিং কমিয়ে দিয়েছে, কেন দিয়েছে, আল্লাহ মালুম।
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর একটা বই
Was this review helpful to you?
or
Very interesting
Was this review helpful to you?
or
তুমি কী জীবন নিয়ে হতাশ? তোমায় দিয়ে কিচ্ছু হবেনা এই ভেবে সারাদিন ডিপ্রেশনে ভুগছো? স্বপ্ন পূরণের পথে তোমাকে নানান বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে? কিন্তু তোমার ভেতরে নিশ্চয়ই কোন না কোন স্বপ্ন রয়েছে। তোমার ভেতর যদি কোন স্বপ্ন থাকে তো কোন চিন্তা না করে আজই লেগে পড়ো তোমার স্বপ্ন পূরণের গৌরবময় যাত্রায়। তুমি যদি লক্ষ্য নির্ধারণ করে রাখো, আর দৃঢ়সংকল্পের সাথে সাহসী হয়ে এগিয়ে যাও তোমার লক্ষ্যে। তাহলে যত কিছুই ঘটুক না কেন তুমি তোমার লক্ষ্যে পৌঁছাবেই তোমার দৃঢ়কল্পের জন্য। "পুরো বিশ্বই তখন ষড়যন্ত্র শুরু করবে"তোমাকে তোমার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য। কথাগুলো পাওলো কোয়েলহো তুলে ধরেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী ভাষায় অনূদিত এবং অনেকের মতে পৃথিবীর সবচেয়ে অনুপ্রেরনীয় উপন্যাস ‘দ্যা আলকেমিস্ট’ এর মধ্যে। গল্পের মূল চরিত্র আন্দালুসিয়ান রাখাল বালক সান্টিয়াগো সে প্রায়শই স্বপ্নে দেখে একটি ছোট বাচ্চা এসে তাকে মিশরের পিরামিডের নীচে লুকানো ধনরত্নের খোঁজ করতে বলে। তখন এক রহস্যময়ী লোক যে নিজেকে সালেমের রাজা বলে দাবী করে সে সান্তিয়াগোকে মিশরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে বলে এবং সেটাই তার লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে জানায়। সান্তিয়াগো তার পুরো ভেড়ার পাল বিক্রি করে তাঞ্জিয়ারে পৌছায় এবং সেখানে সে চুরির সম্মুখীন হয়ে সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে যায়। তার কাছে এখন মিশরে পৌঁছানোর টাকা নেই। সে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পরে। পরে একটি ক্রিস্টালের দোকানে কাজ নেয় সে। প্রায় এক বছর কাজ করে সে নিজ দেশে ফিরে ব্যবসা করার মত যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ জমিয়ে ফেলে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দেশে ফেরত না এসে সান্তিয়াগো মিশরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়, মিশরের সাহারা মরুভূমিতে। পথে পথে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এরপরও সে থামেনি। প্রকৃতির ইশারা থেকে ঠিক করে নেয় যাত্রাপথ। তবুও স্বপ্নের পেছনে ছুটে চলা এই কিশোর কখনো বিচ্যুত হয়নি তার বিশ্বাস থেকে। সে জানত তার গুপ্তধনের সন্ধান সে পাবেই। এসকল বাধা-বিপত্তি তাকে সাহস জুগিয়েছে। মরুভূমির নির্জনতা, বাতাসের মুখরতা তাকে শিখিয়েছে মহাবিশ্বের ভাষা। সান্টিয়াগো এগিয়ে যেতে থাকলো তার লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে এবং মরুভূমিতে তার পরিচয় হয় ২০০ বছর বয়সের আলকেমিস্টের সাথে। সান্তিয়াগোর লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় মনোবল, প্রতিজ্ঞা অ্যালকেমিস্টকে মুগ্ধ করে। পথ দেখিয়ে সে পৌঁছে দেয় তাকে পিরামিডের কাছে। দীর্ঘ উত্থান আর পতনের পর সান্তিয়াগো ঠিকই তার গুপ্তধন খুঁজে পায়। তার লক্ষ্যে সে ঠিকই পৌঁছে। কিছু কথা: একজন মানুষের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করার জন্য যতগুলো ভালো বই পড়া প্রয়োজন- ‘দ্যা অ্যালকেমিস্ট’ তার মধ্যে অন্যতম। বইটিতে লেখক কিছু বার্তা দিয়েছেন যা ছুঁয়ে যাবে তোমার মন। নাড়া দিবে তোমার ভেতরের প্রাণটিকে। 👉 স্বপ্ন দেখা বন্ধ করবে না । কারণ যে স্বপ্ন দেখতে পারে সে তা বাস্তবেও রূপ দিতে পারে। 👉তুমি যখন কোন স্বপ্ন দেখবে, তখন পুরো বিশ্বই ষড়যন্ত্র শুরু করবে তোমাকে তোমার লক্ষে পৌঁছনোর জন্যে। 👉 অবশ্যই তোমাকে জীবনে ঝুঁকি নিতে হবে। কারণ তুমি তোমার জীবনে অসাধারণ কোনো অভিজ্ঞতার সম্মুখীন তখনই হবেন, যখন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় ঘটতে দেখবে। 👉 বিপদের ভয় বিপদে পড়ার দুর্গতির চেয়েও ভয়ঙ্কর বিষয়, প্রত্যেক হূদয়কেই ক্ষতবিক্ষত হতে হয় যখন স্বীয় স্বপ্ন সে বাস্তবায়ন করতে যায়।
Was this review helpful to you?
or
দারুন একটি বই, শুধু দারুন না অন্য জনকে সাজেস্ট করার মত বই এটি। বই এর সব থেকে ভালো যে জিনিসটি লেগেছে তা হলো বই এর প্রচ্ছদ এবং পেইজ কয়ালিটি। হাতে নিয়ে একটি প্রিমিয়াম ফিল পাওয়া যায়।
Was this review helpful to you?
or
ধু ধু মাঠ। এক পাল মেষ চড়ছে, আর দূরে দাঁড়িয়ে আছে রাখাল বালক। কোথা থেকে ছুটে এলো ছোট্ট মেয়েটি, হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল বালককে পিরামিডের ধারে। গুপ্তধন লুকোনো আছে এখানে! কিন্তু ঠিক জায়গাটা জানার আগেই... ঘুম ভেঙ্গে গেল রাখাল বালক সান্তিয়াগোর। আন্দালুসিয়ায় বালক সান্তিয়াগো, বাবার ইচ্ছে ছিল সে যাজক হবে। কিন্তু সান্তিয়াগোর মন চায় অজানাকে জানতে, দুনিয়া ভ্রমন করতে। তাই মেঘপাল নিয়ে পথে বেরিয়ে পড়লো ছেলেটি। একটি স্বপ্ন প্রতিদিন ঘুমের মধ্যে দেখে সে। শেষটা জানার আগেই, তা ভেঙ্গে যায়। সান্তিয়াগো গেল এক জিপসি বুড়ির কাছে। স্বপ্ন ঈশ্বরের বিশেষ ভাষা, জানালো বুড়ি। বললো মিশরে যেতে, গুপ্তধন পেলে তার একটা অংশ দাবি করলো। হয়তো বুড়ির কথা পাত্তা দিত না রাখাল-বালক, কিন্তু তারপরই দেখা পেল রহস্যময় এক বুড়োর, যে নাকি সালেমের রাজা! একই কথা বলছে সে-ও, মিশরে যেতে হবে, 'একান্ত লক্ষ্য' অর্জন করতে হবে। বুড়ো তাকে দিল লক্ষন চেনার দুটি পাথর উরিম আর থুমিম। শুরু হলো সান্তিয়াগোর অনিশ্চিতের পথে যাত্রা। ভেড়ার পাল, অভ্যস্ত জীবন আর প্রেমের আহবান পেছনে ফেলে চললো সে মরুর পথ ধরে, সাথে আছে বুড়ো রাজার দেওয়া অনুপ্রেরণা আর সেই বাক্য - 'যখন মানুষ সর্বান্তকরণে চায় কিছু একটা পেতে, মহাবিশ্বের প্রতিটি কণা যোগসাজশে লেগে পড়ে সেই চাহিদা মেটাতে। ' 'দি আলকেমিস্ট' উপন্যাসের দুটি গল্প, একটি সান্তিয়াগোর, অন্যটি পাঠকের নিজের। একদিকে সান্তিয়াগোর সব বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে গুপ্তধনের খোঁজে চলা, কিন্তু তার মধ্যেই গল্পটি বলে চলেছে প্রতিটি মানুষের জীবনের দর্শন। 'আদপে সবাই এক' বলেছে সালেমের রাজা। সান্তিয়াগোর ভেড়ার পালই হোক, বা একবিংশ শতাব্দীর মোটা বেতনের একঘেয়ে চাকরিই হোক, এসব কিছু পায়ে ঠেলে, নিজের আত্মার কথা শুনে অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে রওনা হতে পারার হিম্মত যোগায় এই উপন্যাস। কেউ কেউ হয়তো তার চাওয়া লক্ষ্যটাই জানে না, আবার কেউ জানে কিন্তু তার পেছনে ছুটতে পারে না, সান্তিয়াগোর দেখা পাওয়া সেই স্ফটিক ব্যবসায়ীর মতো আরামের জীবনটাই কাটিয়ে দেয়। আর অল্প কিছু মানুষ অন্তর দিয়ে শুনতে পায় সুবর্ণ-স্রষ্টার ডাক। সুবর্ণ-স্রষ্টা বা আলকেমিস্ট কে? তিনিই, যিনি পরশপাথরের ছোঁয়ায় লোহাকে সোনা বানান। কিন্তু আদতে কেবল ধাতুই সোনা হয় না, আলকেমিস্ট মানব অন্তরকেও সোনায় রূপান্তর করেন, বিশ্বের আত্মার ভাষা পড়ে অন্তরের কথা বুঝতে শেখান। পাওলো কোয়েলহো'র এই বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাসটি অনেকবার পড়বো বলেও পড়া হয়নি। তার একটা মূল কারণ, দর্শনভিত্তিক বই আমাকে তেমন টানে না। কিন্তু লেখক এমনভাবে গুপ্তধন খোঁজার গল্পের মধ্যে দিয়ে দর্শনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, পড়তে ভালো না লাগার কোনো কারণ ছিল না। মরুদ্যানের যুদ্ধ যেমন উত্তেজনা সৃষ্টি করে, তেমনি আলকেমিস্টের কাছে পাওয়া জ্ঞান পাঠককে ভাবায়। বইটি না পড়ার আরেকটি কারণ ছিল, এতোদিন মনমতো অনুবাদ পাইনি। এবার মোঃ ফুয়াদ আল ফিদাহ'র ভাষান্তরে বইটি যখন চিরকুট থেকে প্রকাশ পেল, টের পেলাম আমার সৌভাগ্য যে এতোদিন বইটি পড়িনি। 'দি আলকেমিস্ট' উপন্যাসের ভাবগাম্ভীর্য পুরোমাত্রায় ধরে রেখে, সাবলীলতার সাথে গল্পটি ভাষান্তর করেছেন অনুবাদক। বাজারে 'দি আলকেমিস্ট'র অনেক অনুবাদ পাওয়া যায়, কোনোটাই এতো প্রাঞ্জল নয়। সাথে বাড়তি সংযোজন, পাতায় পাতায় ব্যবহার করা চমৎকার ইলাস্ট্রেশন। কিছু কিছু শব্দ একটু বেশি ভারিক্কি মনে হতে পারে, তবে এটাও বুঝতে পারছিলাম এই বইয়ের আবহটার জন্য এমন শব্দচয়নই প্রয়োজন। বইটি সংগ্রহ করে রাখার মতো হওয়ার জন্য কৃতিত্ব দিতে হয় প্রচ্ছদশিল্পী জুলিয়ানকেও। সাথে চিরকুট প্রকাশনীর ধন্যবাদ প্রাপ্য, হলদে ভারি পাতা আর ঝকঝকে বাঁধাইয়ের জন্য। বইটিতে ছাপার ভুল ছিল কিছু, আশা করছি পরবর্তী মুদ্রনে এসব শোধরানো হবে। বইঃ দি আলকেমিস্ট লেখকঃ পাওলো কোয়েলহো ভাষান্তরঃ মোঃ ফুয়াদ আল ফিদাহ প্রকাশনায়ঃ চিরকুট প্রকাশনী প্রকাশকালঃ সেপ্টেম্বর ২০১৯ প্রচ্ছদঃ জুলিয়ান পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৬০ টাকা মুদ্রিত মূল্যঃ ২০০ টাকা
Was this review helpful to you?
or
আপনি কি ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখেন? কখনো কি এরকম স্বপ্ন দেখেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনি বসে আছেন হোয়াইট হাউসে? অথবা গ্রীক সাম্রাজ্যের স্পার্টার অধিপতি হিসেবে আপনি সিংহাসনে বসে আছেন আর বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী রমনী হেলেন আপনার পাশের আসন অলংকৃত করেছে আপনারই রানী হয়ে? আচ্ছা, বাদ দিলাম রাজা-রানী বা ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্টের স্বপ্ন। এরকম স্বপ্ন নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন, আপনি কোনো দুর্গম এলাকায় বেড়াতে যেয়ে সন্ধান পেয়েছেন এক গুপ্তধনের ভান্ডার? সেই সাথে পেয়েছেন স্বপ্নের সেই গুপ্তধন উদ্ধারের নির্দেশনা? তখন কেমন হবে আপনার অনুভূতি? জ্বি, এরকমই একজন স্বপ্ন বালকের এক রহস্যময় অভিযান আর স্বপ্ন প্রতীকের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা ভবিষ্যৎদর্শনের বীজ নিয়ে রচিত হয়েছে পাওলো কোয়েলহো এর দি আলকেমিস্ট বইটি। চলুন একটু দেখে নেয়া যাক স্বপ্ন বালকের দুঃসাহসিক এডভেঞ্চার এবং গুপ্তধন উদ্ধারের কিছু অক্ষরচিত্র। 'দি আলকেমিস্ট'র পুরো গল্পটি মূলত একজন সাধারণ রাখাল বালকের ভ্রমণ পিয়াসু জীবনের একটা অংশকে কেন্দ্র করে লেখা। ছেলেটির নাম সান্তিয়াগো। পিতার ইচ্ছা ছিল ছেলে বড় হয়ে যাজক হবে। কিন্তু পুত্রের ইচ্ছা আলাদা। ভ্রমণের নেশায় মত্ত। তাই সে লেখাপড়া শিখেও বেছে নিয়েছে মেষপালকের জীবন। সারাদিন মেষ চড়ানো আর বই পড়েই তার দিনগুলো সুন্দর কেটে যাচ্ছিল। তার এ ভ্রমণপিয়াসু সুন্দর জীবনকে উত্তপ্ত করে তুললো ঘুমের ঘোরে দেখা একটি মাত্র স্বপ্ন। স্বপ্নটি একাধিকবার হানা দেয় তার ঘুমের রাজ্যে। রাখাল বালকের অবচেতন মন লেগে যায় স্বপ্নের পেছনে। ঘুমের রাজ্য থেকে টেনে হিঁচড়ে স্বপ্নকে সে বাস্তবে রূপ দেয়ার নেশায় মাতাল হয়ে স্বপ্নের ব্যাখ্যা চাইতে ছুটে গেলো এক জিপসি বৃদ্ধার কাছে। বৃদ্ধার পরামর্শ, তোমার গুপ্তধন লুকিয়ে আছে মিশরের পিরামিডে। রাখাল বালক যখন পিরামিডের নিচে লুকিয়ে থাকা গুপ্তধন উদ্ধারের চিন্তায় মগ্ন, ঠিক তখনই সাক্ষাত হয় আরেক বৃদ্ধ লোকের সাথে। যিনি নিজেকে সালেমের রাজা বলে পরিচয় দেন। তিনি সান্টিয়াগোকে মহাবিশ্বের দর্শন, ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর রহস্যময় স্বপ্নের এক দার্শনিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন। তিনি এক অভিজ্ঞ দাশর্নিকের মতো এক জটিল মতবাদ প্রকাশ করেন। তিনি সান্তিয়াগোকে বলেন- "মানুষ যখন সর্বান্তকরণে চায় কিছু একটা পেতে, মহাবিশ্বের প্রতিটি কণা যোগসাজশে লেগে পড়ে সেই চাহিদা মেটাতে।" সালেমের রাজা তাকে মানুষের জীবন আর জীবনের লক্ষ্য অর্জনে দুর্বার গতিতে লক্ষবস্তুর দিকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেন। যাওয়ার সময় হাতে তুলে দেন উরিম-থুমিম নামে দুটি পাথর। যা তাকে লক্ষ্যবস্তুর দিকে এগিয়ে যেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরো বলেন— "যখন কেউ তার জীবনের লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করে, পুরো বিশ্ব তাকে সাহায্য করে।" অবশেষে সান্তিয়াগো তার ভেড়ার পাল বিক্রি করে ছুটে চলে সেই রহস্যময় গুপ্তধনের সন্ধানে। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউকে পিষ্ট করে, চরম উন্মাদনাকে পুঁজি করে উরিম-থুমিমকে সঙ্গে নিয়ে আরব দেশে পাড়ি জমায় এই কিশোর বালক। সূচনা হয় এক দুঃসাহসিক অভিযানের। যে অভিযানের পরতে পরতে লুকিয়ে ছিল ভয়ংকর সব বাঁধা। তবও সান্তিয়াগো এগিয়ে যায়। প্রতিটি মুহূর্তই ভরপুর ছিল অপ্রত্যাশিত সংকট আর জীবননাশের হুমকিতে। তারপরও হাল ছাড়েনি। সালেম রাজার দার্শনিক বাণী আর উরিম-থুমিমের অদৃশ্য অনুপ্রেরণায় প্রকৃতির ইশারা থেকেই সে ঠিক করে নেয় তার যাত্রাপথ। স্বপ্নের পেছনে ছুটে চলা এই কিশোর কখনোই বিচ্যুত হয়নি তার সরল বিশ্বাস আর লক্ষ্যবস্তুর নিশানা থেকে। সে জানত তার গুপ্তধনের সন্ধান সে পাবেই। যাত্রাপথের সকল বাধা-বিপত্তিই যেন তাকে সাহস জুগিয়েছে এগিয়ে যাওয়ার। মরুভূমির নির্জনতা, বাতাসের মুখরতা আর ভেড়ার পালের অপরিসীম ধৈর্য্য তাকে শিখিয়েছে মহাবিশ্বের ভাষা। যে ভাষায় সে কথা বলছে আকাশের সাথে, সূর্যের সাথে। বশ করেছে বাতাসকেও। নিজেকে পরিণত করেছে প্রচন্ড ঝড় সাইমুমে। তার সকল কাজে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে আরেক রহস্যময় ব্যক্তি। রহস্যময় সেই ব্যক্তিটি হলেন আলকেমিস্ট। যিনি শিখিয়েছেন লোহাকে কিভাবে স্বর্ণে রূপান্তরিত করা যায়। যে জানে মহাবিশ্বের ভাষা। লোকে বলে তার বয়স নাকি দু’শো বছর। কিশোর নায়কের লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় মনোবল আর প্রতিজ্ঞার হিমালয়কে স্পর্শ করার দৃঢ়তা অ্যালকেমিস্টকে মুগ্ধ করে। চরম ঘাত-প্রতিঘাত আর দীর্ঘ উত্থান-পতনের পর অবশেষে সান্তিয়াগো আঘাত হানে তার লক্ষ্যবস্তুতে। নিশানার হিমালয় চূড়া স্পর্শ করার আনন্দে আন্দোলিত হয় বুকের বাঁ পাশে লুকিয়ে থাকা হৃদযন্ত্রের শিরা-উপশিরা। এ সার্থক অভিযান তাকে গুপ্তধনের চেয়েও অনেক বড় কিছু উপহার দেয়। তা হলো জীবনের গাঢ় রহস্য আর মহাবিশ্বের ভাষা বোঝার ক্ষমতা। যে ভাষায় স্রষ্টা আর সৃষ্টির সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত। যে ভাষা বুঝলে সৃষ্টি বুঝে যায় তার স্রষ্টার উদ্দেশ্য। ‘দি আলকেমিস্ট’ মূলত একটি সহজবোধ্য শৈলীতে বলিষ্ঠভাবে লিখিত একটি দুঃসাহসিক অভিযানেরই এক রহস্যময় গল্প। শুধু তাই নয়, গল্পটিতে ধর্ম, নৈতিকতা আর দর্শনের যে বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে জন্য অনুপ্রেরণার এক অতিপ্রাকৃত নির্দেশনা বলেই আমি আখ্যায়িত করতে চাই। সেই সাথে গল্পটা মানুষের জীবনদর্শন গুলোকে খুব সহজ ভাবেই বুঝতে সাহায্য করবে বলে আমি মনে করি । লেখক তার লেখনীতে আধ্যাত্মিকতার সাথে বাস্তবের যোগসূত্র তৈরি করে পাঠককে জীবনের বেশ কিছু দর্শন সহজে অনুধাবন করাতে সাহায্য করেছেন। এই দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে বইটিকে একটি ভাগ্য অনুসন্ধানের জাদুকরী এবং অনবদ্য দার্শনিক দলিলও বলা যায়। এর বিভিন্ন উক্তিতে প্রকাশ পেয়েছে দার্শনিক তত্ত্ব। জীবন-জগৎ, প্রেম ও বাস্তবতা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে বিশদভাবে। একইসঙ্গে বিশ্ব-আত্মা বা পরম আত্মার উপস্থিতি স্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে জীবাত্মা, এ বিশ্ব-আত্মারই অংশ এবং হৃদয়ের মাধ্যমে এ দুই আত্মা সম্পর্কিত। বইটিতে লেখক একটি সার্বিক ভাষার কথা ব্যাখ্যা করেছেন। যে ভাষা মানুষকে প্রকৃতির সাথে ভাবের আদানপ্রদান করিয়ে দেয়। মানুষ মূলত তার অজ্ঞতার কারণেই এ ভাষা বুঝতে পারে না। এই ভাষা প্রেম বা ভালোবাসার ভাষা। প্রেম হচ্ছে সেই শক্তি, যা বিশ্ব আত্মাকে পরিবর্তিত ও বিকশিত করে। 'দ্য আলকেমিস্ট' এ প্রেমকে দেখা হয়েছে একটি অনবদ্য শক্তি হিসেবে, যে শক্তির বলে আত্মার উন্নয়ন ঘটে। পাওলো কোয়েলহো'র লেখা 'দি আলকেমিস্ট' বইটি ফুয়াদ আল ফিদাহ'র ঝরঝরে, সুখপাঠ্য আর সাবলীল অনুবাদে এনে দিয়েছে আলাদা এক বৈচিত্রময়তা। অনেকেই বলে থাকেন, অনুবাদে মুন্সিয়ানা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। আমি মৃদু স্বরে এই ভূতুরে কথাটির প্রতিবাদ জানাবো। কেননা, অনুবাদের সাবলীলতাই একজন পাঠককে কেবল ভিনদেশী ভাষার বই পাঠে আনন্দ এনে দিতে পারে। পাঠককে ধরে রাখতে পারে বইটির শেষ অবধি পর্যন্ত। টেনে নিয়ে যেতে পারে এক পাতা থেকে আরেক পাতায়। আমি মনে করি ভিনদেশী কোনো ভাষাকে মাতৃভাষায় রূপান্তর করাটা বিশেষ একটা শিল্পের পর্যায়েই পড়ে। এই শিল্পকর্মকে তার সৃষ্টা যত বেশি মাধুর্যতা মাখিয়ে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন, তিনি তত বেশি সফল হবেন। যদি তিনি সৃষ্টির বিস্ময় দিয়ে পাঠকের মনকে জাগাতেই না পারেন, তবে সৃষ্ট এ শিল্পের কোনে সার্থকতা নেই। কেবলমাত্র আক্ষরিক অনুবাদ নয়, ভিনদেশী ভাষাকে মাতৃভাষায় রূপান্তর করতে হবে ভাবানুবাদ দিয়ে। তবেই অনুবাদ হবে সাবলীল ও সুখপাঠ্য। এ কাজটি ফুয়াদ আল ফিদাহ্ যে অত্যন্ত দরদ দিয়ে করতে পেরেছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই ভাষান্তরের সাধারণ আড়ষ্টতা ছিল না বললেই চলে। প্রকাশনার জগতে চিরকুটের কথা নতুন করে বলার কিছু নাই। নান্দনিকতা আর মানের ক্ষেত্রে আপোষহীন এই প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাচ্ছে স্বমহিমায়। চিরকুটের প্রতিটি বই হাতে নিলেই মন ভরে যায়। দি অালকেমিস্ট বইটিও এর বাইরে নয়। ঝকঝকে প্রিন্ট, উন্নত পেপার, চমৎকার বাইন্ডিং আর নান্দনিক প্রচ্ছদে বইটির আইটলুক ছিল মনোমুগ্ধকর। নান্দনিক এ প্রচ্ছদটির জন্য জুলিয়ান ভাইকে ধন্যবাদ না দিলে কৃপণতাই করা হবে। শুভ কামনা চিরকুট, শুভ কামনা ফুয়াদ আল ফিদাহ্। প্রিয় পাঠক, ফুয়াদ আল ফিদাহ'র অনুবাদে সান্তিয়াগোর রহস্যময় গুপ্তধন উদ্ধারের এডভেঞ্চারে আপনিও নিজ উদ্যোগে শামিল হতে পারেন। হ্যাপি রিডিং দি আলকেমিস্ট। বই : দি আলকেমিস্ট লেখক : পাওলো কোয়েলহো অনুবাদ : ফুয়াদ আল ফিদাহ প্রকাশনায় : চিরকুট প্রকাশনী প্রচ্ছদ : জুলিয়ান পৃষ্টা সংখ্যা : ১৬০ মুদ্রিত মূল্য : ২০০ টাকা
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদটা বাংলার বেস্ট অনুবাদ আর বইটিতো আগে থেকেই শেরা। নি:সন্দেহে নিতে পারেন। তবে ডেলিভারিতে অনেক সময় নিয়েছে সেই সাথে রকমারির সাইটটা অনেক স্লো মনে হয় ২জি নেট চালায়, সময় সময়তো ঢুকাই যায়না। আশা করি আপডেট করবে
Was this review helpful to you?
or
পাওলো কোয়েলহোর রচিত “দ্যা আলকেমিষ্ট” বইটা মোটামুটি অনেকেই পড়েছেন। যারা পড়েছেন তারা হয়ত বুঝেছেন পাওলো কোয়েলহো এ গল্প দ্বারা শিক্ষামূলক কি রেখে গেছেন। আসলেই অনেক ভাল একটা বই। কি আছে এই বইতে? সফল হওয়ার মন্ত্র আছে। ‘আপনিও সফল হবেন’, ‘সাফল্য লাভের একশ উপায়’, ‘সহজে কোটিপতি হবার কৌশল’ – এ টাইপের ফুটপাতে পাওয়া বইয়ের মত এটি না। এই বই আপনাকে বলবে সফল হওয়ার কোনো শর্টকাট রাস্তা নেই। গল্পের যে মূল চরিত্র সে একজন কিশোর সান্তিয়াগো। তার ইচ্ছা সে ভ্রমণে বের হবে। তাই সে মেষ কিনে মেষপালক হয়ে তার মেষ নিয়ে এখানে সেখানে ঘুরে বেরাতে লাগল। হঠাৎ করে একদিন সে স্বপ্ন দেখে গুপ্তধনের। সে স্বপ্নের ব্যাখা নেওয়ার জন্য এক বুড়ির কাছে যান যিনি স্বপ্নের ব্যাখা জানেন। তিনি সান্তিয়াগোকে স্বপ্নের ব্যাখা বলেন এবং বিনিময়ে গুপ্তধনের কিছু তাকে দিতে হবে এই শর্তে। এক রাজাও তাকে সেই গুপ্তধনের ব্যাপারে বলেন। সে তার মেষ গুলো বিক্রি করে দেয়। এরপর থেকে তার ছুটে চলা সেই গুপ্তধনের রহস্যের সন্ধানে। সমুদ্র পাড়ি দিয়ে কিশোর যায় অচেনা মূর দেশে। স্পেনে আরব মুসলমানদের মূর নামেই ডাকা হয়। এক সময়কার স্পেন বিজয়ী মুসলমানরা এসেছিল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আরব দেশ হতে। সেখান থেকে সমুদ্রের উপর দিয়ে যে বাতাস আসে তাকে তারা বলে ল্যাভানটার। সে আরেক গল্প। কিন্তু এক ছিনতাই কারীর হাতে পড়ে সে সর্বস্ব হারায়। একটা দোকানে কাজ করে একবছরে কিছু টাকা জমিয়ে আবার তার স্বপ্নের পিছনে ছোটে। সে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি দেয় দুর্গম সাহারা মরুভূমি। পৌঁছে এক মরুদ্যানে। প্রকৃতির ইশারায় শান্ত, নিরাপদ মরুদ্যানকে বাঁচিয়ে দেয় ভয়ানক শত্রুর আক্রমন থেকে। পরিচয় হয় ফাতেমা নামের বেদুঈন কন্যার সাথে। সে তাকে বলে বেদুঈন মেয়েরা তাদের স্বামীর জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করে থাকে। সুতরাং, সে যেনো পিছুটান ভুলে গুপ্তধনের সন্ধানে বের হয়। পদে পদে বিপদে পড়লেও তার পথচলা থামেনা। অ্যালকেমিস্ট হলো এক রহস্যময় ব্যক্তি যে লোহাকে স্বর্ণে রূপান্তর করতে পারে। যে জানে মহাবিশ্বের ভাষা। ইংলিশম্যান তার সন্ধানে বছরের পর বছর ঘুরে ফেরে। লোকে বলে তার বয়স নাকি দু’শো বছর। কিশোর নায়কের লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় মনোবল, প্রতিজ্ঞা অ্যালকেমিস্টকে মুগ্ধ করে। কিশোরকে পথ দেখিয়ে সে পৌঁছে দেয় পিরামিডের কাছে যেখানে তার স্বপ্নে দেখা গুপ্তধন আছে। লেখক এই গুপ্তধনেই বইয়ের মূল আকর্ষন রেখেছেন।
Was this review helpful to you?
or
"যদি তুমি কোন কিছু মন থেকে চাও, তাহলে পুরো দুনিয়া তোমাকে সেটা পাওয়ানোর জন্য এক হয়ে যায়" বইটির সবথেকে মুল্যবান উক্তি। সান্তিয়াগো একজন রাখাল বালক, যে কিনা স্বপ্ন দেখে সেটার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। সে জানে এই স্বপ্ন পুরন করার জন্য তাকে পাড়ি দিতে হবে অনেক পথ। তারপর নিজের ভাগ্য কে মেনে নিয়ে সে সামনে এগোচ্ছে। কি এমন স্বপ্ন দেখে সান্তিয়াগো?? আর শেষ পর্যন্ত কি সে তার খোঁজ পাবে?? কতোটুকু ত্যাগ স্বীকার করা লাগবে তার?? জানতে হলে পড়তে হবে। আমার মনে হয় যতোগুলো মোটিভেশনাল বই পড়েছি তার মধ্যে এই বইটি সবগুলো বইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো। এই সুন্দর বই নিয়ে লিখলেও কম হয়ে যাবে। আশা করি সবার ভালো লাগবে
Was this review helpful to you?
or
'মানুষ যখন সর্বান্তকরণে চায় কিছু একটা পেতে, মহাবিশ্বের প্রতিটি কণা যোগসাজশে লেগে পড়ে সেই চাহিদা মেটাতে' - একেবারেই সাবলীল নয় অনুবাদ! ব্যবহার করেছেন কঠিন কঠিন ভাষা। থ্রিলার বইয়ের অনুবাদে ফিদাহ ভালো হলেও জীবনদর্শমূলক বইয়ের অনুবাদে ততটা নয়।