User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বই:"শিল্পী আমি,আঁকে সে" লেখক: শাহরিয়ার হাসান জনরার: ফ্যান্টাসি রিভিউ: বইটি পড়তে নিলেই যে জিনিসটা আপনাকে সর্বপ্রথম মুগ্ধ করবে সেটা হচ্ছে 'উৎসর্গ'। বইটার মূল চরিত্রে দেখানো হয়েছে থমাস, থমাস অ্যামারসন। বইয়ের প্রতিটা চরিত্রই মূলত স্বতন্ত্র ভাবে গড়ে উঠেছে। কিন্তু তবুও সব গুলো চরিত্রই কোন না কোন ভাবে গিয়ে থমাস স্যারের চরিত্রের সাথে যুক্ত। কিছু চরিত্র যেমন- রিচার্ড , শেখ সায়ের আলি,সিন্থিয়া,রহমত,নীল,অথোসিস,গ্রিফিনো,এসআই নূর, রায়হান,ডা. ফাহাদ, ফারিয়া। মূলভাব: থমাস স্যারের স্বপ্ন হচ্ছে চিত্রশিল্পী হওয়া। বাস্তবতার কড়াগাতে সে যিশুর উপর আস্থা দৃঢ় হওয়ার বদলে ছিটকে যায় ধর্ম থেকে।এবং স্যা'টা'ন(শ'য়'তা'ন) এর উপাশনা শুরু করে। সেই থেকে থমাস স্যার হয়ে উঠেন ভ'য়'ঙ্ক'রের চেয়েও ভ'য়'ঙ্ক'র। তিনি মিশরের স্থায়ী বাসিন্দা থেকে বাংলাদেশে এসে গেড়ে বসেন তার অ'ভি'শ'প্ত রাজত্ব। তার সাথে কোন মানুষ একবার দেখা করে যাওয়ার পর সেই ব্যক্তি নিখোঁজ হয়ে যেতো।এরপর খবর আসতো সেই ব্যক্তি মারা গেছে নাহলে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পাগল হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। থমাস স্যারের এই সকল কীর্তিকলাপ আবার "Thomas an eye of devil" নামক একটা সাইটে নিয়মিত লিপিবদ্ধ হতে থাকে। কিন্তু এই কাজটা করছে কে? সুদূর মিশর থেকে প্রতিবছর ২ টা বক্স আসে, কি থাকে সেই বক্স গুলোয়? কে পাঠায়? আর কেনই পাঠায়? সেই বক্স দুটোয় এমন কি ছিলো যেটা থমাস স্যারের ভিতর টা নাড়া দিতে থাকে এবং তিনি ধীরে ধীরে নিজের অ'প'ক'র্ম থেকে সরে আসতে চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত সেটা পারেন কি? এই সব প্রশ্নের উওর মিলবে "শিল্পী আমি,আঁকে সে" বইটি পড়লে। না পড়লে, পড়ার নিমন্ত্রণ রইলো🖤 পাঠক প্রতিক্রিয়া: আমি দীর্ঘ দিন রিডিং ব্লক থাকার পর প্রথম যখন বইটি পড়া শুরু করি নিজেকে জোর করে পড়তে হচ্ছিল ২০/২৫ পৃষ্ঠার মতো। তখন সব মনে হচ্ছিল মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। তারপর যখন ধীরে ধীরে যখন কাহিনি এগুচ্ছিলো তখন আমি বইটা হাত থেকে রাখতেই পারিনি।একটার পর একটা টুইস্ট আসছে এবং নিজেকেই সেই গল্পের একবার থামস স্যার, একবার নীল, একবার রায়হান এভাবে নিজেই মনে হবে তাদের চরিত্রে ডুকে গেছেন। বইটা পড়ে আপনি বিদেশি লেখকদের লেখার স্বাদ পাবেন।আপনার মনেও হবে না এটা বাংলাদেশেরই কোন এক ১৫ বছরের কিশোরের লেখা একটি বই! লেখার ধরন, নিজস্বতা সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি বই।আমার প্রিয় চরিত্র অথোসিস। ওর কথাগুলো নিজে উচ্চারণ করলে আপনিও অথোসিসের কথায় ভক্ত হতে বাধ্য। তার চেয়েও মজার ব্যাপার হচ্ছে, বইটা শুরু থেকে আপনি যাকে পুরে গল্পে নায়ক ভাববেন গল্প শেষে আপনি জানতে পারবেন আসলে সে একটা চরিত্র ছিলো মাত্র ! সমালোচনা: পুরো বইয়ে শুধু একটা জায়গাতেই আমার মনে হয়েছিলো একটু সিনেমাটিক হয়ে গেছে জায়গা টা। তবে তাও সেটা সামান্য ২ লাইন।তবে পুরো বইটা পড়া শেষে আপনার প্রিয় বইগুলোর তালিকায় বইটির নাম যুক্ত করতে আপনি বাধ্য হবেন।থমাস স্যারের গল্প এই বইয়ে শেষ হলেও এই বইয়ের চরিত্র থেকে পরবর্তীতে আরেকটা বই আসতে পারে এই ইঙ্গিতও লেখক সুস্পষ্ট দিয়েছেন। হ্যাপি রিডিং🫶
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সেরা বইগুলোর মধ্যে একটি। এই বইটি না পড়লে অনেক কিছু মিস করবেন।
Was this review helpful to you?
or
========= কাহিনী সংক্ষেপ ========== “সত্যিকার অর্থে পাপের বোঝা কখনো ভারি হয় না। বরঞ্চ সময়ের সাথে কমতে শুরু করে। এই যেমন, একটা খুন করলে হত্যাকারী প্রচন্ড ভয়ে থাকে, যদি ধরা পড়ে? কিন্তু সেই একই হত্যাকারী ধরা না পড়লে অসংখ্য হত্যা করতে ভয় নয় বরং আনন্দ পায়...! অমানসিক এক তৃপ্তি।” বাবা চেয়েছিলেন ছেলে বড় হয়ে প্রকৌশলী হয়ে সবার মুখ উজ্জল করবে। কিন্তু থমাস অ্যামারসনের নেশা রং-তুলি আর ক্যানভাস নিয়ে। সেই নেশাই অবশেষে পেশায় যখন পরিণত হলো তখন তিনি যাই আঁকতেন তাই মানুষের মন কেড়ে নিত। ক্রমশঃ তিনি হয়ে উঠলেন “স্যার থমাস”। গোটা দুনিয়ার কাছে অর্থ-বিত্ত,যশ-খ্যাতি অর্জন করলেও তার ভেতরের রূপ যে কতটা নিষ্ঠুর আর ভয়ংকর তার প্রত্যক্ষদর্শী একমাত্র বাড়ির কাজের লোক রহমত। তার এই ভয়ংকর নিষ্ঠুরতার প্রধান কারণ স্বয়ং শয়তানকে আপনার প্রভু হিসেবে মেনে নেয়া। আর শয়তান শুধুই চায় রক্ত আর উৎসর্গ! ফলে যেই কৌতুহলবশতঃ থমাসের কাছে আসে তাকেই হয় কিছুদিন পর পাওয়া যায় না, নতুবা সে হয়ে যায় পুরোপুরি বদ্ধ উন্মাদ। শয়তানকে কাছে পাওয়ার নেশায় হত্যা-খুন কোনকিছুতেই তার আর বাধে না। নিজেকে ভাবতে শুরু করে অপ্রতিরোধ্য এক শক্তি। তবে জগতে যেমন কোনকিছুই চিরস্থায়ী হতে পারে না, ঠিক তেমনি থমাসও একসময় বুঝতে পারে শয়তানের মোহে সে অন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রকৃত স্রষ্টার কাছ থেকে দূরে সরে গিয়ে শুধু নিজেরই নয়, তার চারপাশের মানুষেরও অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। পাপ যেমন তার বাপকেও ছেড়ে দেয় না, তেমন থমাসের জন্যও অপেক্ষা করছে এক দুঃসহ পরিণতি। ========= পাঠ প্রতিক্রিয়া ========== নবীন লেখক হলেও বইয়ের প্রচ্ছদ দেখেই বইটির প্রতি আগ্রহ জমে যায় আমার। বইটিও একেবারে নিরাশ করেনি। এক বসায় পড়ার মতো একটি বই। লেখনীর স্টাইল ও গল্পের প্লটের বর্ণনা একেবারে দুর্দান্ত না হলেও আমার কাছে নবীন লেখক হিসেবে দারুণ লেগেছে। গল্পের প্লটও ভালো লেগেছে বেশ। মিথ, মিস্ট্রি, এডভেঞ্চার, ক্রাইম, থ্রিল সবকিছুরই একটা ছোঁয়া আছে পুরো বই জুড়ে। পাপ যে তার বাপকেও ছেড়ে দেয় না লেখক আসলে এমনটাই দেখানোর চেষ্টা করেছেন বইয়ে তবে তা তার নিজস্ব আঙ্গিকে। গল্পের চরিত্রগুলোর বিকাশ স্বতন্ত্র হলেও সকলের জীবনেই এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যার কারণে সবাই একে অপরের সাথে জড়িয়ে পড়েছে এবং অবশ্যই কেন্দ্রবিন্দু প্রধান চরিত্র থমাস। যুগ চরিত্রটাও ভালো লেগেছে তবে সেই চরিত্রটি ধোঁয়াশায় রাখা হয়েছে এবং কিছুটা খোলাসা করলে আরোও ভালো লাগতো। প্রোডাকশনঃ বইটির প্রধান যেটা আকর্ষণীয় ছিলো তা হলো প্রচ্ছদ। প্রচ্ছদ আমার কাছে দারুণ লেগেছে। গল্পের সাথে মিল রেখে এমন নিখুঁত প্রচ্ছদ খুব কমই আমার চোখে পড়েছে। পুরো প্রচ্ছদই যেন বইটির ভিতরের কথা বলছে। সেজন্য সজল চৌধুরীকে আলাদা একটা ধন্যবাদ। কিন্তু বইটির দুটো বিষয় আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে তা হলো, এক. বেশ অনেক বানান ভুল। বানান ভুলের কারণে বইটি পড়তে পড়তে বার বার বিরক্তি তৈরি হয়। দুই. বইয়ের বাইন্ডিং আমার পছন্দ হয়নি মোটেও। কোয়ালিটি আরোও ভালো হওয়া দরকার ছিলো। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৭/১০।