User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্য আমার অতি আপনার, নিবিড়তম অনুভবের... তবে সমসাময়িক লেখা পড়া হয় অনেক কম। নতুন লেখকের তো আরও কম। মনে হয়.. কত কত ক্লাসিক বাকি, বাকি কত বিখ্যাত বই…আর, ব্যস্ত জীবনের সময়ের ঘড়িঘরের প্রতিটি কাটার স্পন্দনই তো অমূল্য... তো অনেকদিন বাদে এক প্রিয়জনের কাছে নতুন দুইটি বই উপহার পেলাম... 'ধুম্রজালে খেদু মিয়া' ও 'নক্ষত্রের আলো'। লেখক পরিচয় থেকে জানলাম, না একদম নতুন নয় তো সে সাহিত্যের বাজারে। ইতিমধ্যেই অসীম হিমেল সুপরিচিত ও পাঠকপ্রিয় নাম.. একটি বইয়ের সিরিজও বেড়িয়েছে। বইগুলো কি যত্নে ছাপানো, যেমন রূচিশীল প্রচ্ছদ, তেমনি সুন্দর পুরু কাগজে ছাপা.. অন্যপ্রকাশের প্রকাশনায়, ধ্রূব এষের প্রচ্ছদের কথা মনে করিয়ে দেয়। দেখেই এক কাপ চা হাতে পড়া শুরু করতে মন তাগাদা দিতে থাকে। নানা কাজে শুরু করতে দেরি হলেও, যেই শুরু করলাম... প্রায় একটানা পড়ে শেষ করলাম। ১. দুটো বইই চমৎকার, তবে ধূম্রজালে খেদু মিয়া... পড়ার সময় বিরতি দেয়াই কঠিন। বিজ্ঞানমনস্কতা, আধুনিকতা ও রহস্যের নিরেট বুননে এগিয়েছে কাহিনী...সাহিত্যের রসবোধ অক্ষুন্ন রেখে। প্যারানরমাল জগতের রহস্যেরা উঁকিঝুঁকি দিলেও, যুক্তি, বাস্তবিকতা ও বিজ্ঞান অনুপস্থিত নয়। দুই প্রধান চিকিৎসক চরিত্র মিতু ও প্রফেসর আলমের পেশাগত জীবনে হটাৎ অাসা রহস্যঘেরা বিপদে সাহায্যে এগিয়ে অাসেন খেদু মিয়া। খেদু মিয়ার বিশ্লেষণী শক্তি, অতিবাস্তব জগতের সাথে আদান প্রদান ও রহস্য উদ্ধারের পথচলাতেই পাঠক পরিচিত হতে থাকে সমাজের খাজে খাজে লুকিয়ে থাকা কিছু কদর্যতার ও রূঢ় বাস্তবতার। বইটিতে বিভিন্ন চরিত্র ও তাদের ভিন্ন কাহিনীগুলো বৃহত্তর ক্যানভাসে এসে মিলে যায় সাবলীলভাবে। প্রায় প্রতিটি চরিত্রই খুজে পাওয়া যায় আমাদের সমাজে, হোক সে মিতুর রক্ষনশীল বাবা-মা, বা সোমনাথ ওঝা বা সালামের মত ধুরন্ধর পারভার্টেড আপরাধী। বলাই যায়, চরিত্রগুলো জীবনঘেষা, বা জীবন থেকে নেয়া। অন্যদিকে, উপন্যাসের শেষে এসে, মিতুর পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার বা ডক্টর আলমের সার্জিক্যাল ব্লক এর সমস্যা মানব মনের বিচত্র ও জটিল মানচিেত্র আলোকপাত করে। উপন্যাসটি শেষ হয় গতানুগতিক প্রেম বা মিলনের গল্প ছাড়াই। এই বিষয়টিও খুব ভালো লেগেছে... সত্যিই তো আজকের পৃথিবীতে জীবন শুধুমাত্র সম্পর্কের সমীকরণেই আবদ্ধ নয়। এর ব্যাপ্তি বিশাল.. সম্পর্কে, কর্মে ও অর্জনে...। সবশেষে, বেশিরভাগ রহস্যের মীমাংসা হয়ে গেলেও, ছোট ছোট কিছু রহস্য অমীমাংসিত রয়ে যায় ঠিক আমাদের রহস্যময় জীবন ও জগতের মত। ২. 'নক্ষত্রের আলো' উপন্যাসটি রচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাসে একঝাক তরুন-তরুনীর জীবন ও জীবনের পথের উপলব্ধি , অবগাহন ও পরিণতির পথচলায়। শুধুই একটা প্রেমের গল্প বলা যাবেনা একে। জীবনের সংগ্রাম, সমসাময়িক ছাত্র রাজনীতির ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিক ও দৃস্টিভঙ্গির পরিচয় ও তরুন মনের পরিণত হওয়ার গল্পও বটে। এবং আবারও খুবই বাস্তবঘনিষ্ঠ কাহিনী। আজকের পরিবর্তিত পৃথিবী নিশ্চয় অনেক কঠিন যা তরুনদের জন্যও অপার সম্ভাবনার পাশাপাশি নানা ফাদ, হাতছানি ও জটিলতা নিয়ে বিরাজিত। আর চলতে থাকার নামই জীবন। এই উপন্যাসটির মজার দিক হল বাস্তবতার কঠিন হিসেব নিকেষের সাথেই স্বপ্নালু জগতের ছোয়া দিয়ে যায়। তারুণ্যের উচ্ছলতা, শাড়ি পড়ার আনন্দ, ঝুম বৃস্টির রিমঝিম, চায়ের কাপে ঝড়, আর নিখাদ বন্ধুতার সাবলীল স্বতস্ফুর্ত বর্ণনা খুব সহজে হৃদয়ের গহীনে আন্দোলিত করে। ফেলে আসা ক্যাম্পাসের স্মৃতিরা দোলা দিয়ে যায়। আরেকটি বিষয় নক্ষত্রের আলোকে সুখপাঠ্য করে তোলে.. লেখকের মায়াভরা প্রকৃতি ও শহরের বর্ণনা। প্রিয় শহর ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজে মোড়ানো আঙ্গিনা, পাখির অভয়ারণ্য, জলাধার, হাতিরঝিল সব এই লেখকের মায়াবি কলমের আচরে, ছাপার হরফে মুদ্রিত। জীবন রূপকথা নয়। তাই গল্পের ছলে, লেখক আজকের তারুণ্যকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবনপাঠ দিয়ে যায়। তারই শব্দে.... "হারিয়ে যেয়োনা, অনেকে হারিয়ে যায়, অনেক হয়ো না" পরিশেষে বলতে চাই, অসীম হিমেল একজন দায়িত্বশীল লেখক। অসংখ্য তথ্য সম্বলিত, বাস্তব ঘনিষ্ঠ কাহিনীতেও তিনি সদা সতর্ক থেকেছেন, পাঠক যেন সমৃদ্ধ হন, বিভ্রান্ত নন। পাঠকের জীবনবোধ যেন নীতিবোধের বিপরীত না হয়, তার প্রচেষ্টা লক্ষনীয়।
Was this review helpful to you?
or
খেদু মিয়া পড়ার পর ধুম্রজালে খেদু মিয়াও পড়ে ফেললাম। এই বইটায় খেদু মিয়া ছাড়াও নিউরো সার্জন শামস ইবনে মোহাম্মদ ডা. আলম ও তার কাছেই ফেলোশিপ করা মিতুকে ঘিরেই পুরো উপন্যাসের অবতারণা। তাদের ঘিরেই নরমাল প্যারানরমাল কিছু ব্যাপার বইটিতে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ফুঁটে উঠেছে। হঠাৎ মিতুর প্রফেসর সার্জন ব্লকে আটকে যায় এবং মানসিক ভাবে বেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এদিকে ক্যারিয়ারের শুরুতেই হাসপাতালে মিতুকে আসতে নিষেধ করায় ডুয়েল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হয়। অন্যদিকে বিরল রোগে আক্রান্ত চেন্নাই ফেরত ছোট্ট মেয়ে দিবা অপারেশনের অপেক্ষায় আছে। ডা. আলম অপারেশন করছেন না এবং কারো সাথে দেখা করছেন না এরকম অবস্থা দিবার মা খেদু মিয়ার শরণাপন্ন হোন। খেদু মিয়া সকল সমস্যা শুনে ডা. আলম ও মিতুর সমস্যা আন্দাজ করে সমস্যা সময়াধানে নেমে পড়েন। খেদু মিয়া কি পারবে ডা. আলম ও মিতুর মানসিক সমস্যার সমাধান করতে.? ছোট্ট মেয়ে দিবার কি অপারেশন হবে.? এসকল বিষয়ের পিছনে মূল কারণ কি..? জানতে হলে পড়তে হবে অবশ্যপাঠ্য বইটি। মা-বাবা সন্তানের অসুস্থতা দূর করতে কতটা মরিয়া হয়ে উঠে তা দিবা ও ডা. মিতুর মা-বাবার কার্যকলাপে দৃশ্যমান। কিভাবে সুস্থ করে তুলবে সেটা করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে সন্তানকে বিপদের মুখে ফেলে দেয়। যেমন ডাক্তার মিতুর মা-বাবা তার সন্তানকে জ্বীন-ভূতে ধরেছে ভেবে ভয়ংকর পার্ভাটেড বিকৃত মস্তিষ্কের তান্ত্রিকের হাতে তুলে দেয়। খেদু মিয়া বইটার তুলনায় এই বইটা একটু বেশি ভালো লেগেছে। বইটায় খেদু মিয়া ছাড়াও অন্যান্য চরিত্রগুলোর সমান ভূমিকা বেশ ভালো লেগেছে। পুলিশ চরিত্রে রাকিব ও ফাহিমের একটু বিস্তারিত বর্ণনা বেশ মিস করেছি। এরকম ঘটনায় পুলিশের অবদান বেশ মুখ্য বিষয়। অসীম হিমেল ভাইকে অবশ্যই ধন্যবাদ দেয়া যায় এমন একটা বই লেখার জন্য। আশাকরি ভবিষ্যতে এই সিরিজ সে চলমান রাখবেন। পরর্বতী বই সাতপুরুষে খেদু মিয়া সংগ্রহ করেছি যা অতি দ্রুত পড়ে ফেলবো। আবারো বলছি এই বইটা মাইন্ড ফ্রেশ করে দেয়ার মতো এবং দ্রুত শেষ করার মতো বই। তাই দেরি না করে যারা একটু আধিভৌতিক ব্যাপার এবং হালকা রহস্য উন্মোচন করতে চান তারা অবশ্যই পড়তে পারেন বইটি। আশাকরি বইটি সকল পাঠকের কাছে যথেষ্ট সুখপাঠ্য হোক। বই :- ধ্রুম্রজালে খেদু মিয়া লেখক :- অসীম হিমেল প্রচ্ছদ :- চন্দন ত্রিমাত্রা প্রকাশনা :- অন্যপ্রকাশ প্রকাশকাল :- বইমেলা ২০২৩ পৃষ্ঠা সংখ্যা :- ২২৩ মুদ্রিত মূল্য :- ৫০০ ৳
Was this review helpful to you?
or
ধুম্রজালে খেদুমিয়া রিভিউ কাজী ফাল্গুনী ঈশিতা এই বইটা শেষ করতে ইচ্ছা করেই দেরি করছিলাম , কারণ এইটা পড়ার আগে ইচ্ছা ছিল প্রথম পর্বটি শেষ করার। করেছি ও তাই। বাপ্ রে বাপ্ সত্যি অদ্ভুত সুন্দর একটা উপন্যাস।আর একটা চরিত্রের সাথে আর একটা চরিত্রের সম্পর্ককে বেশ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন লেখক। আমি তো বুঝেই পাচ্ছিলাম না কোন চরিত্রটি আসলে বেশি আকর্ষণীয়, ডাক্তার আলম, মিতু, নাকি অন্য কেউ ? লেখকের লেখা ভালো লাগার একটি কারণ, অনেক অজানা বিষয় জানা হয়ে যায়, বিশেষ করে মেডিকেল টার্মগুলো। বেশ লাগে এই বিষয়টি। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এই উপন্যাসটির একটা জায়গায় এসে আশাহত হতে হলো যদিও। দিবা চরিত্রটি নিয়ে আমার আগ্রহের কমতি ছিল না, কারণ সে শিশু, তাও কন্যাশিশু। যে কোনো বইয়ের কন্যাশিশু চরিত্র গুলো আমাকে খুব টানে। তবে দিবা, সে বেচারি গোটা গল্পজুড়ে কেবল এক অসুস্থ রোগী ই রয়ে গেলো , কোনো দুরন্তপনা দেখলাম না তার। সালাম এর সঙ্গে হুট করে কালামের আবির্ভাব আসলে আমার কাম্য ছিল না, তবে সালাম আর ডাক্তার আলমের সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে লেখক অনেক কিছুই বুঝিয়ে গেছেন, যার মধ্যে একটা হলো অতি বিশ্বাসের গলায় দড়ি। আচ্ছা লেখক, ওই হিজল গাছের ডালে বসা তিথি আসলে কে? লতা আর পাতা ই বা কোত্থেকে হাজির হলো? সুতপা দেবী কি তার পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিয়েছিল শেষে? নাকি এই সবকিছুর মাঝে অন্য কিছু আছে ? আমার খুব পছন্দ খেদুর পরোপকারী আচরণ। বাকি যারা পাঠক খেদুকে চেনেন, তো জানেন ই সে কেমন। ধুম্রজালে খেদুমিয়া কিছু সময়ের জন্য এক অন্য ভুবনে নিয়ে যাবে। চেনা সব বইপোকাদের বলবো উপন্যাসটি পড়ার জন্য। শুভকামনা লেখক, আপনার কলমের শক্তি আরো বাড়ুক।
Was this review helpful to you?
or
ব্যাপক উৎসাহ- উদ্দীপনা নিয়েই অপেক্ষায় ছিলাম এবারের বইমেলায় যাব। বন্ধু লেখকদের অটোগ্রাফসহ বই সংগ্রহ করব সাথে সেলফি তুলব বন্ধু লেখকদের সাথে। সেই সেলফি সহকারে বুক রিভিউ লিখে পোস্ট দিব কিন্তু বরাবরের মতোই বিধিবাম আমার। বইমেলায় আমার যাওয়া হয় নি তবে বই সংগ্রহ করেছি। কয়েকজন লেখক বন্ধু র বই প্রকাশের তীব্র প্রতীক্ষায় ছিলাম তার মধ্যে একজন আমাদের বিখ্যাত খেদুমিয়া র জনক Asim Himel। খেদুমিয়া সিরিজের দ্বিতীয় বই ধুম্রজালে খেদুমিয়া। বইটার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। বই হাতে পেয়েছি আগেই কিন্তু অসুস্থতার কারণে রিভিউ লিখতে দেরী হয়ে গেলো। যতটুকু আশা করেছিলাম তার দ্বিগুন পরিমাণ তৃপ্তি নিয়েই পড়লাম। পুরো কাহিনীটা এত সুন্দর হয়েছে যার কারণে এক বসাতেই বইটা পড়ে শেষ করলাম। ধুম্রজালে খেদুমিয়া আদি ভৌতিক উপন্যাস হলেও প্রতিটি ঘটনার সাথে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের যৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রদান দারুণ লেগেছে যেটা সাধারণ পাঠক হিসেবে আমারও মনে দাগ কেটেছে। মিতুর চরিত্রটা চমৎকার লেগেছে।আত্মবিশ্বাসী,মেধাবী এবং যুক্তিবাদী একটা মেয়ের জীবন আকস্মিক একটা ঘটনায় সম্পূর্ণ বদলে যাওয়া আবার তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা দারুণভাবে লেখক তার লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন। ধুম্রজালে খেদুমিয়া বইটির প্রতিটি চরিত্র বর্তমান সমাজের বাস্তব বর্ণনা। বিশেষ করে সালাম, কালাম,সোমনাথ চরিত্রের লোকজন প্রায়ই আশেপাশেই দেখতে পাওয়া যায়। এককথায় পয়সা-উসুল টাইপের একটা বই ধুম্রজালে খেদুমিয়া। (যদিও আমি বইমেলায় যেতে পারিনি কিন্তু লেখকের অটোগ্রাফসহ বইটি বন্ধু Shyamoli Shyama পাঠিয়ে দিয়েছে। ধন্যবাদ দেবো না শ্যামা পাখি শুধুই ♥️♥️♥️♥️♥️)
Was this review helpful to you?
or
আমরা মানুষ খুব সহজেই হিসাব মিলিয়ে ফেলতে চাই কিন্তু আমাদের ভাগ্য কি লেখা আছে বা কালকে কি হবে কেউ বলতে পারি না। তারপরও অনেক স্বপ্ন নিয়ে অনেক আশা নিয়ে ঘুমাতে যাই পরের দিন সেগুলো পূর্ণ করব বলে। পূর্ণতা আর অপূর্ণতার দোলা চলেই চলে জীবন। এবারের বইমেলা থেকে আগ্রহ নিয়ে প্যারানরমাল থ্রিলার জাতীয় 'ধুম্রজালে খেদু মিয়া' বইটি সংগ্রহ করি। বই পড়ার অভ্যাস নেই বললেই চলে, বইয়ের প্রথম ২০ পৃষ্ঠা পড়েছি মনে হয় ১মাসে, ফোন আর আলসেমি থাকলে যা হয় আরকি! এরপর যখন গল্পের মধ্যে ঢুকে গেলাম তখন একটানা ১৪ ঘন্টায় বইটা শেষ করেছি ২২৩ পৃষ্ঠার বইটি, এরমধ্যে খাওয়া-দাওয়া, গোসল নামাজ পড়েছি। তা ছাড়া আর কিছু করতে পারি নাই শেষ না করা পর্যন্ত, আমি কিভাবে যেন আটকে গিয়েছিলাম প্রতিটি অজানা রহস্যের সঙ্গে! মানুষের 'মন' এক আজব জিনিস কখন কোন চিন্তা এসে মনকে এলোমেলো করে ফেলে সেটা মন নিজেও জানে না। 'বিশ্বাস' কতোটা শক্তিশালী এবং ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটা নিউরোসার্জন ডা. আলম & ডা. মিতু 'র বিপর্যয় দেখলে বোঝা যায়। এখানে বেশ কিছু সাইকোলজিক্যাল ডিসঅর্ডারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিটি অস্বাভাবিক মানসিক আচরণের মেডিকেলের ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে সহজ ভাষায়। গল্পের প্রধান চরিত্র 'খেদু মিয়া' ধুম্রজালে পড়ে যায় নিউরোসার্জন ডা. আলম & ডা. মিতু, আরেকদিকে চিকিৎসায় অপেক্ষারত দিবা এবং দিবার মা, অন্যদিকে দিকে সোমেনবাবুর তিনটা ময়নাতদন্তের লাশ নিয়ে! প্রতিদি ঘটনা দারুণ ভাবে একটির সঙ্গে আরেকটি মিল তুলে ধরা হয়েছে, পড়ার সময় চোখের সামনে ঘটতেছে মনে হচ্ছিল। সাকসেসফুল এবং জিনিয়াস মেয়ে'র প্রতি আর্কষণ কাজ করে, পারভারটেন মানুষের মাঝে টান অনুভব করি তাহলে কি আমিও স্যাপিসেক্সুয়াল? আমারও মাঝে মধ্যে হিপ্পোক্যাম্পাল জাইরাস এক্টিভ হয়ে, পুরনো কোন যায়গা দেখলে আমারও পরিচিত মনে হয়! কেমিক্যাল নার্ভ স্টিমুলেন্ট'র মধ্যে কেটামিন ড্রাগ টা তো অনেক ইন্টারেস্টিং! এসপি রাকিবের মতো আমারও খেদু মিয়া ( Asim Himel ) থেকে একটি উত্তর জানা হয়নি, 'ডা. মিতু অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলে গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়লো কিভাবে?'
Was this review helpful to you?
or
ভীষণ বৈচিত্র্যে ভরপুর আমাদের চারপাশ, অনেক কিছুই মাধুর্যময়, মোহনীয় কিন্তু এর মাঝে কিছু রয়েছে খুব পৈচাশিক, দানবীয় । কারো মাঝে অতিপ্রাকৃত বিষয় বিচরণ করে যে সব স্বাভাবিক বলা যায় না, যার বিশ্লেষণ করলেও অবচেতন মনে নাড়া দেয়। অসীম হিমেলের "খেদুমিয়া" গল্পের পরের পর্ব "ধূম্রজালে খেদুমিয়া " বইটি শেষ করার পর কিছু উপলব্ধি শেয়ার করতে চাই। ডাঃ মিতুর নিউরো সার্জারিতে, ফেলোশিপ করার পথে ভয়ঙ্করভাবে বিভ্রান্তির শিকার হয়ে মানুষিক বিপর্যয় ঘটে। আবার রিপার অল্প বয়সী মেয়ে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পথে চলছে, কিন্ত যার সার্জারিতে সুস্থ হয়ে ফিরার সম্ভাবনা, দেশের বেস্ট নিউরো সার্জন, ডাঃ আলম জটিল সমস্যায় অসুস্থ হঠাৎ করে। অন্যদিকে ভিশন বিকৃত মানসিকতার শিকার হয়ে কিছু কিশোরীর মৃত্যু! ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টে প্রফেসর খেদুমিয়াকে এই সব সমস্যার রহস্য উদঘাটন করতে কতটা বিপদের সম্মুখীন হতে হয়? উনার পূর্বপুরুষের কোন সূত্র ধরে মৃত মানুষদের সাথে আলাপনে প্যারানরমাল সমস্যায় জড়িয়ে পরা এবং সমাধান প্রচেষ্টা করতে খেদুমিয়াকে ডাঃ আলমের এসিস্ট্যান্ট, সালামের ফাঁদে পড়ে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস গুনতে হয় কিনা? পাঁচ জটিল সমস্যায় যে ধূম্রজাল, তাতে খেদুমিয়ার আগমন এবং লেখকের প্রতিটি রহস্যের সাথে মেডিকেল সায়েন্সের যুক্তি উপস্থাপন, কিন্ত সাধারণ মানুষদের ভ্রান্তিতে প্রচলিত প্রথার ফাঁদ কিভাবে গ্ৰহনযোগ্য করে তোলে! গল্পের পর্যায়ে পর্যায়ে পাঠকদের কাছে পৌঁছবে ভীষণ রহস্যে ঘেরা এই উপন্যাস। আমি রহস্যের গভীরে বিভ্রান্ত হই, ভীত হই গল্প পড়ার সময়। জমিদার বাড়ির পরিবেশে, চারপাশের প্রকৃতিতে উন্মোচিত জমিদার কন্যা সুতপা দেবীর আবির্ভাব আমাকে তরঙ্গিত করে। যদিও মানুষিক বিপর্যয়ের পর্যায়গুলো, ভৌতিক ঘটনায় এবং বিকৃত মানসিকতার প্রভাবে আমার ভীষণ ভয় হয় কিভাবে সমাধান আসবে! শেষ পর্যায়ে আমি কান্না করেছি, হয়তো আনন্দে কিংবা ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে।
Was this review helpful to you?
or
এই বইটা পড়ে রিভিউ দেবার মতো দুঃসাহস আমার নেই কিন্তু লেখককে কিছু কথা বলতে চাই। তাই এই খোলা চিঠি লেখক অসীম হিমেলের উদ্দেশ্যে। লেখক অসীম হিমেল আশা করি ভাল আছেন। আজ বইটা শেষ করলাম।।ভীষণ সুন্দর হয়েছে। কেমন করে যেন আমার যেরকম বই পড়ার ইচ্ছে ছিল বহু বছর যাবত,একটা পিপাসা ছিল ঠিক ঠিক সেরকম একটা বই ধূম্রজালে খেদু মিয়া উপন্যাসটি। বইটা পড়ে মহা তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছি বলা যেতে পারে। আমি গল্প উপন্যাস বিষয়ের কোন অভিজ্ঞতম কেউ নই । তবে আমার কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় পুরো উপন্যাসের স্টোরি লাইনে কোন অপ্রয়োজনীয় অংশ নেই। শুধু খাসা কড়া গল্পে কোনা কোনা পূর্ণ। কোথাও একটু একঘেয়ে লাগবার সুযোগ পাবে না কেউ, যেমনটা আমিও পাইনি। তাইতো এক নিঃশ্বাসে বইটা শেষ করে ফেললাম। এরকম দম বন্ধ করে এক নিশ্বাসে বই শেষ করার তীব্র ইচ্ছা আমার সব লেখকের বই এ হয় না। আপনার লেখায় এমন কিছু আছে যা পাঠককে ধরে রাখে। বইয়ের প্রিয় একটা উক্তি হল," দুনিয়াটা ভরা মায়ায়। মায়া থেকে কেউ মুক্ত হতে পারে না।এই মায়ার বন্ধনের কারণে মানুষ অন্য একজন মানুষের পাশে এসে দাড়ায়।" আমি হয়তো বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে ঠিক খুব ভালো সুনাম করতে পারলাম না বইটার। তবু এত খাসা একখানা উপন্যাস আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য ভালবাসা নিবেন।একটি সার্থক উপন্যাসের জন্য আপনাকে অভিনন্দন ❤️।
Was this review helpful to you?
or
গত রাতে বই পড়ে শেষ করলাম। আমার মনে হচ্ছে আমি যদি তিথি হতে পারতাম। আবার আপনারা বলবেন এত চরিত্র থাকতে তিথি কেন হতে চান। আমার কেন জানি তিথিকেই ভালো লাগছে। অন্য চরিত্র গুলো ভালো লাগেনি তা এমন নয় অন্য গুলো বেশ ভালো লাগছে। তিথিকে একটু বেশি। ছোট্ট মেয়ে দিবা মহা রোগে আক্রান্ত। চেন্নাইয়ে গিয়েছে ভালো চিকিৎসার জন্য। কিন্তু দিবার যে রোগটা হয়েছে তা কাঠিয়ে উঠা মহা মুশকিল। ডাক্তাররা রিস্কি নিয়ে কাজটা করতে হবে এরকম বলে দেয়। কিন্তু ভাগ্যক্রমে তাদের সাথে দেখা হয়ে যায় বিখ্যাত নিউরোসার্জন ডাক্তার আগারওয়াল।ডাক্তার আগারওয়াল দিবাকে দেখে তাদের মা- বাবাকে পরামর্শ দেয় তারা যেন বাংলাদেশে ফিরে আসে। এশিয়া মহাদেশে নিউরোসার্জন টিমে বাংলাদেশের একজন ডাক্তার আছে যিনি অনেক এরকম অপারেশন করেছে। তিনি হচ্ছেন ডাক্তার শামস ইবনে মোহাম্মদ আলম। অনেক বড় নিউরোসার্জন হয়েও হাঠাৎ কোন এক কারণে আর তিনি অপারেশন করাতে পারছে না। অন্য দিকে ইন্টার্নি চিকিৎসক নুসরাত জাহান মিতু জয়েন করেছে আট মাস।এই আট মাসে অপারেশন করার পর সাত-আট জন রোগী মারা যায় তাও অস্বাভাবিক কারণে। মিতু জয়েন হওয়ার পর থেকেই এরকম হচ্ছে বলেই মিতুকে অপয়া,অলক্ষ্মী মনে করে ডাক্তার মিতুর ফেলোশিপ বাতিল করে দেয়। দিবার অপারেশন হচ্ছে না তাই দিবার মা রিপা খেদু মিয়ার কাছে যায় যেন তিনি ডা.আলমের সাথে দেখা করে কিন্তু ডা. আলম কারো সাথে দেখা করবে না,যেভাবেই হোক খেদু মিয়া ডা.আলমের সাথে দেখা করেন। অনেক বড় একটা ধাক্কা খেলাম যখন মিতুর মা মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে বসে পড়ে।আমি মনে করলাম মিতু সত্যি সত্যি তিথির সাথে কথা বলছে। তারপর কি হলো জানতে হলে বইটি আপনাকে পড়তে হবে। আমার কাছে বইটি অসাধারণ লাগছে।লেখক ডাক্তার বলেই সুন্দরভাবে মেডিকেলের অনেক টার্ম বিশ্লেষণ করেছে যার ফলে অনেক মেডিকেল টার্ম শিখতে পারছি। এক কথায় অসাধারণ একটি বই। বইটি পড়ে দেখতে পারেন, আশাকরি হতাশ হবেন না।
Was this review helpful to you?
or
কিছু বই পড়ার পর একটা ছটফটানি হয়। এই ছটফটানির ভালো নাম তৃষ্ণা। কিসের তৃষ্ণা? বইটি পড়তে পড়তে পাঠক ঘটনার সাথে এতটাই নিমজ্জিত হয়ে যান যে, হঠাৎ করে একসময় শেষ হয়ে গেলে ঘাবড়ে যান। কিছু একটা হাতড়াতে থাকেন। মনে মনে আওড়াতে থাকেন তারপর… তারপর… তারপর…? "ধুম্রজালে খেদুমিয়া" তেমনি একটি বই। এটি একটি উপন্যাস। সায়েন্স, যুক্তি, আবেগ, প্রচলিত প্রথার আড়ালে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন প্যারানরমাল বিষয় নিয়ে লেখা উপন্যাসটিতে রয়েছে একটা ম্যাজিক্যাল আবহ। প্রতিটি প্লটে নতুন ও ভৌতিক বিষয়গুলো পাঠকের নিউরনে অনুরণন জাগাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই! লেখক একজন অর্থোপেডিক্স ডাক্তার। তার কাছে স্পাইনাল সার্জারি ও চিকিৎসার বিষয়গুলো খুব সহজেই ধরা দিয়েছে ধূম্রজালে খেদুমিয়ায়। ধুম্রজালে খেদুমিয়া পড়ে শরীরের নানা জটিলতা সম্পর্কে যেমন ধারণা পাওয়া যাবে তেমনি কিছু বিষয় নিয়ে সচেতনও হওয়া যায়। ঘুমের বিভিন্ন পর্যায়কে ডাক্তারি পরিভাষায় আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়াও বাংলাদেশের একশ্রেণির মানুষ অসুস্থ হলেই ইন্ডিয়া-চেন্নাই গিয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। কিন্তু ধুম্রজালে খেদুমিয়ায় ইন্ডিয়ার অনেক বিখ্যাত ডাক্তারকে আমাদের দেশের ডাক্তারদের সাজেস্ট করতে দেখা গেছে। তাই রিপার মেয়ের শেষ ভরসা বাংলাদেশের ডাঃ আলম। ডাঃ আলমের সহকর্মী ডাঃ মিতু। যিনি দারুণ মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও হঠাৎ করেই ফেলোশিপ বাতিল হয়ে যায়। এই বাতিলকে লেখক অশুভ ছায়া বললেও পরবর্তীতে জানা যায় অশুভ ছায়ার আড়ালে কিছু হীন মানসিকতার মানুষই দায়ী। যারা মানুষের খুব কাছেই থাকেন। খুবই ঠান্ডা মাথায় যারা মানুষের মন ও মস্তিষ্ককে এলোমেলো করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তখনি হয়তো আমরা কাউকে পাগল বলি। মিতুরও এমন দশা হয়, যাকে মেডিক্যালের ভাষায় বলা হয় ডুয়েল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার। অর্থাৎ রোগির মধ্যে ভর করে দুটি ভিন্ন চরিত্র। সহকারী সালামের মতো কিছু চরিত্র যারা ঘরে, অফিসে, সবখানে এভাবেই মানুষের ক্ষতি করে চলে। যার হাত থেকে রক্ষা পায়না সবচেয়ে বড় এবং প্রধান ডাঃ আলমও। লেখকরা আমরা যেমন রাইটার ব্লক কথাটি আগেও শুনেছি, একজন বড় ডাঃ আলমের ক্ষেত্রেও দেখেছি সার্জন ব্লক হতে। প্রথমত ডাঃ আলমের বিষয়টি সার্জন ব্লক বললেও পরবর্তীতে দেখা যায় তা সহকারী সালামের কুকর্মের ফল৷ আমাদের দেশের হাসপাতালের কিছু সিস্টেম লসের কথা এখানে উঠে এসেছে। ডাঃগণ অনেকসময় ব্যস্ততা বা অনেক দিনের পুরনো কোনো সহকারী থাকলে তার উপর নির্ভর হয়ে পড়েন। তাকে দিয়ে সেলাই কাটাসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করিয়ে থাকেন। এখানে সালাম যিনি ডাঃ আলম এর সহকারী তাকে কাহিনির ভিলেন বা খল চরিত্রে দেখানো হলেও কাহিনির শেষে গিয়ে তা উন্মোচন হয়। অর্থাৎ আগে থেকে কেউ বুঝতে পারবে না ডাঃ আলমের কেন সার্জন ব্লক হচ্ছে, ডাঃ মিতু কেন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছেন, কেনইবা সাকসেসফুল অপারেশনের পরও ৭/৮ জন রোগী ভালো হয়েও মারা গেলেন৷ একারণেই লেখক কাহিনিকে কিছুটা ভৌতিক রূপ দিতে পেরেছেন, এবং তা খুব সতর্ক এবং সাহসিকতার সাথে। কারণ ডাক্তার এর সাথে ভৌতিক বিষয় একেবারেই যায় না। কিন্তু লেখক অসীম হিমেল তা পেরেছেন। শেষ পর্যন্ত না পড়লে বিষয়গুলো ভৌতিকই মনে হবে যেকোনো পাঠকের কাছে। দরজার পাশে রাখা ট্রলিতে খেদুমিয়ার পা না কাটতো তাহলে হয়তো সালাম আরও অনেকদিন অধরাই থেকে যেতো। এত সামনে বসবাস করেও কী করে অদৃশ্যভাবে ডাঃ আলম, ডাঃ মিতু, এবং অনেক অপারেশন সাকসেসফুল রোগীর জীবন নাশ এবং হুমকিতে ফেলেছে তার কোনো হদিসই কেউ পেতো না। সালাম যে টেবিলে ড্রেসিং করেছিল সে টেবিলে কেটামিন দেখে প্রথম সন্দেহ করেছিল খেদুমিয়া। পুরো কাহিনীতে খেদুমিয়ার উপস্থিতি খুব কম থাকলেও সমস্ত কাহিনি যখন অপমৃত্যু ও বিশাল ক্রাইসিসে আক্রান্ত হয়ে টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, ঠিক তখনি খেদুমিয়ার উপস্থিতি কাহিনিকে নতুন করে গতি দিয়েছে। তারপরও খেদুমিয়ার সামনে এসে উপস্থিত হয় এক ধরনের ধুম্রজাল, যেখান থেকে মিলতে পারে মুক্তি অথবা চিরতরে প্রাণ যাওয়ার হুমকি৷ এক কথায় সমস্ত কাহিনি পড়ে উপন্যাসের নামকরণের সার্থকতা অবশ্যই মিলে যাবে৷ এবং আমার দৃষ্টিতে এটি একটি সার্থক উপন্যাস। এটি লেখকের ষষ্ঠ উপন্যাস। আগের উপন্যাস থেকেও এ উপন্যাস আরও অনেক সমৃদ্ধ সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। লেখক ক্রমশ নিজেকে ছাড়িয়ে গেছে। লেখকের এ সাফল্যে আমি অনেক আনন্দিত এবং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছি। অনেক ভালো লেগেছে আমার। এ উপন্যাসে লেখক একজন পুরোপুরি লেখক হিসেবে ধরা দিয়েছেন "ধুম্রজালে খেদুমিয়া"র মাধ্যমে।বইটি প্রকাশিত হয়েছে অন্যপ্রকাশ থেকে। লেখক Asim Himel ও ধুম্রজালে খেদুমিয়ার জন্য অশেষ শুভ কামনা!
Was this review helpful to you?
or
Asim Himel এর দুটো বই পড়ে ফেললাম ৷ ধূম্রজালে খেদু মিয়া পড়ে যেটা বুঝলাম , ড্রাগস প্রাচীন যুগ থেকে মানুষ কে বিপথে স্বার্থ সিদ্ধিতে কাজ করেছে ! তান্ত্রীকের দেয়া জড়িবুটি ,তেলপড়া ,পানি পড়া বা হিপটোনাইজড করার কৌশলে মানুষ নিজের বোধ হারিয়ে কত কি করেছে! ওঝা ডেকে ঝাড়ফুকের নামে রোগীকে বেদম মার দেয়ার ঘটনার আমি চাক্ষুস স্বাক্ষী ! আবার পুরান ঢাকার এক পীর সাহেবের বাড়িতে এক রোগিনীর কড়ে আঙ্গুল মুচড়ে ধরে চলে যা ! চলে যা বলায় বাচ্চা মেয়ে ভারি পুরুষ কন্ঠে কথা বলতে শুনেছি ৷ যা দেখে মানুষ বিশ্বাস করতে বাধ্য যে তাকে ভূত/জীন ধরেছে ! আসলে ই কি তাই? নাকি সেখানেও ছিল ড্রাগসের কোন গোপন খেলা? দূরবীনে ব্যাক বেন্চারও ভাল লাগলো ৷আসলে ভাল লাগলো বলব না,মন খারাপ করালো ৷ কিছু মানুষ আসলে ই জন্ম অভাগা হয় ! নিয়তির খেলায় তাদের খেলে যেতে হয় ৷ গান মানুষ কে আবেগি করে ৷ মানুষ বদলে যায় আবেগ বদলে যায় ৷গান কিন্তু বদলায় না ৷ এজন্য বদলে যাওয়া মানুষের পছন্দমত গান রিমিক্স হয়ে যায় ৷ভাল না লাগলেও তাই হচ্ছে :) ব্যাকবেন্চার ইমোশনাল করেছে কিন্তু খেদু মিয়া বেশি ভাল লেগেছে, ইনফরমেটিভ ও ৷
Was this review helpful to you?
or
Review post : এখন আর আগের মতো বই পড়া হয় না। পড়ার অভ্যাস ছুটে যাওয়ায় খুব দীর্ঘ সময় ধরে পড়তে পারি না। ধূম্রজালে খেদু মিয়া বইটি হাতে পাওয়ার পর দেখলাম বেশ বড় একটা বই। ভাবলাম ৪/৫ দিন অনায়াসে কেটে যাবে শেষ করতে। " ধূম্রজালে খেদু মিয়া " আমার পড়া Asim Himel এর তৃতীয় উপন্যাস। আগের উপন্যাস গুলো যেহেতু ভালো লেগেছে ধারণায় ছিলো এইটাও ভালো লাগবে। বইটি হাতে পাওয়ার পর মনে হল ৪/৫ দিন লেগে যাবে শেষ করতে। আর ডিটেকটিভ জাতীয় বই, মুভি আমার বরাবরই পছন্দ। উপন্যাসটি শুরু করার পর শেষ না করে উঠতে পারছিলাম না। মাত্র হাফ ডে তে পড়া শেষ করে ফেললাম 🤗🤗। এইটাই হলো একজন লেখকের স্বার্থকতা। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলো টান টান উত্তেজনা। এক কথায় চমৎকার একটা উপন্যাস। অনেক অনেক শুভকামনা লেখকের জন্য। আশা করি সামনে আরো বেশি বেশি বই বের করবে আমাদের মতো পাঠকদের জন্য।
Was this review helpful to you?
or
ধুম্রজালে খেদু মিয়া যে সময় হাতে পেলাম, তখন আমার বিন্দু পরিমাণে সময় ছিল না বইটি পড়ার তখন যে পরিক্ষা চলতেছে। দু পাতা পড়েই বুঝে গেলাম একবার বইটি নিয়ে বসলে শেষ না করে উঠতে পারব না,তখন আর পরিক্ষা দিতে হবে না মনকে অনেক বুঝিয়ে বল্লাম বই তুই থাক তোকে নিয়ে পরিক্ষা পর ই বসব। যা ভাবা তাই কাজ, বইটি পড়া শুরু করে শেষ না উঠতে পারলাম না , শুরু দিয়ে গল্প আস্তে আস্তে আগালেও কিছুটা পর রোলারকোস্টার মতো হাই স্পিড ঝাকি দিয়ে পুরো গল্পটি এমন ভাবে শেষ হয়, এ যেমন গল্প শেষ হয়েও হইলো না শেষ। গল্পে আসি, উপন্যাসের প্রধান চরিত্র খেদুমিয়া। ফরেনসিক মেডিসিনের অ্যাসিট্যান্ট প্রফেসর হলেও তার জীবনধারা আদিভৌতিক এবং রহস্যময়, মানুষের কাছে তিনি রহস্যমানব হলেও বিজ্ঞানের আলোকেো যুক্তি দিয়ে রহস্য সমাধান করাই তার কাজ। সবাই তাকে ভালোবেসে ডাকে "খেদু মিয়া"। ডা. শামস ইবনে আলম একজন বিখ্যাত নিউরোসার্জন। কিন্তু কিছুদিন ধরে অপারেশন সম্পন্ন হওয়ার পর রোগী বাড়িতে গেলে অজ্ঞাত কারণে কয়েকজন রোগী মারা যাচ্ছে। আর প্রতিটা রোগীই মেয়ে এবং তাদের অস্বাভাবিক মৃত্যু।বিষয়টা তাকে অনেক ভাবায়। তাই তিনি রোগীর সার্বিক তথ্য সংগ্রহের গুরু দায়িত্ব দেন সালাম কে। ইন্টার্নি ডা. মিতু নামের মেয়েটি আসার পর থেকেই অস্বাভাবিক ঘটনাগুলো ঘটছে, তাই হুট করেই ফেলোশিপ বাতিল করে দেন। এক অশুভ শক্তির জন্য বাতিল হয়ে যায় তার ফেলোশিপ।অন্যদিকে পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার তার জীবন অস্বাভাবিক হয়ে উঠে..... এভাবেই গল্প আগাতে থাকে গল্পগুলো এমন ভাবে মোড় নেয়, যে পাঠক এর জন্য মোটেও প্রস্তুত থাকে না। বইয়ে কোনো খুনাখুনি নেই,তবুও যেন অদ্ভুত রকম সুন্দর বইটি। যে জিনিস না বললেই নয়, লেখক মেডিক্যাল টার্মকে খুব সহজও সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন যা গল্পটিকে নিয়ে গেছে এক অন্যন্য উচ্চায়। একটি জিনিস না বললেই নয়, হুমায়ুন আহমেদ চরিত্র গুলো যেমন সবসময় মাথায় গেথে থাকে, এমন একটি চরিত্র হলো খেদুমিয়া। খেদুমিয়া চরিত্র টি এতই শক্তিশালী যে পাঠকে হৃদয়ে চরিত্র টি জায়গা করে নিতে সময় লাগবে না। বাংলায় প্যারানরমাল জনরার উপন্যাস হিসাবে ধুম্রজালে খেদুমিয়া যে এক অন্যন্য সৃষ্টি তা অস্বীকার করার বিন্দুমাএ সুযোগ নেই। ব্যাক্তিগত রেটিং ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
🔰বই পরিচিতিঃ বইয়ের নাম: ধুম্রজালে খেদু মিয়া। লেখক: অসীম হিমেল ধরণ: প্যারানরমাল উপন্যাস প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারী ২০২৩ প্রকাশন: অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী প্রচ্ছদঃ চন্দন ত্রিমাত্রা পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২২৩টি মুদ্রিত মূল্য: ৫০০ টাকা 🔰শুরুতেই পাঠকের উদ্দেশ্য কিছু কথাঃ মানুষ সভ্য জগতে আসার পর থেকে অদ্ভুত কল্পনাগুলোকে প্রথমে অবিশ্বাস করেছে, উপহাস করেছে। কোনোভাবেই সেগুলো মানতে চায়নি। নতুন কল্পনা ও ধারণা সৃষ্টির মানুষগুলো প্রতিটা ধাপে অপমানিত, অবহেলিত,লাঞ্ছিত'র স্বীকার হয়েছে।আর অনেক সময় দেখা গেছে প্রচলিত ধারণার বিপরীতে গিয়েও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে, কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে।হোক সেটা মানসিক অথবা শারীরিক। কিন্তু মানুষের অনেক কল্পনা যেগুলো প্রথমে অসম্ভব স্বপ্ন বলে মানুষ এক্কেবারেই উড়িয়ে দিয়েছে, দিনের শেষে দেখা গেছে সেগুলোই একদিন সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। যার অর্থ হচ্ছে ভাবনা ও কল্পনাকে যখন অসম্ভব ও অবাস্তব বলে মনে হবে।তখনই ধরে নিতে হবে নতুন কোনো ধারণা বা আবিষ্কার পৃথিবীতে আসার আগামনী বার্তা যেন এক রকমের ঢাকঢোল পিটিয়েই ঘোষিত হচ্ছে।সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের যুক্তি, চিন্তা ও বিশ্বাসের পরিবর্তনও কিন্তু ঘটে চলেছে। কোনো এক সময়ের মানুষ কারো উদ্ভট কল্পনা ও ভাবনাকে পাগলামি বলে হাসাহাসি করেছে, আবার অন্য সময়ের মানুষ সেটার সৃষ্টি হতে দেখে বিস্মিত হয়েছে। আহা! এটা কি শুধুমাত্র সময়ের পরিবর্তনকেই ইঙ্গিত করে নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানীয় পেশাকেও ইঙ্গিত করে? এমনই একটা মহৎ বিষয়কে সবার উর্ধে রেখে উৎসর্গিত হয়েছে প্যারানরমাল জনরার উপন্যাস "ধুম্রজালে খেদুমিয়া"।সারাহ ইসলাম, যিনি ব্রেন ডেথ হতে মৃত্যুর আগে মৃত মানুষ হিসাবে তাঁর দুটি কর্নিয়া ও দুটি কিডনী চারজন মানুষকে দান করে তাদের মাঝে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।সারাহ ইসলাম ও অপারেশনের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদলকেই উৎসর্গ করা হয়েছে উপন্যাসটি। 🔰কাহিনী সংক্ষেপঃ কাহিনীর শুরুতেই পাঠক দেখতে পাবে,ফরেনসিক মেডিসিনের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর খেদুমিয়ার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র খেদুমিয়া, যিনি পেশায় একজন ডাক্তার এবং পাশাপাশি আদিভৌতিক এবং রহস্যময় চরিত্রের অধিকারী।তিনি যেন বিজ্ঞানের যুক্তি দাঁড় করিয়ে সকল প্রকার আদিভৌতিক এবং রহস্যময় ঘটনার সমাধান এক নিমিষেই করে ফেলেন,অসম্ভব বলে কোনো শব্দ যেন উনার অভিধানে নেই। তারপরে পাঠক দেশসেরা বিখ্যাত নিউরোসার্জন হিসাবে দেখতে পাবে ডা. শামস ইবনে আলমকে। যার পেশাগত ডাক্তারি জীবনে অসফল হওয়ার নজির নেই বললেই চলে। কিন্তু কিছুদিন ধরে হঠাৎ করেই এর ব্যাতিক্রম ঘটনা ঘটতে শুরু করলো। একের পর এক অপারেশন সাকসেসফুল করার পরেও যখন রোগী বাসায় ফিরে আসে,আর তার কিছুদিনের মধ্যেই কোনো এক অজানা কারনে রোগীর মৃত্যু হয়।আর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো মারা যাওয়া প্রতিটা রোগীই মেয়ে এবং তাদের অস্বাভাবিক মৃত্যু। মরে যাওয়া প্রতিটা রোগীর একই রকম আচরন যেন ভাবনার উদয় ঘটায় ডা. আলমের মস্তিষ্কে।তিনি সন্দেহের পিছু ছাড়লেও যেন সন্দেহ কিছুতেই পিছু ছাড়তে চাইনা ড. আলমের।তাই আর সাতপাঁচ না ভেবেই তার জীবনের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহকারী সালামের উপর দায়িত্ব দেন মৃত রোগীদের সার্বিক তথ্য সংগ্রহের। প্রথমে সালামের তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়ার অনিচ্ছা এবং ডা.আলমের সামনে ইন্টার্নি ডা. মিতুকে বারবার অপয়া হিসেবে তুলে ধরার বিষয়টিই যেন পাঠকের মনে নতুন ভাবনার সৃষ্টি করবে।এখান থেকে কাহিনীর দুটো মোড় নিতে পারে।প্রথমত হয় ড. মিতুকে অপয়া ভেবে তার ফেলোশিপ বাতিল করা। নাহয় দ্বিতীয়ত বিশ্বস্ত সালামের উপর সন্দেহের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি অর্পণ করা।কিন্তু এখানে ড. আলমের নিয়মিত উঠাবসা করা বিশ্বস্ত সালামের উপর যেন প্রাকৃতিক নিয়মেই সন্দেহের উৎপত্তি হয়নি।যার পরক্ষনেই হাজারো স্বপ্ন আর আকাশচুম্বী প্রত্যাশা নিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করতে চাওয়া ইন্টার্ন ড. মিতুর ফেলোশিপ বাতিল হয়ে যায়। অশুভ এক শক্তির সন্ধিক্ষণে পড়ে জীবনের স্বপ্ন,সাধনা এবং প্রত্যাশার কাছে মাথানত করে, পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ গ্রহন করতে হয় তাকে। তীব্র চিন্তা আর হতাশার বেড়াজাল থেকে যখন মুক্তি মিলে না তার,ঠিক তখনই "ডুয়েল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার" লাগাম ছাড়া অস্বাভাবিক জীবন উপহার দেয় তাকে।একটা নির্দিষ্ট সময়ে নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ হারায় সে।এভাবেই উপন্যাসটির কাহিনির নতুন মোড় নেয়। দিল্লির বিখ্যাত নিউরোসার্জন ডা. এস আগারওয়ালের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা এবং ছোট্ট একখানা চিরকুট নিয়ে ফেরত আসা ছোট্ট সুন্দরী মেয়েটা দিবা "রেয়ার ম্যালিগন্যান্ট স্পাইনাল কর্ড টিউমার" নামক ব্যাধি নিয়ে ভর্তি হয় ডা. আলমের চেম্বারে। এরই মাঝে জড়িয়ে পড়া অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে যেয়ে তীব্র বিলম্বের স্বীকার হয় মেয়েটার অপারেশন। যখন নিজের চোখের সামনে নিজের মেয়ের বেঁচে থাকার সব দরজা একে একে বন্ধ হতে শুরু করে,ঠিক তখনই রিপা (দিবার মা) তার প্রিয় স্যার খেদুমিয়ার শরণাপন্ন হয়।সবকিছুতেই বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া গল্পের প্রধান চরিত্র খেদুমিয়া অপারেশনের দেরী হওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে নিজের অজান্তেই আবিষ্কার করে ফেলেন একজন পার্ভাটেড (বিকৃত মস্তিষ্ক) মানুষকে। এই ধরনের মানুষেরা সাধারণত মানুষকে আঘাত করে অধিক আনন্দ পেয়ে থাকে। ঠিক এই সময়টাতেই পাঠকের মনে হবে রহস্যের জট হয়তো খুলতে চলেছে।কিন্তু এখানেই শেষ হবে না রহস্যের বেড়াজাল। জানি পাঠকের মনে এখন উদয় হবে নানা প্রশ্নের,,, কেন রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হচ্ছিল আর কেনই বা সেটা মেয়ে হতে হবে? সালাম কেনই বা মিতুকে বারবার অপয়া প্রমান করতে ব্যতিব্যস্ত হয়েছিল?খেদুমিয়া কোন ব্যক্তির আচরণে পার্ভাটেড বিষয়টি খুঁজে পেয়েছিলো?? এসকল অজানা প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে অবশ্যই বইটা পড়তে হবে পাঠককে। 🔰চরিত্রায়নঃ বইটির অনেক গুলো চরিত্রের একটাকেও কেন জানি না আমার অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হয়নি। প্রতিটা চরিত্রই তাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে অধিক শক্তিশালী মনে হয়ছে। প্রতিটা চরিতেই লেখক আলাদা আলাদা রহস্যের পরিপূর্ণ স্বাদ দিয়েছেন। প্রতিটা চরিত্রই কাহিনীর কোনো না কোনো একটা পর্যায়ে যেয়ে আলাদা একটা সৌন্দর্য্য বহন করবে। স্বার্থকভাবে ফুটে উঠেছে প্রতিটি চরিত্র। খেদুমিয়া----- উপন্যাসের প্রধান চরিত্র খেদুমিয়াকেই পাঠক দেখতে পাবে সবচেয়ে মার্জিত চরিত্র হিসাবে। তার অধিক বিচক্ষণ জীবনধারা, সবসময়ই তীক্ষ্ণ ও রহস্যময় চিন্তাধারা পাঠকের খুবই সহজেই মনে ধরবে।পাঠক তাকে পড়বে আর অবাক হবে। ডা. আলম----- ডা. আলম চরিত্রটিকে আমি প্রথমে যতটা শক্তিশালী হিসেবে ভেবে বসেছিলাম,শেষপর্যন্ত আসলে ততোটা হয়নি।এতো বড়মাপের একজন ব্যক্তি,যিনি কিনা নিজেই নিজের মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ হারাতে বসেছিলেন।পুরনো স্মৃতিকে বারবার টেনে সামনে নিয়ে এসে নিজেকে দূর্বল প্রমাণ করে দিয়েছেন। মিতু----- মিতু চরিত্রটি আমাকে অনেক ভাবিয়েছে। তার ক্যারিয়ার তিলে তিলে শেষ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আমার হৃদয়ে ঘন মেঘ জমার মতো অবস্থা সৃষ্টি করেছে।চরিত্রটি বারবার আমার ভাইয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে,চিন্তামগ্ন করেছে আমাকে।মিতু চরিত্রকেই কেন্দ্র করে রহস্যের উদঘাটন হয়েছে। তিথি---- মিতুর বন্ধু হিসাবে তিথি চরিত্রকে আমার একটু আজব লেগেছে।কারণ তিথির কারনে কয়েকবার মিতু মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছে।তবুও কেন মিতু তিথিকে একটাবারের জন্যেও প্রশ্নবিদ্ধ করল না।এটা উত্তর আমার এখনও অজানা। সালাম---- এই উপন্যাসের সবচেয়ে শক্তিশালী,সুক্ষ, সুচারু এবং দক্ষ চরিত্র হচ্ছে সালাম। কোনো অংশে কম নেই বলা চলে।সে তার ক্ষমতার চাইতে বেশিটুকু করে দেখিয়েছে।তার সবকিছু ম্যানেজ করার দক্ষতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। দিবা ও রিপা---- গল্পের প্লট তৈরী করার জন্যে যতটুকু বলা প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই এদের বিষয়ে বলা হয়েছে। এছাড়াও বাকি যেসব চরিত্র রয়েছে,তাদের যেখানে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই দেখিয়েছেন লেখক।প্রত্যেকের আলাদা আলাদা বিবরণ ও কার্যক্রমের মাধ্যমে লেখক দক্ষভাবে সমাপ্তি ঘটিয়েছেন প্রতিটা চরিত্রের। 🔰পাঠ পর্যালোচনাঃ বইটির প্রথমেই পাঠক স্বাভাবিক জীবনধারাকে দেখতে পাবে। হঠাৎ করেই ছোট্ট একটা রহস্যের সৃষ্টি করবে পাঠকমনে যখন চেন্নাইয়ের একটা ফকির রিপার হাতে কয়েন দিয়ে শর্ত ছুড়ে দিবে।কিন্তু তারপরও আবার সবকিছু স্বাভাবিক দেখা যাবে।এর পরেই আসবে অজানা এক গোলকধাঁধা যার রহস্য উদঘাটন করাটাও পাঠকমনে লোমহর্ষক কাহিনীর সঞ্চার ঘটাবে।একাধারে সকল চরিত্রের বিশেষত্ত্ব সামনে আসবে। প্রথমে স্বাভাবিক অবস্থানে থাকলেও পরবর্তীতে সকল চরিত্রেরই রহস্যময়তা পাঠক উপভোগ করবে।অপরাধ যে অপরাধ-ই,সেটা আপনের ক্ষেত্রে হোক বা অন্যের ক্ষেত্রে।পাঠক চিরকাল মনে রাখবে। 🔰পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ প্রথমেই বলি উপন্যাসটির প্রথম পাতা থেকে শেষ পাতা পর্যন্ত আমাকে একই ভাবে টেনেছে। কখনোই একটুও স্লো মনে হয়নি।প্রতিটি মুহুর্তে আমাকে দিয়েছে দমবন্ধ করা নতুন এক অনুভূতি। বইটির প্রতিটা পাতার শেষে আকর্ষণ থাকবে পাঠককে পরবর্তী পাতায় নিয়ে যাওয়ার। কাহিনীর ছোট ছোট রহস্য যেন শেষ হয়েও শেষ হবে না,আর তখনই কাহিনির নতুন নতুন মোড় নিবে,যা আমাকে প্রবলভাবে বইটির শেষ পাতা পর্যন্ত আকর্ষিত করেছে। লেখক উপন্যাসের কাহিনীটা সুন্দর সাবলীলভাবে দেখালেও অতিরিক্ত মেডিকেল টার্মগুলো আমার জন্যে একটু জটিলতার কারন হয়ে দাড়িয়েছে।তবে উপভোগ্য ছিলো নতুন কিছু শেখার বিষয়টি।আমার একটু অদ্ভুত অনুভূতির কথা শেয়ার না করলেই নয়।খেদুমিয়া যখন পোস্টমর্টেম করা লাশগুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করলো ঠিক তখনই ড.মিতুর কাহিনী আসার কারনে সেটা চাপা পড়ে গেল।সকল রহস্যের সমাধান দেখানো হলেও পরবর্তীতে ওই লাশগুলোর বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।এটা হয়তো একটু পরিষ্কার হতে পারতো। যাইহোক আপনি যদি রহস্য,প্যারানরমাল জনরার উপন্যাস প্রেমী হয়ে থাকেন তবে আমি বলব উপন্যাসটি আপনার জন্যেই। উপন্যাসটির প্রতিটা পাতা একটা পাঠকের বইপড়ার আগ্রহকে শতগুনে বাড়িয়ে দিবে। 🔰লেখনশৈলী ও বানানঃ লেখার ধরন কোমল ও সহজতর ছিলো।প্যারানরমাল উপন্যাস হিসেবে রহস্য,আদিভৌতিকতা,ভয় সবকিছুই যেন উল্লেখ্য এই বইটিতে। লেখকের নিজস্ব তার নিজের দর্শন এবং মহৎ পেশাকে খুবই দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে গল্পের বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে।লেখকের অসাধারণ লেখনশৈলীর দক্ষতায় সবগুলো চরিত্রই আমার কাছে জীবন্ত হয়ে উঠেছে । অনেকগুলো মেডিকেল টার্ম,শিক্ষনীয় বিষয়, যা গল্পের প্লট মোটেও নষ্ট করবে না। 🔰মলাট, বাঁধাই, প্রোডাকশন কোয়ালিটিঃ প্রোডাকশন কোয়ালিটি, পৃষ্ঠার মান ও বাঁধাই যথেষ্ঠ ভালো ছিল।অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে বইটি।ভালো মানের কাগজ ব্যবহার করা হয়েছে বইটিতে।আর প্রচ্ছদেই যেন বইটির বিষয়বস্তু আংশিক প্রকাশ পেয়েছে।নামকরণটাও যেন গল্পের প্রধান চরিত্রের নামকে ঘিরেই হয়েছে। 🔰লেখকের উদ্দেশ্যেঃ লেখককে নিয়ে অতিরিক্ত করে বলতে চাই না।কারন যাই বলব তা কম হয়ে যাবে।লেখকের খেদুমিয়া বইটি আমি প্রথম পড়েছিলাম সেই অনেক আগে।তারপর থেকেই উৎসুক হয়ে থাকতাম কখন তার দ্বিতীয় পার্ট বের হবে।অবশেষে পেয়েও গেলাম।মাঝে মাঝে মনে হয় এত সুন্দর লেখার অনুপ্রেরণা তিনি পান কোথা থেকে।এতো সাবলীলভাবে প্লট সাজানো তারপর আবার রহস্যের চরম পর্যায় রচনা করা সহজ কথা নয়।যাইহোক লেখককের প্রতি অনেক অনেক শুভকামনা এবং ভালোবাসা এমন একটা বই পাঠকমহলকে উপহার দেওয়ার জন্যে। এই অংশটার লেখা হয়তো আমি শেষ করতে পারব না,তাই লেখককে নিয়ে আর বেশি কিছু বলব না।পাঠক পড়বেন তারপর বিচার করবেন।এখানেই শেষ করতে হচ্ছে। 🔰ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৫/৫ "পৃথিবী বইয়ের হোক।ব্লাকহোলের গহ্বরের পতিত হোক পৃথিবীর সকল কিছু।শুধু বেঁচে থাকুক আমার প্রিয় সব বইগুলো"😇
Was this review helpful to you?
or
ধূম্রজালে খেদু মিয়া বইটা না পড়লে বুঝা যেতো না বইটা কত সুন্দর। সব কিছু মিলে লেখক তার বইটাকে অসাধারণ করে তুলেছে।প্রতিটা লেখার মধ্যে বাস্তবতা ফুটে ওঠেছে।এই বইটা পড়ে আরো লেখকের নতুন বই পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে যেনো আরো সুন্দর সুন্দর বই আমরা পড়তে পারি লেখকের কাছে প্রত্যাশা।❤️
Was this review helpful to you?
or
খুব আগ্রহ সহকারে বইটি পরলাম।আমার কাছে বইটি অনেক অনেক ভাল লেগেছে।বইটি সহজ ভাষায় লিখা হয়েছে।যারা নতুন পাঠক তাদের জন্য খুব সহজেই বোধগম্য হবে। ভাষা, শব্দ চয়ন সাবলীল হয়েছে।রহস্যে ঘেরা বইটি খুবই উপভোগ্য।বইটি পড়ে আমি বারবার শিহরিত হয়েছি। আশা করি সব ধরনের পাঠকের কাছে বইটি ভাল লাগবে। নবীন তরুণ এই লেখকের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি। ❤️
Was this review helpful to you?
or
Asim Himel ধূম্রজালে খেদু মিয়া বইটি দুই দিনে পড়ে শেষ করলাম। এক কথায় চমৎকার লেখা। শুরু তে পড়তে দেরি হয় রিপা র মেয়ে ব্যাপার টা এরপর তরতর করে পইপই করে পড়ে ফেলেছি, 😊।লেখকের আরো নতুন লেখা পড়ার অপেক্ষা য় আছি।
Was this review helpful to you?
or
লেখকের সাথে বই হাতে। বইমেলা-২০২৩ পর্ব-১ বুক রিভিউ পুস্তকের নাম- ধুম্রজালে খেদু মিয়া। দীপ্তমান লেখক অসীম হিমেল লিখিত 'ধুম্রজালে খেদু মিয়া' উপনাসটি এক বসায় পড়ে শেষ করার মতো বই হলেও আমি একবারে শেষ করতে পারিনি। কারন, এখানকার চরিত্রগুলো বারবার সাসপেন্স এবং থ্রিল তৈরি করেছে। পাঠক ঘটনার আবহ পুরোটা মাথায় না নিলে ডোপামিন ও অক্সিটোসিন নির্গত হবে না, যা এ ধরনের থ্রিলো উপন্যাসের জন্য প্রয়োজন। উপন্যাসের খেদুমিয়া চরিত্রটি সুররিয়েলিজমের একটি প্রচ্ছন্ন প্রতিচ্ছবি। প্যারানরমাল বিষয়ে মানুষের মোহ আছে সৃষ্টির শুরু থেকে।আবার যৌক্তিক চিন্তার উপর এই সভ্যতা দাড়িয়ে। খেদু মিয়া র ভাষায়- 'আমি রহস্য আবেগ ও যুক্তি দিয়ে সমাধান করতে চাই' -পৃষ্ঠা, ১৩। অন্যদিকে মিতু আমাদের দ্বান্দ্বিক পারসোনালিটির প্রতিচ্ছবি। ডা: আলম, আসলাম ও অন্যান্য চরিত্ররা আমাদের অচেনা নয়।লেখক আমাদেরকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের আধুনিক ব্যবস্হা থেকে মনের কুসংস্কারের বেড়াজাল পুরোটা ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের অনেক শব্দের সাথেও পাঠক পরিচিত হবেন। বইয়ের ভেতর আর কী আছে জানার জন্য বইটি পরতে হবে। লেখক আপনাকে সরাসরি কিছু না বললেও আমি বলতে পারি আপনি ধুম্রজাল থেকে বের হয়ে আসবেন। লেখকের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি। অলোক পাল সহকারী অধ্যাপক
Was this review helpful to you?
or
যখন বই কিনতে বইমেলাতে গেলাম তখন বিকেল ৫ টা বাজে। অন্যপ্রকাশে যখন গেলাম ধূম্রজালে খেদুমিয়া বইটি কিনবো তখন ওরা বললো আমাদের স্টকআউট হয়ে গিয়েছে। আপনারা ১০ মিনিট অপেক্ষা করেন বই আসবে। এতো ভিড় ছিলো এই স্টলে। যাই হউক অপেক্ষা করতে লাগলাম। অবশেষে বইটি হাতে পেলাম। বাসায় এসে সারাদিন এতো ঘুরাঘুরি করার পর আর মনে হচ্ছিলো না বইটি পড়ি। কিন্তু মনে মনে ভাবছিলাম ফেসবুকে তো আমি এই বইয়ের কিছু অংশ পড়েছি। আমার কাছে অন্য রকম একটা বই মনে হয়েছে।আদি ভৌতক কাহিনী ও আছে। যতটুকু পড়তে পারি এখনি পড়ি।পড়ে বাকিটুকু পড়েরদিন পড়বো। রাত তখন ৩ টা বাজে।কিন্তু ঘুম আসছিলো না বার বার মনে হচ্ছিলো বই টা শেষ করেই ঘুমাই।রহস্য লাগছিলো বইটা। এক পৃষ্ঠা ২,পৃষ্ঠা করে পড়তে পড়তে কখন যে শেষ করে ফেললাম বুঝতে পারি নাই। বইটা এতো অসাধারণ বইটার মধ্যে আমি ছোটবেলার গন্ধ পেয়েছি। মনে হচ্ছিলো আমি শৈশবে চলে গেছি।যদি ও এটা একটা ভৌতিক প্যারাসাইকোলোজিক্যাল উপন্যাস। তারপর ও লেখক এতো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে প্রতিটা লাইনকে।মনে হচ্ছে আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা।একটা লেখক কিভাবে এতোগুলা গুনের অধিকারী হতে পারে অসীম হিমেল কে দেখলে বুঝা যায়।আমার মতে ওনি একজন ভালো ডক্টর হিসেবে যেমন সবার মন কেড়ে নিয়েছে।তেমনি লেখক হিসেবেও।বইমেলাতে না গেলে বুঝা যাবে না। কি উপচে পড়া ভিড় ছিলো লেখকের অটোগ্রাফের জন্য। আমার মনে হয় লেখকের প্রতিবারের বই মত এই বইটাও অনেক জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকবে। এবং পাঠক ধরে রাখতে সমভাবে সক্ষম হবে। প্যারানরমাল আদিভৌতিক বইটি আসলেই অসাধারণ একটা বই।না পড়লে আসলেই অনেক মিস করে ফেলতাম। অনেক উৎসাহ নিয়ে বইটা শেষ করে ফেললাম। পাঠিকা হিসেবে সত্যি বইটি পড়ে আমি অনেক মুগ্ধ হয়েছি। আর ভক্তে পরিনত হয়েছি।❤️
Was this review helpful to you?
or
গল্প বা উপন্যাস বর্তমানে খুব একটা পড়া হয় না। ডিজিটাল যুগে সবকিছুই সহজে পাওয়া যায়। অনেকদিন পর একটা সুন্দর প্যারানরমাল উপন্যাস পড়লাম। এমনিতেই আমার রহস্যময় জিনিস খুব ভালো লাগে। এ বইটি পড়ে সারাক্ষণ টানটান উত্তেজনা অনুভব করেছি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনেক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, চিকিৎসার অনেক কিছু জানা সম্ভব হয়েছে। কঠিন শব্দ গুলির ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, যার ফলে নবীন পাঠকের বুঝতে সুবিধা হবে। এ ধরনের লেখা নবীন পাঠকের আগ্রহ সৃষ্টি করবে। এ বইটি পড়ে আমি অনেক কিছু শিখলাম। লেখকের কাছে এ ধরনের লেখা আরো আশা করি।পরিশেষে লেখকের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনায়... ❤️💙
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় দারুন উপভোগ্য একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
ধুম্রজালে খেদুমিয়া গল্পের বই পড়া এক সময় নেশার মতো ছিলো। গত ১ দশক বা তার বেশি গল্পের বই তেমন পড়া হয়নি। পড়া হয়নি বলা ভুল, দুয়েকটা পড়ার জন্য নিয়েছিলাম হাতে কিন্ত শেষ করতে পারিনি, ইচ্ছে হয়নি, টানেনি বলা যায়। সমরেশ, শীর্ষন্দু, হুমায়ুন আহমদ ভালোই লাগতো পড়তে। ভেবেছিলাম বয়সের সাথে রুচির পরিবর্তন হয়তো বই বিমুখ করে ফেলেছে। ইতিহাস নিয়ে বা আত্মজীবনী মূলক বই পড়া শুরু করলাম। তাতে যে খুব লাভ হলো তা নয় বরং দেখতে পেলাম ইতিহাস নিয়ে ও লেখকদের মাঝে বিভেদ বিদ্যমান। এরকম একটা পরিস্থিতিতে এবারের বই মেলায় গিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে। বই কিনবো এমন স্ট্রং ইচ্ছে নিয়ে যাইনি। অসীম এর বই দেখে কিছুটা আগ্রহ নিয়েই কিনলাম। ডাক্তার যখন লেখক। বইটি পড়ার আগেই একটা ধারণা পোষণ করেছিলাম। বেশ মোটা বই। কয়দিন যে লাগে পড়তে!!! মাত্র ৩ দিনে শেষ। অনেক বছর পর এতো দ্রুত একটি বই পড়ে ফেললাম। একটি টানেলে প্রবেশের পর বেশ কয়েকটি শাখা, সেই শাখাগুলো আবার শেষে একটি টানেলে সমাপ্ত। আর এর মাঝেই ঘটে যায় কত ঘটনা। এ যেন বাস্তব জীবনের নিয়তি। খেদু মিয়া যেমন মিলিয়ে ফেলেছে, অসীম ও দারুণ ভাবে টুইস্ট তৈরি থেকে তার সমাধান ও করেছে। তবে আমার কাছে একটা বিষয় বেশ কম মনে হয়েছে। লেখক ই ভালো জানেন। খেদু মিয়ার উপস্তিতি সমগ্র বইয়ে রিলেটিভ্লি কম মনে হয়েছে। হতে পারতো ডা আলমের ধুম্রজালের জীবন। খেদু মিয়া তার ত্রানকরতা হিসেবে হয়তো অগ্রাধিকার পেয়েছে। তবে অস্বাধারন একটি বই। দারুন লিখেছে। একবারে শেষ করার মতো সব উপকরণ এতে বিদ্যমান। ধন্যবাদ লেখক কে।