User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্য আমার অতি আপনার, নিবিড়তম অনুভবের... তবে সমসাময়িক লেখা পড়া হয় অনেক কম। নতুন লেখকের তো আরও কম। মনে হয়.. কত কত ক্লাসিক বাকি, বাকি কত বিখ্যাত বই…আর, ব্যস্ত জীবনের সময়ের ঘড়িঘরের প্রতিটি কাটার স্পন্দনই তো অমূল্য... তো অনেকদিন বাদে এক প্রিয়জনের কাছে নতুন দুইটি বই উপহার পেলাম... 'ধুম্রজালে খেদু মিয়া' ও 'নক্ষত্রের আলো'। লেখক পরিচয় থেকে জানলাম, না একদম নতুন নয় তো সে সাহিত্যের বাজারে। ইতিমধ্যেই অসীম হিমেল সুপরিচিত ও পাঠকপ্রিয় নাম.. একটি বইয়ের সিরিজও বেড়িয়েছে। বইগুলো কি যত্নে ছাপানো, যেমন রূচিশীল প্রচ্ছদ, তেমনি সুন্দর পুরু কাগজে ছাপা.. অন্যপ্রকাশের প্রকাশনায়, ধ্রূব এষের প্রচ্ছদের কথা মনে করিয়ে দেয়। দেখেই এক কাপ চা হাতে পড়া শুরু করতে মন তাগাদা দিতে থাকে। নানা কাজে শুরু করতে দেরি হলেও, যেই শুরু করলাম... প্রায় একটানা পড়ে শেষ করলাম। ১. দুটো বইই চমৎকার, তবে ধূম্রজালে খেদু মিয়া... পড়ার সময় বিরতি দেয়াই কঠিন। বিজ্ঞানমনস্কতা, আধুনিকতা ও রহস্যের নিরেট বুননে এগিয়েছে কাহিনী...সাহিত্যের রসবোধ অক্ষুন্ন রেখে। প্যারানরমাল জগতের রহস্যেরা উঁকিঝুঁকি দিলেও, যুক্তি, বাস্তবিকতা ও বিজ্ঞান অনুপস্থিত নয়। দুই প্রধান চিকিৎসক চরিত্র মিতু ও প্রফেসর আলমের পেশাগত জীবনে হটাৎ অাসা রহস্যঘেরা বিপদে সাহায্যে এগিয়ে অাসেন খেদু মিয়া। খেদু মিয়ার বিশ্লেষণী শক্তি, অতিবাস্তব জগতের সাথে আদান প্রদান ও রহস্য উদ্ধারের পথচলাতেই পাঠক পরিচিত হতে থাকে সমাজের খাজে খাজে লুকিয়ে থাকা কিছু কদর্যতার ও রূঢ় বাস্তবতার। বইটিতে বিভিন্ন চরিত্র ও তাদের ভিন্ন কাহিনীগুলো বৃহত্তর ক্যানভাসে এসে মিলে যায় সাবলীলভাবে। প্রায় প্রতিটি চরিত্রই খুজে পাওয়া যায় আমাদের সমাজে, হোক সে মিতুর রক্ষনশীল বাবা-মা, বা সোমনাথ ওঝা বা সালামের মত ধুরন্ধর পারভার্টেড আপরাধী। বলাই যায়, চরিত্রগুলো জীবনঘেষা, বা জীবন থেকে নেয়া। অন্যদিকে, উপন্যাসের শেষে এসে, মিতুর পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার বা ডক্টর আলমের সার্জিক্যাল ব্লক এর সমস্যা মানব মনের বিচত্র ও জটিল মানচিেত্র আলোকপাত করে। উপন্যাসটি শেষ হয় গতানুগতিক প্রেম বা মিলনের গল্প ছাড়াই। এই বিষয়টিও খুব ভালো লেগেছে... সত্যিই তো আজকের পৃথিবীতে জীবন শুধুমাত্র সম্পর্কের সমীকরণেই আবদ্ধ নয়। এর ব্যাপ্তি বিশাল.. সম্পর্কে, কর্মে ও অর্জনে...। সবশেষে, বেশিরভাগ রহস্যের মীমাংসা হয়ে গেলেও, ছোট ছোট কিছু রহস্য অমীমাংসিত রয়ে যায় ঠিক আমাদের রহস্যময় জীবন ও জগতের মত। ২. 'নক্ষত্রের আলো' উপন্যাসটি রচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাসে একঝাক তরুন-তরুনীর জীবন ও জীবনের পথের উপলব্ধি , অবগাহন ও পরিণতির পথচলায়। শুধুই একটা প্রেমের গল্প বলা যাবেনা একে। জীবনের সংগ্রাম, সমসাময়িক ছাত্র রাজনীতির ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিক ও দৃস্টিভঙ্গির পরিচয় ও তরুন মনের পরিণত হওয়ার গল্পও বটে। এবং আবারও খুবই বাস্তবঘনিষ্ঠ কাহিনী। আজকের পরিবর্তিত পৃথিবী নিশ্চয় অনেক কঠিন যা তরুনদের জন্যও অপার সম্ভাবনার পাশাপাশি নানা ফাদ, হাতছানি ও জটিলতা নিয়ে বিরাজিত। আর চলতে থাকার নামই জীবন। এই উপন্যাসটির মজার দিক হল বাস্তবতার কঠিন হিসেব নিকেষের সাথেই স্বপ্নালু জগতের ছোয়া দিয়ে যায়। তারুণ্যের উচ্ছলতা, শাড়ি পড়ার আনন্দ, ঝুম বৃস্টির রিমঝিম, চায়ের কাপে ঝড়, আর নিখাদ বন্ধুতার সাবলীল স্বতস্ফুর্ত বর্ণনা খুব সহজে হৃদয়ের গহীনে আন্দোলিত করে। ফেলে আসা ক্যাম্পাসের স্মৃতিরা দোলা দিয়ে যায়। আরেকটি বিষয় নক্ষত্রের আলোকে সুখপাঠ্য করে তোলে.. লেখকের মায়াভরা প্রকৃতি ও শহরের বর্ণনা। প্রিয় শহর ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজে মোড়ানো আঙ্গিনা, পাখির অভয়ারণ্য, জলাধার, হাতিরঝিল সব এই লেখকের মায়াবি কলমের আচরে, ছাপার হরফে মুদ্রিত। জীবন রূপকথা নয়। তাই গল্পের ছলে, লেখক আজকের তারুণ্যকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবনপাঠ দিয়ে যায়। তারই শব্দে.... "হারিয়ে যেয়োনা, অনেকে হারিয়ে যায়, অনেক হয়ো না" পরিশেষে বলতে চাই, অসীম হিমেল একজন দায়িত্বশীল লেখক। অসংখ্য তথ্য সম্বলিত, বাস্তব ঘনিষ্ঠ কাহিনীতেও তিনি সদা সতর্ক থেকেছেন, পাঠক যেন সমৃদ্ধ হন, বিভ্রান্ত নন। পাঠকের জীবনবোধ যেন নীতিবোধের বিপরীত না হয়, তার প্রচেষ্টা লক্ষনীয়।
Was this review helpful to you?
or
আমি এই লেখকের শাস্তি দাবি করছি। রীতিমত সংবাদ সম্মেলন করে এই লেখকের জবাবদিহিতা করা উচিত। কেমনে এভাবে হুট করে আমার মত নাজুক পাঠকদের একটা হার্ট এ্যাটাক দিয়ে দিতে পারে? 😭 আর দশজনের মত আমিও দুই তিন মাস ধরে অপেক্ষা করছি অসীম হিমেলের 'নক্ষত্রের আলো' র জন্যে। কখন একুশে বই মেলা আসবে, এটা প্রকাশিত হবে আর আমি বইটি লুফে নিয়ে গোগ্রাসে গিলবো। কারণ লেখক তার পোস্টের মাধ্যমে এই বইয়ের কিছু এত সুন্দর সুন্দর রোমান্টিক অংশ তুলে ধরতেন তাতেই বইটি পড়ার লোভ সর্ব তুঙ্গে। উফফ। সত্যি এই বইয়ের সে ধাপ গুলো পড়লে যে কেউ (ছোট থেকে বুড়ো এক কথায় আবালবৃদ্ধবনিতা) সেই রোমান্টিক দৃশ্যপটে সেই সুন্দর মুহূর্তগুলোতে হারিয়ে ফেলবে নিজেকে। সেই লেখার জাদুতে যেমনটা হারিয়ে গেছি আমি🙈। আমরা যেমন সমরেশ সুনীল পড়তে পড়তে শীমলা বা দার্জিলিং এর মেঘ ছোঁয়া পাহাড়ি এঁকে বেকে রাস্তা কিংবা কলকাতার অলিগলি ট্রামে করে ঘুরে ফেলতাম, ঠিক তেমনি এখন অসীম হিমেল পড়তে পড়তে ঢাকার কত কিছু যা আমি কখনও দেখিনি যেমন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও তার আসে পাশের অভয়ারণ্য, জলাধার থেকে অতিথি পাখির কিভাবে মাছ ধরে খাওয়া, পদ্মা/তিস্তার পাড় বা হাতিরঝিলের জুম বৃষ্টি....সবই আমার ঘুরে দেখা হয়ে গেলো লেখকের লেখায়, আমার অনুভবে। যেকোন পরিবেশের প্রতিটা মুহূর্ত এত সুন্দর সরল সাবলীল স্বতঃস্ফূর্ত বর্ণনা খুব সহজে হৃদয়ের গহীনে আন্দোলিত করে। তনু যুবায়ের নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বের ভালোবাসা ও রোমাঞ্চকর মুহূর্তগুলো যে কোনো বয়সে আবারও নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় বিশ্বাস গড়ে উঠবে। প্রেমে পড়ে যেতে ইচ্ছে করবে তনুর নীল শাড়ি পরে বৃষ্টিতে ভিজে যুবায়ের হাত ধরে হাটাতে, ভালো লাগা ভালোবাসা ও প্রেম প্রত্যেকটার ভিন্ন ভিন্ন কি সুন্দর সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম অনুভূতি গুলো শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ সত্যি অসাধারণ ....উফফ, আসল কথা না বলে আবারও হারিয়ে যাচ্ছি🙄 বই মেলায় না যাওয়ার কারণে একে তো বইটি দেরিতে হাতে পেযেছি, দ্বিতীয়তঃ চার পাঁচ দিন ধরে বইটি ধরবো ধরবো করে ধরা হচ্ছে না। যেই শুরু করি একটা না একটা কাজ বা ফোন কল চলে আসে তাই আবারও প্রথম থেকে শুরু করি। এমন করতে করতে সেদিন রাতে আঁটসাঁট বেঁধে বসে পড়ি একদম শেষ অব্দি শেষ করেই উঠবো বলে। ইসস শুরুতেই দাদু নাতনির নিখাঁদ ভালোবাসা আমার দাদীর নানান স্মৃতি বিজড়িত চেহারাটা মনে করিয়ে দিল, খুব খুব মিস করলাম আমার দাদীকে🥺। কিন্তু ছোটবেলায় অবহেলায় জর্জরিত অর্পার স্মৃতিগুলো যে এতটা কষ্টদায়ক, মনের সাথে চোখের বাঁধও ভেঙে দিল। বাবা মা বেঁচে থাকা সত্ত্বেও ক্লাস এইটের একটা ছোট্ট মেয়ে একবুক কষ্ট আর অভিমান নিয়ে বাবা মা ও ছোট ভাইকে ছেড়ে মামার বাড়িতে অবহেলায় থাকতে হলো নিজেকে তিল তিল করে গড়ে তোলার জন্য, একটা ছোট ফুলের মত মেয়ের জীবনে এর চেয়ে বেশি কষ্টের আর সংগ্রামের আর কি হতে পারে। মনে পড়ে গেলো আমাকেও ক্লাস সেভেন থেকে ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজে পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিল আমার ফ্যামিলি তবে সৌভাগ্যক্রমে সেটা হয়নি। যদিও আমার ভালোর জন্যই হয়ত এই সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন কিন্তু যদি আমাকে দিয়ে দিত সেই ক্যাডেট স্কুলে তাইলে বাবা মা ভাই বোন ছাড়া কিভাবে থাকতাম আমি, সে সময়ের সেই কষ্ট সেই অনুভূতি মনে পরে গেলো, অথচ হাজারো অর্পা এই দেশে অবহেলায় তীব্র কষ্টে গুমরে উঠা কান্না লুকিয়ে নিজের অধিকার লড়ায়ে এগিয়ে যায়। অর্পার ছোট থেকে জীবন সংগ্রাম করে বেড়ে ওঠা, আপনজন কিভাবে দূরের হয়ে যাওয়া আর তনু, অভি আপন হয়ে পাশে থাকা .... উফফ গল্পটার শুরুতেই এত ব্যথিত হয়ে গেলাম, ভাবলাম শেষটা ই নিশ্চই খুব সুখের আনন্দের হবে। হায়রে আল্লাহ , এ কেমন কঠিন বাস্তবতা , পড়তে পড়তে মাঝখানের ভালো লাগায় হারিয়ে যেতে যেতে শেষদিকে হঠাৎ করে বলা নাই কওয়া নাই বিশাল একটা ধাক্কা! যা শুধু মনকে না পুরো শরীরের প্রতিটা অর্গান কেও নাড়া দিয়ে দিলো আমার। প্লিজ মাঝরাতে কেউ এই বই পড়তে যাবেন না, নইলে আমার মত এই ধাক্কা সামলানো মুস্কিল হয়ে যাবে। তারপর দিন সারাদিন আমি পুরাই আচ্ছন্ন বিচ্ছিন্ন অসুস্থ রোগীর মত বিছানায়। কোনো কিছু তে মন বসানো দায়, বিক্ষিপ্ত এই মন শুধু ভাবে এইটা কি হইলো, এমন হৃদয়স্পর্শী অনুভূতিপ্রবণ লেখকের আবার একেমন নিষ্ঠুরতা? একটুও কি হাত কাঁপালো না, একটুও ভাবতে পারলো না পাঠকদের মনের কি অবস্থা হবে!? জানি, আপনারা লেখকরা এমনি, হয় হার্ট এ্যাটাক দিবেন নয় কাঁদাবেন। লেখক কেন এই হার্ট এ্যাটাক দিলো, কিভাবে দিলো, কেন বা আমি এর বিচার চাই, জানতে হলে পড়তে হবে এই বই। প্লিজ পড়ে জানান আপনরাও আমার সাথে একমত কিনা। আর যারা যারা পড়ে ফেলছেন তারাও প্লিজ জানান একমত কিনা। আসলে এটা শুধু একজন নারীর অসাধারণ হয়ে উঠার মর্মস্পর্শী জীবন সংগ্রামের গল্প নয়, সেই সাথে আরো অনেকের সাধারণ জীবনের গল্প যা পাঁচ মিশেলে অনুভবে ভরা। কখনো সম অসম প্রেমের সূক্ষ্ম অনুভব, দুই নারীর বন্ধুত্বের এত সুন্দর বন্ধন, ভাললাগা ভালোবাসার আবেশ, আবার জীবন সংগ্রামে এগিয়ে যাওয়া নারীর দুঃখ কষ্ট জেদ অভিমান ও আত্মসম্মান, অসাধারণ পাঁচ মিশালী বইটি পড়তে পড়তে যেমন আহত ব্যথিত হবেন তেমনি আবার ভালো লাগার পরশে হারিয়ে যেতে যেতে ধুপ করে আবারও হতাশায় ডুবে গিয়েও ভেসে উঠে দাঁড়াবেন। ঠিক নক্ষত্রের আলোর মত।। এই বইয়ে কিছু কিছু উক্তি বা বানী হৃদয়স্পর্শী, জ্ঞানমূলক যেগুলো মার্ক করে রাখার মত, যা সবার জীবনে চলার পথে উপদেশ/অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। যেমন, *চলতি পথে কতো মানুষ ভালোবাসবে,পছন্দ করবে,স্বপ্ন দেখাবে,পাশে এসে দাঁড়াবে। সবাই তো আর ভালোবাসার মানুষ হয় না।প্রয়োজনে অনেক মানুষের প্রয়োজন হয় জীবনে,প্রয়োজনীয় মানুষ হলেই যে কাছের মানুষ হবে,তা না। বিশেষ কাছের মানুষ একজনই হয়।* *কোন কিছু ছিনিয়ে আনতে হলে পায়ের নিচের মাটি শক্ত করা প্রয়োজন। আগে নিজের পায়ের মাটি শক্ত করো , তারপর এইসব অসঙ্গতির বিরুদ্ধে লড়াই করো!* *হারিয়ে যেয়ো না।অনেকে হারিয়ে যায়।অনেক হয়ো না!* *"এক জীবনে সব পেতে হবে এমন কোন কথা নেই* *মানুষের মন হলো আট কুঠুরি নয় দরজার মতো | কোন কুঠুরিতে কে এসে হুট করে বসে যায় আবার কোন দরজা দিয়ে বের হয়ে যায় সেটা মন নিজেই জানে না।* সবশেষে বলি, সাধারণ জীবনের অসাধারণ এই গল্পে কিছু অপূর্ণতা রেখে দিলেন লেখক, যেগুলোর উত্তর পেতে এই গল্পের দ্বিতীয় খন্ডের অপেক্ষায় থাকতে হবে। এইযে এই যুগের হুমায়ূন আহমেদ ওরফে অসীম হিমেল যে নিজেই এক নক্ষত্র, আপনাকে বলছি অপেক্ষায় রইলাম আরো একটা নক্ষত্রের আলোর। এটাই আপনার শাস্তি। যদিও জানি সরল সাবলীল শব্দের জাদুকরের কাছে আর একটা বই লেখা কোন ব্যাপার না।। ✍️আমি শামীম আরা চৌধুরী (অসীম হিমেলের নক্ষত্রের আলো পড়ে এই প্রথম ঘস্সা করা মেয়েটা। ভেবেছি রিভিউ লিখব না কিন্তু রেল লাইনের মত লম্বা এক রচনা লিখে ফেললাম)
Was this review helpful to you?
or
প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়, - জীবনানন্দ দাশ দীর্ঘ সময় যে নক্ষত্র উজ্জ্বলভাবে দীপ্তি ছড়ায় হঠাৎ সে আলো নিভে গেলে কারও কি কিছু আসে যায়! যারা নক্ষত্রের আলোয় নিজেকে আলোকিত করে তারা নিকষ আঁধারে গুমরে মরে তাদের খোঁজ কে-ই বা রাখে! কাহিনি সংক্ষেপ- টানাপোড়েনের সংসারের দায় কমাতে অর্পার বাবা অর্পাকে তার নানাবাড়িতে রেখে আসেন। সেখানেই অর্পা অবহেলায় অনাদরে বড় হয়। ভার্সিটির হলে উঠে পরিবর্তনের মুখ দেখে সে। পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে এগিয়ে যেতে চায় উন্নতির শিখড়ে। তাকে সঙ্গ দেয় বান্ধবী তনু আর প্রিয় মানুষ অভি। ছোট বড় সুন্দর মুহূর্তের সঙ্গী তারা। ভার্সিটির ঝামেলায় আটকে পড়া অভির মুক্তির অপেক্ষায় থাকা অর্পার স্বপ্ন ভেঙে যায় এক সকালে। যুবায়ের ও মুক্তার সংসারের মিল অমিলের ঝামেলায় শান্তির অবকাশ খুঁজে পায় অসম বয়সের বন্ধুত্বে। পাঠ প্রতিক্রিয়া- কাহিনির প্রত্যেকটা ধাপ বর্ণনা সুন্দর লেগেছে। কিছু কিছু জায়গায় চরিত্রগুলোর কথপোকথনে বাস্তব জীবনের প্রতিফলন ফুটে উঠেছে। তবে কিছু কথোপকথনের বিভিন্ন জায়গায় আঞ্চলিক এবং চলিত ভাষার মিশ্রণ খুবই খাপছাড়া গোছের মনে হয়েছে। কিছু উক্তি- ১. একটা মানুষ কারও কাছে অনেক কিছু আবার কারও কাছে কিছুই না। সবাই সবার কাছে গুরুত্ব পাবে না এটাই স্বাভাবিক। ২. পরিস্থিতি মানুষকে পরিবর্তন করে। কখনো ধীরে ধীরে, আবার কখনো খুব দ্রুত। ৩. মানুষের জীবনে কিছু সময় আসে, যখন চারপাশে অনেক মানুষ থাকা স্বত্ত্বেও মনে হয় কোথাও কেউ নেই। কৃষ্ণ গহব্বরের অতলে হারাতে থাকা অর্পার জীবন কোনদিকে মোড় নেবে? জীবন সুখের সহজ পথে আগাবে না-কি কঠিন বাস্তবতার নিকষ অন্ধকারে আড়ালে চলে যাবে নক্ষত্রের আলো? জানতে হলে উপন্যাসটি পড়ে ফেলতে হবে। বই- নক্ষত্রের আলো লেখক- Asim Himel প্রচ্ছদ মূল্য - ৫৮০ পৃষ্ঠা - ১৯১ প্রকাশনী- অন্যপ্রকাশ
Was this review helpful to you?
or
ডাক্তার বন্ধু Asim Himel নক্ষএের আলো বইটি পড়ে শেষ করলাম, এক বসায় পড়ে ফেলা র মতো বই,বইটি র ভেতর বিষয় নিয়ে আমি কিছু লিখব না সেটা পাঠক পাঠিকা পড়লে বুজতে পারবেন। লেখকের লেখার প্রতি আকৃষ্ট হয়েই সবাই এই বই পড়বে।এক কথায় এটা চমৎকার উপন্যাস। লেখকের আরো লেখা পড়ার অপেক্ষায়।বইটির প্রছচদ নজরকাড়া, আমার ৯ বছরের ছেলে ২দিন তার কাছে বইটি রেখেছে😊।বইটি প্রকাশ করেছে অন্যপ্রকাশ। অন্যপ্রকাশের ২৩ নাম্বার প্যাভিলিয়নে Asim Himel এর "নক্ষত্রের আলো " পেয়ে যাবেন।বই পড়ুন ভালো থাকুন।