
User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
রিভিউ ভাল দেখে কিনেছিলাম। প্রথম পর্ব টা পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছে নিজেকে অত্যাচার করছি। এমন থার্ড ক্লাস প্রেমের বর্ণনা পড়তে গিয়ে ভীষণ ভীষণ রকম বিরক্তি লেগেছে। খুবি ক্রিঞ্জ। বাকি ২ পর্ব আর পড়ার সাহস হয়নি।মোটামুটি আমার টাকাটা পুরাই নষ্ট।
Was this review helpful to you?
or
বই টা এক কথায় অসাধারণ হয়তোবা বইটার নাম দেওয়া হয়েছে ভৌতিক থ্রিলার হিশেবে বাট আমার কাছে মনে হল বইটা থ্রিলার কম দুষ্টু মিষ্টি কাহিনী বেশি এক কথায় পারফেক্ট মোটেও অত বেশি ভৌতিক না লেখিকাকে ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা বই আনার জন্য বইটা পড়ে আমার কাছে সম্পূর্ণ সত্যিকারের কাহিনী মনে হয়েছিল আমি এমনকি এটা ভেবে নিয়েছিলাম আমি জার্মানি গিয়ে ওই সব দেখব রাজকীয় ভিলা কিন্তু পরে মনে পড়ল এটা একটা কাহিনী বইটা আপনারা নিঃসন্দেহে কিনতে পারেন ধন্যবাদ। onk xoss 😫😫💞
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের সারসংক্ষেপ “কোহিনুর” একটি ফ্যান্টাসি–মিশ্রিত অতিপ্রাকৃত কাহিনি, যেখানে কালোজাদু, প্রেতাত্মা, পুনর্জন্ম, অর্ধ–মানব এবং দীর্ঘজীবী মানব প্রজাতির মতো থিমগুলোর সংমিশ্রণ ঘটেছে। গল্পটি তিনটি খণ্ডে বিভক্ত, এবং প্রতিটি খণ্ডই নায়িকা “কোহিনুর”- কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। প্রথম খণ্ডে, কোহিনুর এখনো জন্মায়নি — সে মায়ের গর্ভে অবস্থান করছে, কিন্তু তার চারপাশে রহস্যের পর্দা ঘনীভূত হতে থাকে। দ্বিতীয় খণ্ডে, কোহিনুর পৃথিবীতে আগমন ঘটায় এবং ধীরে ধীরে বোঝা যায় যে, সমস্ত অতিপ্রাকৃত শক্তির উৎস আসলে সে নিজেই। এখানেই গল্পের চূড়ান্ত আবেগ ও সংঘাতের বিন্দু, যেখানে কোহিনুরের মৃত্যু দিয়ে অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে। তৃতীয় খণ্ডে, পুনর্জন্মের মাধ্যমে কোহিনুর আবার ফিরে আসে— তবে এবার তার ক্ষমতার রূপ ভিন্ন, পরিবেশ ভিন্ন, এবং বাস্তবতা যেন আরও জটিল। --- গল্পের মূল আকর্ষণ লেখিকা চেষ্ট করেছেন কল্পনা ও বাস্তবতার মধ্যে এক সূক্ষ্ম সেতুবন্ধন তৈরি করতে। কালোজাদু, রহস্য, পুনর্জন্ম, এবং অতিপ্রাকৃত শক্তির ব্যবহার পাঠককে এক অদ্ভুত মায়াবী জগতে নিয়ে যায়। বিশেষ করে প্রথম খণ্ডের পরিবেশচিত্র, গর্ভস্থ সন্তানকে কেন্দ্র করে মায়ের সংগ্রাম এবং আবেগময় দৃশ্যগুলো বেশ গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। --- ত্রুটি ও অসঙ্গতি বিশ্লেষণ ১. অতিরিক্ত চরিত্রের ভিড় দ্বিতীয় খণ্ডে লেখিকা অপ্রয়োজনীয়ভাবে অনেক নতুন চরিত্র যুক্ত করেছেন। এত চরিত্রের কারণে মূল কাহিনির গভীরতা হারিয়ে গেছে এবং সম্পর্কগুলোর ট্র্যাক রাখা পাঠকের জন্য কঠিন হয়ে উঠেছে। কিছু ক্ষেত্রে চরিত্রগুলোর পারস্পরিক সম্পর্কের জটিলতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, লেখিকাও মনে হয় বিভ্রান্ত হয়েছেন— অথবা পাঠক হিসেবে আমিই সেই জটের ভেতরে হারিয়ে গিয়েছি। ২. টাইম ডাইমেনশন–এর অসংগতি তৃতীয় খণ্ডে পুনর্জন্মের সময়কাল ও চরিত্রের বয়স নিয়ে বেশ কিছু গাণিতিক ত্রুটি আছে। দ্বিতীয় খণ্ডে কোহিনুর মারা যায় ১৭–১৮ বছর বয়সে, কিন্তু তৃতীয় খণ্ডে পুনর্জন্মের পরেও তাকে আবার একই বয়সে দেখানো হয়েছে, অথচ সেই সময় পর্যন্ত নায়ক অন্তত ৪০ বছর বয়সী হওয়ার কথা। লেখিকা এই সময়রেখা সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৩. ভূগোলের অসামঞ্জস্যতা এক পর্যায়ে দেখা যায়, নায়িকা ছোটবেলায় সমুদ্রতটে হেঁটে বেড়ায়, যা বাসার খুব কাছেই— অথচ পরবর্তীতে একই সমুদ্রতটে যেতে গাড়ির প্রয়োজন হয়। একটি গল্পে একই স্থানের অবস্থানগত রূপ এতটা পরিবর্তন করা যৌক্তিক নয়; এটি পাঠকের ভিজ্যুয়াল ধারাবাহিকতা নষ্ট করে। ৪. চরিত্রের বয়স–নির্ভর যৌক্তিক ত্রুটি নায়িকার মা প্রথম খণ্ডে গর্ভবতী অবস্থায় প্রায় ১৮–২০ বছর বয়সী বলে অনুমান করা যায়। এরপর নায়িকা দু’বার ১৭–১৮ বছর করে বেঁচেছে— অর্থাৎ মোটামুটি ৫০ বছর পর মা’কে অনেক বেশি বয়স্ক দেখানোর কথা। কিন্তু লেখিকা তাকে ৩২–৩৩ বছরের তরুণী রূপে উপস্থাপন করেছেন। একইভাবে, নায়িকার বাবা’কেও অযৌক্তিকভাবে তরুণ দেখানো হয়েছে। ৫. থিম পুনরাবৃত্তি ও নৈতিক একঘেয়েমি প্রথম খণ্ডে নায়িকার মায়ের রোমান্টিক দৃশ্যাবলী এবং দ্বিতীয়–তৃতীয় খণ্ডে নায়িকার রোমান্স প্রায় এক ছাঁচে তৈরি। এতে চরিত্র ও প্রজন্মের মধ্যে পার্থক্য মুছে গেছে। তার চেয়েও বেশি বিরক্তিকর হলো— গল্পে “চুমু” শব্দটির আধিক্য, 🤮 কারণে অকারণে নারী চরিত্রকে কোলে তুলে নেওয়া যা কাহিনির আবহকে রোমান্টিকতার বদলে অযথা শারীরিক করে তুলেছে।🤮🤮 ৬. পুরুষ চরিত্রের দুর্বল উপস্থাপন গল্পজুড়ে পুরুষদের উপস্থাপন করা হয়েছে প্রায় একরকমভাবে— “সুন্দরী নারী দেখলেই বুদ্ধি হারায় এবং তাকে ভোগ করতে চায়।” এই একঘেয়ে, পুরুষবিদ্বেষী চিত্রণ সাহিত্যিক ভারসাম্য নষ্ট করেছে। অন্যদিকে, নারীদের দেখানো হয়েছে অতি–বুদ্ধিমতী, সহিষ্ণু, এবং প্রভাবশালী হিসেবে, যেন তারা প্রতিটি ক্ষেত্রেই পুরুষদের আধিপত্য দমন করতে সক্ষম। এই অসম শক্তিবিন্যাস গল্পের বাস্তবতা কমিয়ে দিয়েছে। ৭. সাংস্কৃতিক অযৌক্তিকতা গল্পের পটভূমি জার্মানি, কিন্তু সেখানে নাইট ক্লাবে ডিজে পার্টিতে হিন্দি গান বাজানো হয়েছে— এটি সাংস্কৃতিক বাস্তবতার পরিপন্থী। ইংরেজি বা ইউরোপীয় গান ব্যবহারের প্রত্যাশাই যুক্তিসঙ্গত ছিল। --- গল্পের সম্ভাবনা- “কোহিনুর”-এর মূল প্লটটি যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল— একটি পুনর্জন্মকেন্দ্রিক অতিপ্রাকৃত কাব্য হিসেবে এটি আরও গভীরভাবে ফুটিয়ে তোলা যেত। কিন্তু দুর্বল সম্পাদনা, অপ্রয়োজনীয় চরিত্র সংযোজন এবং সময়রেখার বিভ্রান্তি গল্পের শক্তিকে ক্ষীণ করেছে। এই উপন্যাসটি যদি তিন খণ্ডের পরিবর্তে মাত্র দুই খণ্ডে সীমাবদ্ধ রাখা হতো, এবং প্রয়োজনহীন চরিত্রগুলো বাদ দিয়ে মূল নায়িকা ও তার শক্তির উৎসকেই কেন্দ্রে রাখা যেত— তাহলে গল্পটি অনেক বেশি সংহত, প্রভাবশালী এবং পাঠযোগ্য হতো।




