-লেখক পরিচিতিঃ মোঃ জয়নাল আবেদীন ১৯৫৪ সালে বিক্রমপুরের শ্রীনগর উপজেলার বেঁজগাও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মেধাবী ছাত্র মোঃ জয়নাল আবেদীন ১৯৬৪ সালে প্রাথমিক ও ১৯৬৭ সালে জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেন।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ কতেন তিনি।১৯৭৫ সালের পূর্ব পর্যন্ত দুবার শ্রীনগর কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার থেকে জিএম,জনতা ব্যাংকে জিএম ও রূপালি ব্যাংকে ডিএমডি পদে আসীন ছিলেন।বর্তমানে তিনি ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
-কাহিনী সংক্ষেপঃ আত্মজীবনী মূলজ বইটিতে তিনি দীর্ঘ ৩৭ বছরের ব্যাংকিং পেশাী বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা স্বল্প পরিসরে সকলের বোধগম্য করে তুলে ধরেছেন। ব্যাংকিং ব্যবস্থা কিভাবে চলছে,হালচাল কেমন সে সম্পর্কে পাঠক কিছুটা হলেও ধারণা লাভ করবেন।নিজের অনিচ্ছা স্বত্বেও কলেজের শিক্ষকের কথা রাখতে গিয়ে ব্যাংকে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।সেই থেকে শুরু।৫ম গ্রেডে যোগদান করা অফিসারদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়স্ক(২২ বছর) ছিলেন তিনি।একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার জীবনের বিচিত্র ঘটনাবহুল একটি আদর্শ বই এটি।কর্মজীবনে নানান সময়ে নানান প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থানে গমন এখানে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।আকাশপথ ভ্রমনে এক ভীতি থেকে তিনি অস্ট্রেলিয়ার এক ট্রেনিংয়ে যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।দেশবরেণ্য নানান মানুষের সঙ্গে পরিচয়ের কথাও লেখক অকপটে স্বীকার করেছেন।
-পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ একজন উচ্চপদস্থ ব্যাংকার এবং তার সম্পর্কে ধারণা পেতে বইটি সহায়তা করবে।কর্মজীবনে উত্থান-পতন,মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক,মানুষের বিচিত্র স্বভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।শেষের অংশে লেখকের বর্ণাঢ্য জীবনের বেশকিছু ছবি সংযোজিত করা হয়েছে।
-লেখকের লেখনী নিয়ে কিছু কথাঃ সহজ সরল ভাষায় এক মলাটে নিজের জীবনের ৩৭ টি বছর তুলে ধরেছেন লেখক।পড়ার সময় কোনো বিরক্ত আসবে না।
মােঃ জয়নাল আবেদীন ১৯৫৪ সালে বিক্রমপুরের শ্রীনগর উপজেলার বেজগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মেধাবী ছাত্র মাে: জয়নাল আবেদীন ১৯৬৪ সালে শ্রীনগর ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক ও ১৯৬৭ সালে ষােলঘর এ, কে, এস কে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জুনিয়র বৃত্তি লাভ। ১৯৭০ সালে প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শ্রীনগর কলেজে প্রথম ছাত্র হিসেবে ভূতি। ১৯৭২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক ও ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (হরগঙ্গা কলেজ) থেকে (৪% পাশের হারে) স্নাতক ডিগ্রি অর্জন। ১৯৭৫-৭৬ শিক্ষা বর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি নিয়ে এম, এ পড়াকালে জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত। প্রতিযােগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকার্স রিক্রটমেন্ট কমিটির মাধ্যমে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে কর্মজীবন শুরন। ১৯৬৯ সালে। ঐতিহাসিক ১১ দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ, ১৯৭০ সালের। নির্বাচনে থানা ছাত্র দ্বীপের সভাপতি হিসেবে জনমত গঠনে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন। ১৯৭১ সালে অসহযােগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। ১৯৭২-১৯৭৫ পর্বে পর পর দুবার। শ্রীনগর কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন । কর্মজীবনে (১৯৭৭-২০০১) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার থেকে ডিজিএম, (২০০১-২০০৬) কৃষি ব্যাংক ও জনতা। ব্যাংকে জিএম, ২০০৭-২০১৩ রূপালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি । সিনিয়র, যােগ্য, সৎ ও মুক্তিযােদ্ধা কর্মকর্তা হওয়া। সত্ত্বেও দলীয় সরকারের আমলে একাধিকবার পদোন্নতি বঞ্চিত। বাংলা একাডেমী, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ও বিক্রমপুর সমিতির জীবন সদস্য, বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও সরকারি শ্রীনগর কলেজ প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির আহ্বায়ক। সম্পাদিত গ্রন্থ :- ‘একাত্তরের শ্রীনগর’ ও ‘কিংবদন্তী পুরুষ আব্দুল হাকিম বিক্রমপুরী' । প্রকাশিত গ্রন্থ :- শ্রীনগরের জনগণ : মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের ডায়েরি, মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি, একাত্তরের বধ্যভূমি, কর্মজীবনের স্মৃতি, কবিরের মুক্তিযুদ্ধ। প্রথম আলাে ও গ্রামীণ ফোন-এর উদ্যোগে প্রথমা প্রকাশিত ‘একাত্তরের চিঠি' গ্রন্থে দুটি চিঠি প্রকাশিত । সামাজিক ও পেশাগত কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ অতীশ দীপংকর গবেষণা পদক-২০০০, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সম্মাননা-২০০৩, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পুরস্কার-২০০৫, সালেহীন মেমােরিয়াল এ্যাওয়ার্ড-২০০৫, বাংলাদেশ স্কাউটস লেখক সম্মাননা-২০০৫, বাংলাদেশ নৌকমাণ্ডো এসােসিয়েশন। সম্মাননা ২০০৮, জিলানি কমপ্লেক্স (চট্টগ্রাম) গুণীজন সম্মাননা ২০০৮, চ্যানেল আই বিজয়মেলা সম্মাননা-২০০৯, সিদ্দিক মেমােরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ (রংপুর) সম্মাননা-২০০৯, বরণীয়। বিক্রমপুর সম্মাননা-২০১০ সহ অনেক সম্মাননা লাভ ।