"বিপ্লবী কিংবদন্তি: শামসুজ্জামান শামস" বইটি একজন সংগ্রামী, প্রগতিশীল রাজনীতিক ও সমাজকর্মী শামসুজ্জামান শামস-এর জীবন, আদর্শ, সংগ্রাম এবং কর্মজীবনের ওপর ভিত্তি করে লেখা। বইটি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন, ছাত্ররাজনীতি, বামপন্থি আন্দোলনে ভূমিকা, সাংবাদিকতা ও লেখালেখির জগতে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের প্রগতিশীল রাজনীতিতে তাঁর অসামান্য অবদান তুলে ধরে।
সারমর্ম:
শৈশব ও কৈশোর:
শামসুজ্জামান শামস-এর জন্ম, পারিবারিক পটভূমি ও ছোটবেলার রাজনৈতিক চেতনার বীজ বপনের ঘটনা আলোচনা করা হয়েছে।
ছাত্ররাজনীতি ও বামপন্থি ধারা:
তিনি কীভাবে ছাত্ররাজনীতিতে যুক্ত হন, বিশেষ করে বাম রাজনীতির প্রতি তার আকর্ষণ এবং নানা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
শিক্ষা, অধিকার, মুক্ত চিন্তার পক্ষে তাঁর অবিচল অবস্থান বইটিতে প্রতিফলিত হয়।
সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ:
সামরিক শাসন, দমন-পীড়ন, রাজনৈতিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে তার দৃঢ় অবস্থান ও সাহসী ভূমিকার চিত্র আঁকা হয়েছে।
জেল-জুলুম সহ্য করে কিভাবে তিনি আদর্শে অটল থাকেন, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ দিক।
সাংবাদিকতা ও লেখনী:
শামস সাংবাদিকতা ও লেখালেখির মাধ্যমে সমাজের অসঙ্গতি ও শোষণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন। তাঁর কলাম ও বক্তব্যে স্পষ্ট প্রতিফলিত হয় প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি।
উত্তরাধিকার ও প্রভাব:
তিনি প্রগতিশীল রাজনীতির এক অনুপ্রেরণাদায়ক চরিত্র, যার চিন্তা ও চেতনা আজকের তরুণদের জন্য দিশারী।
তাঁর জীবনের শিক্ষা বর্তমান সময়েও গণতান্ত্রিক চেতনা, মানবাধিকার ও সাম্যের জন্য সংগ্রামে পথ দেখায়।
উপসংহার:
বইটি মূলত একজন আদর্শবাদী বিপ্লবীর জীবনের দলিল। এটি শুধু জীবনী নয়, বরং প্রগতিশীল রাজনীতি, সমাজ পরিবর্তনের দর্শন ও আদর্শের প্রতি অঙ্গীকারের এক শক্তিশালী পাঠ। শামসুজ্জামান শামস-এর মতো মানুষদের জীবনগাথা থেকে পাঠকরা অনুপ্রেরণা পান — অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং ন্যায়-সমাজ গঠনে এগিয়ে যেতে।
যে ক’জন তরুণ লেখক অল্প সময়ে পাঠক মহলে জায়গা করে নিয়েছেন শামসুজ্জামান শামস তাদের মধ্যে অন্যতম। ২১ জানুয়ারি ঢাকায় জন্ম নেয়া এ লেখক পেশায় সাংবাদিক । পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেখালেকি চালিয়ে যাচ্ছেন শামস। ১৯৯৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৯৫। বিরহের নীল আকাশ, মেয়েরা এমনই হয়, মেঘ ভাঙা রোদ, মন দিয়েছি তোমায়, মনময়ূরি, চাওয়া পাওয়া, একাত্তরের আলাল-দুলাল উপন্যাসের মাধ্যমে পাঠক প্রিয়তা অর্জনকারী এ লেখক বহুল প্রচারিত একটি জাতীয় দৈনিকে সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক এবং পাক্ষিকের ঈদ সংখ্যায় গল্প, উপন্যাস এবং নানা বিষয়ের ওপর ১৯৯৫ সালে থেকে লিখছেন অবিরাম।