বেশ কয়েকবছর ধরে লেখালেখিতে মননিবেশ করা লেখক আনোয়ার তালুকদার গল্প,নাটক,উপন্যাস,ভ্রমণকাহিনী নিয়ে বেশ কয়েকটি লেখা পাঠকসমাজকে উপহার দিয়েছেন।সমানতালে চালিয়ে গিয়েছেন সাংবাদিকতাও!দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে চাকরিও করেছেন কিছুদিন।
-কাহিনী সংক্ষেপঃ লেখকের ইউরোপ ভ্রমণ নিয়ে রচিত 'কিছু পথচলাঃকিছু কথা বলা' বইটিতে ১৪ টি দেশের ভ্রমণ বৃত্তান্ত ছিলো।তবে,লেখকের আমেরিকা এবং কানাডা ঘুরে না দেখার আক্ষেপ বলি বা অফিসের কাজে সেখানে গমনের সঙ্গে নিজের মনোবাসনা পূরণ যা-ই বলি না কেন,সেই ভ্রমণ কাহিনী এই বইটিতে স্থান পেয়েছে।
বলা হয়ে থাকে আমেরিকার ভিসা জটিলতা অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি।তাই লেখক কিছুটা ভয়ে ছিলেন।কিন্তু,কোনে সমস্যা ছাড়াই লেখক ভিসা পেয়েছিলেন।আমাদের জাতিগত অভ্যাসের কারণে লেখকের বারদুয়েক এ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিলে যে,' ফিরে আসবেন তো?'
লেখকের প্রথম গন্তব্য ছিলো কানাডার টরেন্টো। যাত্রাপথে যদিও ভেঙে ভেঙে যাওয়া হয়েছে।এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করেছিলো পপু এবং মুন্নী।(দূরসম্পর্কের ভাগ্নী হয় মুন্নী)...সেখান থেকে নায়াগ্রা দেখতে গিয়েছিলো লেখক তার সঙ্গীদের সাথে।নায়াগ্রা অন্টারিও তে অবস্থিত। (অন্টারিও অর্থ সুন্দর লেক)প্রতি সেকেন্ডে ৩১৬০ টন পানি পতিত হয় এই জলপ্রপাত থেকে।এরপর একে একে মন্ট্রিল,অটোয়া দিয়ে কানাডা ভ্রমণ শেষ করেন লেখক।এবার আমেরিকার পালা...
হ্যাডসন নদীর সঙ্গে মিশ্রিত নিউইয়র্ক থেকে নিউ জার্সি,শিকাগো,সিনেমার জন্য বিখ্যাত লস অ্যাঞ্জেলস,সিন সিনাটি,ওয়াশিংটন সিটি,ভার্জিনিয়া,বোস্টনে লেখকের ভ্রমণের স্মৃতি একে একে তুলে ধরেছেন বইটিতে।
-পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ ভ্রমণ বিষয়ক বই পড়তে ভালো লাগে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে,তা যদি হয় আবার অনেকের স্বপ্নের দেশ আমেরিকা কিংবা কানাডা নিয়ে রচিত তাহলে তো কথাই নেই।লেখকের লিখনশৈলীর গুণে মনে হবে যেন লেখক তার সঙ্গে পাঠককেও ঘুরিয়ে আনছে দেশ-বিদেশের অজানা পথে।