লেখক পরিচিতিঃ মোস্তাক আহমেদ ১৯৫৬ সালের ঢাকা শহরের ঝিগাতলায় জন্মগ্রহণ করেন। কৈশোরেই পিতৃহীন হওয়ায় খুবই অল্প বয়সে তার জীবন সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হয়। ১৯৭০ সালে ওয়েস্ট এন্ড হাই স্কুলে এস.এস.সি, ১৯৭২ সালে ঢাকা সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৭৯ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮০ সালে ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সম্পন্ন করে তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার পাকুসিয়া উপহজলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রধান মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। উন্নত জীবন যাপনের আশায় বহুদেশ ঘুরে অবশেষে আমেরিকায় এসে পাড়ি জমান। কবিতা এবং সাহিত্যের প্রতি রয়েছে বিশেষ অনুরাগ। যার ফলে প্রায়ই লেখা নিয়ে পড়ে থাকেন তিনি।
কাহিনী সংক্ষেপঃ নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন কিংবা উন্নত জীবন যাপনের উদ্দেশ্য যা-ই বলি না কেন, লেখক বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন ১৯৮১ সালের দিকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান কালে নানান ধরণের বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয় লেখককে। সেই সকল ঘটনাবলীকে স্থান দিয়েছেন বইটিতে। প্যালেস্টাইসের উদ্বাস্তুদের সহায়তার উদ্দেশ্যে বৈরুত, লেবানন গমন। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরিচয়, কিছুটা সময় কাটিয়ে এবং বিশাল অভিজ্ঞতাকে ঝুলির ভাণ্ডার পূজ্ঞীভূত করে ইরাকে পাড়ি জমান এবং সেখানে আমারা প্রদেশে সআস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক বছর কাজ করে ফ্রান্স চলে যান। শুরু হয় ইউরোপ যাত্রা। সেখানে চর্ম চিকিৎসার উপরে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার পরে ১৯৮৫-৮৬ সময়টাতে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতে চর্ম চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেন। তার এই দীর্ঘ জীবনের ঘটনাবলীকে একটি ডয়েরিতে স্থান দিয়েছেন তিনি। সেই লিপিবদ্ধ কাহিনীকে ঘিরেই রচিত হয়েছে “মসৗভাগ্যের সন্ধানে” বইটি।
নামকরণঃ লেখক দেশ থেকে বিদেশে নিজের ভাগ্যকে সুপ্রসন্ন করার উদ্দেশ্য পাড়ি জমিয়েছিলেন। সেই উদ্দেশ্য বলতেই হয় সফল হয়েছে। এদিক থেকে “সৌভাগ্যের সন্ধানে” নানটির যথার্থ সার্থকতা রয়েছে।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বিদেশ বিভুইয়ে ঘুরে বেড়ানো একজন ডাক্তারের চলার পথে অগণিত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। যার প্রায় সবটাই দেখা যায় লেখক মোস্তাক আহমেদের ক্ষেত্রে। বইটিতে লেখকের লেখা যথেষ্ট প্রাণবন্ত।
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।