মেসেজ টু কমিশনার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি নব্য উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপে বা মোবাইলে শুধুমাত্র মেসেজ পাঠিয়ে মানুষ নানা ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারবে। কিশোর গোয়েন্দা গুল্টু পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রমে নিমন্ত্রণ পাওয়ার অংশ হিসেবে মেসেজ টু কমিশনার প্রোগ্রামের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশদ জানতে পারে। বিধিবাম, কে জানত তারও কাজে লাগবে এই মেসেজ টু কমিশনার কার্যক্রম।
গুল্টু ২৬ মার্চ বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা শেষ করে উবারের গাড়ির মাধ্যমে বাসার দিকে রওনা করে। পথিমধ্যে সে উবার চালক কর্তৃক কিডন্যাপের শিকার হয়। কিডন্যাপের পর গভীর রাতে সে নিজেকে একটি অন্ধকার কক্ষে আবিষ্কার করে। যখন কিডন্যাপারদের ওস্তাদ এসে গুল্টুকে জানায় তার বাবাকে বলতে যে দশ লাখ টাকা নিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে, তখনই গুল্টুর মাথায় মেসেজ টু কমিশনার এর কথা মনে পড়ে। তাই সে মেসেজ টু কমিশনারের মোবাইল নাম্বারটিকে তার বাবার নাম্বার বলে চালিয়ে মুক্তিপণের মেসেজটি পাঠায়।
মেসেজ টু কমিশনার টিম অচেনা নাম্বার থেকে বাবার কাছে মুক্তিপণ চাওয়ার মেসেজ পেয়ে লোকেশান ট্রাকিং করে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কিডন্যাপারের আস্তানা দখল করে এবং রুদ্ধশ্বাস অভিযানের মাধ্যমে কিডন্যাপ হওয়া কিশোর গুল্টুকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়।
‘কিডন্যাপারের খপ্পরে গুল্টু’ কিশোর উপন্যাসটিতে মূলত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নব্য উদ্যোগ মেসেজ টু কমিশনারকে কাজে লাগিয়ে জরুরিভিত্তিতে কীভাবে নাগরিক সেবা পাওয়া যেতে পারে, তা গুল্টু চরিত্রের মাধ্যমে ঘটানো কিডন্যাপের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এতে করে যারা কিশোর শ্রেণির আছে, তারা উপলব্ধি করতে পারবে যে যেকোনো বিপদে পুলিশকে সামান্য মেসেজ করলেও সাড়া পারা যায়। এতে তাদের মাঝে পুলিশ সম্পর্কে ভীতিকর নয়, বরং ইতিবাচক ধারণার জন্ম নিবে।
মোহাম্মদ অংকন, বর্তমান লেখকদের মধ্যে পরিচিত মুখ। শৈশব-কৈশোরে লেখালেখির হাতেখড়ি। নিয়মিত লিখছেন দেশ-বিদেশের পত্রপত্রিকা, ম্যাগাজিন ও সাময়িকীতে। সাহিত্যের সব শাখাতেই আছে সমান দক্ষতা। দক্ষতা, আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাব ও প্রতিশ্রুতিশীলতা ক্রমশ এই লেখককে আগামীর পথ দেখাচ্ছে। বছরব্যাপী নতুন বই প্রকাশের মাধ্যমে পাঠকমহলে চমক সৃষ্টি করে চলেছেন। বাংলা সাহিত্যে এই প্রতিভাবান লেখকের অবাধ বিচরণে মুগ্ধ সবাই। তিনি ১৯৯৭ সালের ৭ নভেম্বর নাটোরের চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়াশোনা করছেন। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র হওয়ার পরও লেখালেখির সূত্রে ঝুঁকে পড়েন সাংবাদিকতায়। দৈনিক মানবকণ্ঠে সাব-এডিটর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও সরকারি চাকরি পাওয়ায় তা আর করা সম্ভব হয় না। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র কম্পিউটার বিভাগে কর্মরত আছেন। পুরস্কার ও সম্মাননা: ‘পাপড়ি-করামত আলী পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০১৯’, ‘রূপচাঁদা: অদেখা বাংলাদেশ সেরা গল্পকার-২০১৯’, ‘চয়েন বার্তা সম্মাননা-২০২০’, ‘লিখিয়ে পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০২০’, ‘প্রিয় বাংলা পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০২২’।