হঠাৎ এক বোরকাওয়ালী তার দিকে হেঁটে আসে। সাঈদ ভাই আপনার সাথে কথা আছে, বোরকাওয়ালী বলে।
সাঈদ চমকে ওঠে। মুহূর্তের জন্য সে যেন পাথর হয়ে যায়। তার সাথে বোরকাওয়ালীর কি সম্পর্ক থাকতে পারে। কোনো ফাঁদে আটকা পড়ল ভেবে পায় না। বোরকাওয়ালীর দিকে ফিরে তাকাতে তার আতঙ্ক লাগতে থাকে। কিন্তু গলাটা তার চেনা চেনা লাগে। একটু সাহস সঞ্চয় হয় সাঈদের। ভয়ে ভয়ে বোরকাওয়ালীর দিকে তাকায়। কিছুই চিনতে পারে না। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। কে এই বোরকাওয়ালী চেনার চেষ্টা করে।
বোরকাওয়ালী সাঈদের এই অসুবিধা বুঝতে পেরে বোরকার ঘোমটা গলা পর্যন্ত খুলে ফেলে। নিখুঁত এক সুন্দরী তরুণী বোরকা থেকে বেরিয়ে পড়ে। মোলায়েম কণ্ঠে বলে, সাঈদ ভাই আমি সালমা। একথা বলার সাথে সাথে একটা হাসির ফোয়ারা ছোটে।
সাঈদের কাছে মনে হতে থাকে এ সালমা নয়। গ্রিক দেবী আফ্রোদিতি তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। উত্তেজনায় তার গলা শুকিয়ে যায়। সাহায্যের জন্য এদিক ওদিক তাকায়। মুখ দিয়ে তার গলার স্বর বের হতে চায় না। তোতলাতে থাকে। সে নিজেকে সামলাবার চেষ্টা করতে থাকে। একটু সময় লেগে যায়। বলে, আমাকে এভাবে কেন ডেকেছেন বলুন তো?
শো-রুমে কথা বলার তেমন পরিবেশ থাকে না। এই জন্য আপনাকে এখানে ডেকে এনেছি। এভাবে ডাকাতে রাগ করলেন নাকি সাঈদ ভাই?
সাঈদের দিকে একজোড়া সুন্দর চোখে দৃষ্টি মেলে সালমা তাকিয়ে আছে। কিন্তু সাঈদের সেই চোখের দিকে তাকানোর সাহস হয় না। সেদিকে না তাকিয়েই সে হৃদয়ের কথাটা বলে ফেলে, আমার যে কি আনন্দ হচ্ছে সেকথা আপনাকে বলে বোঝাতে পারব না।
সেই ঘটনার পর থেকে প্রতি মুহূর্তে সালমাকে কাছে পাওয়া না পাওয়ার দোলায় দুলতে থাকে। পেয়েও পাওয়া