দৃষ্টির পর দেহদান। ইমন কায়েস
যখন আমি চক্ষুদান করলাম
তখন থেকে অনেকেই আমাকে মহৎ ভাবে!
কিন্তু আমি কোনো মহৎ উদ্দেশ্য চক্ষুদান করি নাই
এ কথাটা অনেক দিন গোপন রেখেছি
আমার না; অমরত্বের প্রতি কোনো লোভ নেই
শুধুমাত্র তাকে ওই তাকে দেখার জন্যই
হারুত মারুতের মতন মজা প্রেমে মজে
সব খুইয়ে করি চক্ষুদান
আমি না থাকলেও যাতে করে আমার চোখ
উর্বশীর খোলাচুল
অনূঢ়ার কামরাঙা ঠোঁট
ষোড়শীর ফিক করা হাসি
রাইকিশোরীর ঢেউ তোলা হাঁটা
অভয়ার নীলাম্বরী আচল
দেখে যেন শান্ত হয়
কখনোবা লম্পট বেহায়া হয়ে
খোলা জানালার দিকে তাকিয়ে থাকব
শুধু কুমারী রমণীর চিরুনিতে উঠে আসা চুল
আর সেই চুলে থুতু মেখে ঢেলা করে
ছুড়ে ফেলা দেখার জন্য
কখনোবা মন্দিরের সামনে
ধ্যান মগ্ন একঠায় থাকব
সিঁদুরে রাঙা ষোড়শীদের দেখতে
কখনোবা মহিলা কলেজের সামনে
জানু প্রেমিকের মতো দাঁড়াব
অনূঢ় বসন্ত মৌরী দেখার জন্য
কখনোবা বিপণি বিতানের সামনে
ইমন কানুর মতো রমণী মোহন হয়ে
ঘামে ভেজা রমণীর কোলাহল
কিংবা দোলন বিবির দোলন দেখতে
মহৎ কোনো উদ্দেশ্যে আমি দান খয়রাত করি নাই
আমি আমার দিব্যি দিয়ে বলছি
শুধুমাত্র এই উদ্দেশ্যই আমার চক্ষুদান
আর দেহদানও একই কারণে
কোন মেডিকেল পড়ুয়া রূপসি
আমার স্কেলিটন দিয়ে
জানতে গিয়ে আমাকেই জানবে
মুহূর্তেই তার কোমল ছোঁয়ায়
আমি জান্তব হব ফের
প্রশান্তি আসবে সারা হাড় জুড়ে
তোমরা ভাবতেই পারো
আমি চরিত্রহীন লম্পট
কিন্তু এটা সত্য নয়
আমি প্রেমিক আমি প্রেমিক
আমি প্রেম নিতে এসেছি
আমি প্রেম দিতে এসেছি
অমরত্বের প্রত্যাশা নাই
শুধু তাকেই দেখব তাকেই দেখব
তার স্পর্শেই জাগব তার স্পর্শেই জাগব
যারা আমাকে প্রেম শেখাতে গিয়ে বেহায়া বানাল
শুধু তাদেরকেই দেখব তাদের স্পর্শেই জাগব