“জালিমের জবানবন্দি” কাব্যগ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন। এটি কেবল কবিতার সংকলন নয়, বরং একটি সামাজিক ও মানবিক দলিল, যা সমাজের নানা অসঙ্গতি, নিপীড়ন এবং মানুষের সংগ্রামকে কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছে। কবিতাগুলোতে শব্দের সুনিপুণ ব্যবহার, ছন্দের মাধুর্য এবং গভীর আবেগ পাঠককে এক অনন্য অভিজ্ঞতার মধ্যে নিয়ে যায়।
এই কাব্যগ্রন্থের মূল আলোচ্য বিষয় হলো সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং মানুষের প্রতি অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। কবি তার কবিতার মাধ্যমে সমাজের নানা অসঙ্গতি, শোষণ এবং নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরেছেন। প্রতিটি কবিতা যেন একেকটি আয়না, যেখানে আমরা আমাদের সমাজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। কবির শব্দচয়ন ও ছন্দের ব্যবহার পাঠককে গভীরভাবে আলোড়িত করে, যা এই কাব্যগ্রন্থকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে।
বইটি পাঠকদের জন্য একটি চিন্তার খোরাক, যা আমাদের সমাজের নানা সমস্যা নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়। কবিতাগুলোতে মানবিক আবেগ, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। প্রতিটি কবিতা পাঠককে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে, যা এই বইটিকে আরও বেশি মূল্যবান করে তোলে।
বাংলা সাহিত্যে এই কাব্যগ্রন্থের অবদান অপরিহার্য। এটি শুধু কবিতার সংকলন নয়, বরং একটি সামাজিক দলিল যা আমাদের সমাজের নানা সমস্যা ও সংগ্রামকে কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছে। কবি তার শব্দের মাধ্যমে সমাজের নানা অসঙ্গতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, যা বাংলা সাহিত্যে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। “জালিমের জবানবন্দি” বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
বইটি পাঠকদের জন্য একটি অবশ্যপাঠ্য এবং বাংলা সাহিত্যে এর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রকৃত নাম মো. জয়নাল আবেদীন। যায়েদ ইকবাল ছদ্মনাম। যায়েদ ইকবাল ১৯৮৯ সালের ১ জানুয়ারি সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন। বাবার নাম মো. ইউনুস আলী এবং মায়ের নাম জাকিয়া খাতুন। যায়েদ ইকবাল ২০০৯ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক এবং ২০১০ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৪ সালে তিনি তুরস্ক সরকার কর্তৃক (ফুল ফান্ডেড) বৃত্তির জন্য মনোনীত হন এবং ২০১৯ সালে ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে প্রথম হয়ে পুনরায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি ইন্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগে পিএইচডি করছেন। ‘চেতনার যাতনা’ যায়েদ ইকবাল-এর প্রকাশিত তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। তার প্রকাশিত অন্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে : কান্তার (২০২৩) এবং পদ্ম দিঘির জলে (২০২৪)। যায়েদ ইকবাল কবিতা লেখার পাশাপাশি গবেষণা ও অনুবাদের কাজ করেন। তুর্কিশ ভাষা থেকে তার অনূদিত প্রথম গ্রন্থ ‘ইনসাফভিত্তিক দুনিয়া বিনির্মাণের রূপরেখা-নতুন পৃথিবীর সন্ধানে’ ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জার্নালে তার ছয়টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।