“মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।” আর এই স্বাপ্নিক মানুষ হলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এবং নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। পড়াশোনা খেলাধুলা সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তিনি ছিলেন অনেক সক্রিয়। কবিতা আবৃত্তি, নাটক ও অভিনয়ে তিনি ছিলেন পারদর্শী। সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন বয়েজ স্কাউটে তিনি যোগদান করেন। ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। সম্পাদনা করেন একটি 'সাহিত্য পত্রিকা'। দেশে ও বিদেশে দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সংগঠিত দুর্ভিক্ষের সময় দারিদ্রের বিরুদ্ধে তিনি সংগ্রাম শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে ক্ষুদ্র ঋণদানের মাধ্যমে গ্রামের অসহায় দরিদ্র ও অসচ্ছল পরিবারকে সহযোগিতার নির্মিত্বে প্রতিষ্ঠা করেন গ্রামীণ ব্যাংক। তিনি অসংখ্য গ্রন্থ লিখেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতোমধ্যে আটচল্লিশটি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন। শান্তিতে নোবেল জয়ী গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা কংগ্রেশনাল গোল্ড অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইটালি, সুইজারল্যান্ড, জর্ডান, ইন্ডিয়া, স্পেন, কোরিয়া, নেদারল্যান্ড, ফিলিপাইন, ব্রাজিল, জার্মানি, পর্তুগাল, অস্ট্রিয়াসহ প্রায় শতাধিক সম্মাননা অর্জন
করেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক প্রথমে কোটা বিরোধী আন্দোলন এবং পরবর্তীতে এক দফা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথে নতুন আশা জাগানিয়া
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ৮ আগস্ট ২০২৪ শপথ নেন।
“ছোটদের কিংবদন্তি ড. মুহাম্মদ ইউনূস” বইটি থেকে তোমরা জানতে পারবে তাঁর শৈশব-কৈশোর, পড়ালেখা, কর্মজীবন এবং সারা বিশ্বময় তার খ্যাতির বিবরণ। এই মহাগুণী মানুষের জীবনী পাঠ করে তুমিও নিজেকে পড়ে তুলবে পূর্ণাঙ্গ স্বাপ্নিক মানুষ হিসাবে।