রোজ কলমের প্যাঁচে ছুরির ধারের মতো লিখিতে পারিত চন্দ্রকান্ত। চন্দ্রকান্ত পুরো মফস্সল টাউনের সাপ্তাহিক “নগরবার্তা” কাগজে মানুষের দুঃখ কষ্টগুলো লেখিয়া দিনের পর দিন বিখ্যাত হইয়া উঠিয়া ছিল। ইহাতে চন্দ্রকান্ত সবার কাছ হইতে বাহবা পাইতে ছিল। চন্দ্রকান্ত হেমেন সেনের কালোবাজারি ব্যাবসা নিয়ে বেশ কয়েকবার নগরবার্তায় লিখিয়া ছিল, তাহাকে অনেক বার হেমেন সেনের ম্যানেজার, বীরেন ব্যানাজী সাবধান করিয়াছিল। যাতে ভবিষতে হেমেনবাবুর ব্যাবসা নিয়ে নগরবার্তায় খবর কাগজে না লিখে। চন্দ্রকান্ত মনে মনে একটু ভীতু হইয়া পড়িয়াছিল। কিন্তু অন্যদিকে চন্দ্রকান্তের শত্রু বাড়িতে ছিল, (মফস্সল টাউনে ও গ্রামে হেমেন সেনের গুন্ডাবাহিনীর খবর সবাই জানিত) কিছু খারাপ লোকের খারাপ কাজকর্ম বিরুদ্ধে লিখিত, তাহারা একজোট হইয়া। ষড়যন্ত্র করিতে লাগিলো। চন্দ্রকান্তের দুই মেয়ে দশম ও নবম শ্রেণিতে প্রীতি ও সুশীলা পড়িত।
গ্রামের দুষ্টগ্রহ কালোবাজারি হেমেন সেন কীভাবে প্রীতিকে আটকাইয়া বা বন্দি করিয়া চন্দ্রকান্তের ধারালো লেখা চিরতরে বন্ধ করিয়া স্মশানে আগুনে পুড়াইয়া দেওয়া যায়, তাহা নিয়া চক্রান্ত করিতেছিল। একশত বছর শান্তিপুরে যে শান্তি বিরাজ করিতে ছিল, সেই শান্তিপুর কে অশান্তিপুর বানাইতে দলবদ্ধ হইয়া হেমেন সেন রাতদিন ভাবিয়া ও কুল কিনারা পাইতে ছিল না। এক রাত্রিতে হেমন সেনের ছোটো ভাই দুর্জয় সেন মাঘ মাসের নির্জন পূর্ণিমার রাতে চন্দ্রকান্তের কুটিরে আসিল, দুর্জয় সেন বড়ো ভাই হেমেন সেনের একদম উলটো ছিল। সে রোজ সকালে উঠিয়া রামায়ণ পাঠ করিত, মফস্সল টাউনের সবার বিপদাপদে টাকাপয়সা দিয়া সাহায্যে করিত। শান্তিপুরে মরফসল টাউনের জনক্ষণ তাহাকে গরিবের বন্ধু বলিত। সে গত রাতে তার ভাই হেমেন সেনের চক্রান্তের কথা তাহার চাকরানি সরলার মুখে শুনিয়া ভাবনায় পড়িয়া গেল। চন্দ্রকান্ত সাদাসিধে মানুষ স্ত্রী সীতা দুই মেয়ে প্রীতি ও সুশীলা নিয়ে সুখে দিনগুলো কাটাইতেছে। এই সরল মানুষটির উপর অত্যাচার নামিয়া আসিবে বড়ো ভাই হেমেনদার গুন্ডা বাহিনীর হাতে, তাহলে তো চন্দ্রকান্ত প্রীতিকে হারাইবার দুঃখে কষ্টে মরিয়া ভূত হইয়া যাইবে। তাহার পাশে না দাঁড়াইলে স্বয়ং ভগবান রাগ হইবে, দুর্জয়ের উপর। শেষ পর্যন্ত খুলিয়া বলিল, বড়োদার চক্রান্তের সব কথা, চন্দ্রকান্ত শুনিয়া ছোটো শিশুর মতো কাঁদিতে লাগিল। দুর্জয় সেন চন্দ্রকান্তকে বলিল, তোমার জন্য আমি একটা চাকরি কলিকাতায় একটা নামকরা দৈনিক খবরের কাগজে বলিয়া কহিয়া রাজি করিয়াছি। তুমি যদি রাজি থাকো আগামী সোমবার যাত্রা করিবে, শামবাজরে একটা ঘর ঠিক করিয়াছি আমি, তোমার মাইনা প্রায় দ্বিগুণ, এখন তোমার মতামত কী? আমার জন্মভূমি ছাড়িয়া যাইতে কষ্ট হইতেছে, আমার সংসার রক্ষা করা আমার দায়িত্ব, আপনি আমার জীবনে স্বয়ং দেবতাররূপে আবির্ভাব হইয়া আমারও আমার পরিবার কে শনির বলয় হইতে বাঁচাতে আপনার মনে মহামানবের মতো করুণা হইয়াছে। আমি আপনাকে কী বলিয়া ধন্যবাদ দিবো, তাহা ভাষায় প্রকাশ করিতে পারিতেছি না। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক, ইহাই আমার শুভকামনা বিধাতার কাছে।
রোজ কলমের প্যাঁচে ছুরির ধারের মতো লিখিতে পারিত চন্দ্রকান্ত। চন্দ্রকান্ত পুরো মফস্সল টাউনের সাপ্তাহিক “নগরবার্তা” কাগজে মানুষের দুঃখ কষ্টগুলো লেখিয়া দিনের পর দিন বিখ্যাত হইয়া উঠিয়া ছিল। ইহাতে চন্দ্রকান্ত সবার কাছ হইতে বাহবা পাইতে ছিল। চন্দ্রকান্ত হেমেন সেনের কালোবাজারি ব্যাবসা নিয়ে বেশ কয়েকবার নগরবার্তায় লিখিয়া ছিল, তাহাকে অনেক বার হেমেন সেনের ম্যানেজার, বীরেন ব্যানাজী সাবধান করিয়াছিল। যাতে ভবিষতে হেমেনবাবুর ব্যাবসা নিয়ে নগরবার্তায় খবর কাগজে না লিখে। চন্দ্রকান্ত মনে মনে একটু ভীতু হইয়া পড়িয়াছিল। কিন্তু অন্যদিকে চন্দ্রকান্তের শত্রু বাড়িতে ছিল, (মফস্সল টাউনে ও গ্রামে হেমেন সেনের গুন্ডাবাহিনীর খবর সবাই জানিত) কিছু খারাপ লোকের খারাপ কাজকর্ম বিরুদ্ধে লিখিত, তাহারা একজোট হইয়া। ষড়যন্ত্র করিতে লাগিলো। চন্দ্রকান্তের দুই মেয়ে দশম ও নবম শ্রেণিতে প্রীতি ও সুশীলা পড়িত।
গ্রামের দুষ্টগ্রহ কালোবাজারি হেমেন সেন কীভাবে প্রীতিকে আটকাইয়া বা বন্দি করিয়া চন্দ্রকান্তের ধারালো লেখা চিরতরে বন্ধ করিয়া স্মশানে আগুনে পুড়াইয়া দেওয়া যায়, তাহা নিয়া চক্রান্ত করিতেছিল। একশত বছর শান্তিপুরে যে শান্তি বিরাজ করিতে ছিল, সেই শান্তিপুর কে অশান্তিপুর বানাইতে দলবদ্ধ হইয়া হেমেন সেন রাতদিন ভাবিয়া ও কুল কিনারা পাইতে ছিল না। এক রাত্রিতে হেমন সেনের ছোটো ভাই দুর্জয় সেন মাঘ মাসের নির্জন পূর্ণিমার রাতে চন্দ্রকান্তের কুটিরে আসিল, দুর্জয় সেন বড়ো ভাই হেমেন সেনের একদম উলটো ছিল। সে রোজ সকালে উঠিয়া রামায়ণ পাঠ করিত, মফস্সল টাউনের সবার বিপদাপদে টাকাপয়সা দিয়া সাহায্যে করিত। শান্তিপুরে মরফসল টাউনের জনক্ষণ তাহাকে গরিবের বন্ধু বলিত। সে গত রাতে তার ভাই হেমেন সেনের চক্রান্তের কথা তাহার চাকরানি সরলার মুখে শুনিয়া ভাবনায় পড়িয়া গেল। চন্দ্রকান্ত সাদাসিধে মানুষ স্ত্রী সীতা দুই মেয়ে প্রীতি ও সুশীলা নিয়ে সুখে দিনগুলো কাটাইতেছে। এই সরল মানুষটির উপর অত্যাচার নামিয়া আসিবে বড়ো ভাই হেমেনদার গুন্ডা বাহিনীর হাতে, তাহলে তো চন্দ্রকান্ত প্রীতিকে হারাইবার দুঃখে কষ্টে মরিয়া ভূত হইয়া যাইবে। তাহার পাশে না দাঁড়াইলে স্বয়ং ভগবান রাগ হইবে, দুর্জয়ের উপর। শেষ পর্যন্ত খুলিয়া বলিল, বড়োদার চক্রান্তের সব কথা, চন্দ্রকান্ত শুনিয়া ছোটো শিশুর মতো কাঁদিতে লাগিল। দুর্জয় সেন চন্দ্রকান্তকে বলিল, তোমার জন্য আমি একটা চাকরি কলিকাতায় একটা নামকরা দৈনিক খবরের কাগজে বলিয়া কহিয়া রাজি করিয়াছি। তুমি যদি রাজি থাকো আগামী সোমবার যাত্রা করিবে, শামবাজরে একটা ঘর ঠিক করিয়াছি আমি, তোমার মাইনা প্রায় দ্বিগুণ, এখন তোমার মতামত কী? আমার জন্মভূমি ছাড়িয়া যাইতে কষ্ট হইতেছে, আমার সংসার রক্ষা করা আমার দায়িত্ব, আপনি আমার জীবনে স্বয়ং দেবতাররূপে আবির্ভাব হইয়া আমারও আমার পরিবার কে শনির বলয় হইতে বাঁচাতে আপনার মনে মহামানবের মতো করুণা হইয়াছে। আমি আপনাকে কী বলিয়া ধন্যবাদ দিবো, তাহা ভাষায় প্রকাশ করিতে পারিতেছি না। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক, ইহাই আমার শুভকামনা বিধাতার কাছে।