আমার যত ঋণ (হার্ডকভার)

আশা করি অনেকেই একমত হবেন, লেখালেখির জগতে ‘কবি’ অভিধাই পাঠক কিংবা সাধারণ্যের কাছে বেশি সমাদৃত ও পরিচিত এবং জনপ্রিয়ও । আদিকাল থেকে আজ অব্দি এ ‘কবি’ অভিধা তথা, লেখককে ‘কবি’ নামে ডাকার খুব ভাটা পড়েছে তা’ কিন্তু নয়। যাঁকে ‘কবি’ ডাকা হয় এবং যিনি কাউকে ‘কবি’ বলে সম্বোধন করেন উভয়ই বোধ করি বরং এক ধরনের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। প্রসঙ্গত: বলা যায়, একসময় সব ধরনের লেখককেই ‘কবি’ বলে ডাকা হতো। লেখকের কোন শ্রেণীভেদ ছিল না, তথা, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিক ইত্যাদি ইত্যাদি শ্রেণীতে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বহু কবিতা ও গান লিখেছেন। অথচ, কবিগুরু তো কবিতা গান ছাড়াও ছোট বড় গল্প উপন্যাস প্রবন্ধ নিবন্ধও তিনি কোন অংশে কম লেখেননি। তিনি বড়দের জন্য যেমন তেমনি লিখে গেছেন বহু রচনা শিশু-কিশোরদের জন্যও, লিখেছেন অনেক শিক্ষামূলক বই। শ্রেণীকক্ষের পাঠ উপযোগী অনেক বইও তিনি লিখে গেছেন। তথাপি, সাহিত্যের বিচিত্র অঙ্গনে বহুল বিচরণ সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমরা তথা, পাঠক সমাজ এবং ভক্ত অনুরূক্ত সবাই ‘কবি’, ‘কবি গুরু’ বলে ডেকেই তৃপ্তি পায়। তাঁকে ‘কবি’ ডেকে আমাদের আনন্দ এবং কবিতার জন্যই তো উনি নোবেল পুরস্কার পান।