কোথায় তারে পাই (হার্ডকভার)

...কাঙ্খিত কবি যখন তাঁর ভাবনাগুলোকে ছন্দাকারে সাজিয়ে, শব্দের সুতোয় গেঁথে স্তবক বানান— সে মাধুর্য কবিতার।

পাখিরা যেমন খড়কুটো সংগ্রহ করে বাসা তৈরি করে। কবিরাও তেমনি সমাজের পার্থিব অনুভূতি সংগ্রহ করেন আর কাব্যছন্দের অপূর্ব জগৎ সৃষ্টি করেন।

কবির অন্তরের সঙ্গে দর্শন একাত্ম হয়ে রচিত হয় কবিতার চারুকারুকলা। উপমা ও চিত্রকল্পে কবি উন্মুক্ত, বাধাহীন পাখির ডানায় ভর করেন— পলাতকা উপত্যকায় কবি একক, অবিনশ্বর।

কবিতা জীবনী, সঞ্জীবনী কবির। প্রকৃত কবিতা সূর্যের মতো আলো দেয়, শক্তি দেয় পৃথিবীলোকে। কবির দেখা নিত্যনতুন— কবিতা চিত্তের উদ্ভাসন। কবি নিজের চোখে দেখে, নিজের ধ্যানে অঙ্কিত তাঁর বাস্তব ও পরাবাস্তবতার খড়িলিপিকা। কবির অন্তর্দৃষ্টিই দর্শন, লেখ্য পঙ্ক্তি কবিতা। কবি মানেই দার্শনিক। সত্যিকারের কবি স্ব-মহিমায় প্রোজ্জ্বল।

কবি জি. এম. জুলফিকার আব্দুল্লাহ কবিতার পান্থজন। সরল সৌন্দর্যে তিনি লিখে চলেছেন কবিমনের কথকতা। সততা ও প্রজ্ঞার এক অমিয়ভূবন বিনির্মাণ করেছেন কবি। সেখানে আবেগ, দ্রোহ, প্রতিবাদ, প্রকৃতি মিলেমিশে একাকার। প্রেমের কবিতা কবি হৃদয়ের কোমলতম অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। সার্থক হোক কবি অন্বেষা কোথায় তারে পাই।

কাল অতীত হয় কিন্তু কবিতা কখনও অতীত হয় না। সে বেঁচে থাকে কালান্তরে গোপন ব্যথার মতো সঞ্চিত হয়ে!

আদিত্য রুপু

কবি, চলচ্চিত্র নির্মাতা