মানব জীবনের যতগুলো মুহূর্ত থাকে এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং দামি মুহূর্তটি হচ্ছে যৌবনকাল। এ মুহূর্তে একজন মানুষের মেধাগত দিক দিয়ে, পঞ্চেন্দ্রিয় প্রয়োগের বিবেচনায় এবং ভবিষ্যত ক্যারিয়ার গঠনে যতটা শক্তি ও সামর্থ থাকে, বয়স বেড়ে উঠার সাথে সাথে এ সকল বিষয়ে আস্তে আস্তে দুর্বলতা চলে আসে। এটাই আল্লাহপ্রদত্ত প্রাকৃতিক একটি ধারা। আজকে সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবার-পরিজন সকলেই এ যুবক-যুবতীদের নিয়েই ভবিষ্যতের স্বপ্ন আঁকে। কারণ যুবক-যুবতীরাই হচ্ছে একটা জাতির মেরুদণ্ড। তারা যদি সুস্থ থাকে সমাজব্যবস্থা সুস্থ থাকবে। আর তারা যদি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে গোটা সমাজব্যবস্থা অসুস্থ হয়ে যাবে।
যৌবনকালীন এ মুহূর্তটি খুবই স্পর্শকাতর একটি মুহূর্ত। দেহের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে শুরু করে মন-মস্তিষ্ক সবকিছুর বিবেচনায় এ মুহূর্তটিতে একজন যুবক-যুবতী থাকে ধী-শক্তিসম্পন্ন। মনটা থাকে সর্বদাই অস্থির, বেচাইন। সবকিছুর স্বাদ উপভোগ করতে চায়। নফসের পূজারী হয়ে থাকতে তার কাছে খুবই আনন্দের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর শয়তানও এ সুযোগ সন্ধানে গোনাহের নানামুখী উপায়-উপকরণ তার সামনে ঢেলে সাজায়। কারণ শয়তানও জানে, এই স্পর্শকাতর মুহূর্তটিতে একবার যদি তাকে আমার দলে ভিড়ানো যায়, তাহলে তো আমি সফল। কিন্তু বুদ্ধিমান যুবক-যুবতী তারা প্রতিটি মুহূর্তে নফসের সাথে যুদ্ধ করে নিজেকে শয়তানের ডাকে সাড়া দেওয়া থেকে বিরত রাখে। নফস যা চায় তার বিপরীতটা করতে নিজেকে প্রস্তুত রাখে।
মৌলিকভাবে শয়তান একজন যুবক-যুবতীকে ব্যর্থ করার জন্য মানবদেহের তিনটি বিশেষ অঙ্গের প্রতি তার টার্গেট থাকে। তা হচ্ছে-চোখ, কান, অন্তর। কারণ সে জানে এই তিনটি অঙ্গকে যদি কোনোভাবে ঘায়েল করা যায় তখন অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অটোমেটিক তাদের সাথেই গোনাহের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। এ জন্যই তো আল্লাহ তা'আলা বিশেষ করে এ তিনটি অঙ্গ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন।