মৃত্যু সবার কাছেই আসবে। কারও জন্যে সৌভাগ্যের সোপান নিয়ে, কারও জন্যে জাহান্নামের উনুন হয়ে।
মুমিনের মৃত্যু, সে তো মৃত্যু নয়! রহমানুর রহীমের পক্ষ থেকে আসা এক মহাপুরস্কার। প্রচণ্ড তাপদাহে দুরন্ত কর্মচঞ্চল পথিকের বিশ্রামের সময়টুকু এই দুনিয়া।
মুমিন মৃত্যুপ্রত্যাশী নয়। তবে, মৃত্যু-আলিঙ্গনে থাকে সে সদা প্রস্তুত। চোখ দুটো বন্ধ হলেই তো প্রভুর সাক্ষাৎ। মৃত্যুর পরই তো জান্নাত। ফুলে-ফলে ভরা, বাগ-বাগিচায় ঘেরা নায-নিআমত। তাহলে কেমন হবে জান্নাতী ব্যক্তির মৃত্যু? কেমন হবে তার কবরের জগৎ? কেমনই-বা হবে তার হাশর? এই বইয়ে এসব বিষয়ের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে দালীলিকভাবে; ভাষার ছন্দে ছন্দে।
প্রিয় পাঠক! এই বইয়ে আপনি আরও জানতে পারবেন, জান্নাতের দরজাগুলো কেমন হবে। এক দরজা থেকে আরেক দরজার দূরত্ব কতটুকু। দরজার সামনে কী লেখা আছে। আট জান্নাতের নাম ও নামকরণের কারণ। কী জিনিস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে জান্নাত।
জান্নাতীদের পোশাকের পূর্ণ বর্ণনা। পোশাক কেমন হবে। কোন কারখানায় বানানো হবে জান্নাতীদের পোশাক। কী কী খাবার আর পানীয় প্রস্তুত করে রেখেছেন আল্লাহ তাআলা জান্নাতীদের জন্য। হুরদের পুরো শরীরের বর্ণনা। সবশেষে জান্নাতে যাওয়ার সহজ উপায়গুলোও যোগ হয়েছে জান্নাত থেকে ঘুরে আসুন বইটিতে।
হ্যাঁ, প্রিয় পাঠক! বইটি পড়তে পড়তে মনে হবে, আপনি জান্নাতে প্রবেশ করছেন। ফিরিশতারা আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়; আপনার আরও মনে হবে, আপনি জান্নাতের নানা রকম ফুলে-ফলে সুশোভিত, সোনা-রুপা আর লাল-নীল হীরার সুরম্য অট্টালিকা-সংবলিত মনোমুগ্ধকর এমন এক বাগানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত পানি, দুধ, মধু ও শরাবের নদীনালা আর ঝরনাধারা। জান্নাতের নায-নিআমতের ঘ্রাণ আর স্বাদ টেনে টেনে নিচ্ছেন নাক দিয়ে।