উৎসর্গ আমার এই কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করছি আমার স্ত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে; যে বিগত ছাব্বিশটি বছর ধরে আমার সুখেÑদু:খে পাশাপাশি রয়েছে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে সন্তানদের লালন পালন করে আসছে। উৎসর্গ করছি রেজাউল করিম শামিম সহ সকল শ্যালকÑশ্যালিকা, ভাতিজা তনু এবং শুভকে যারা বিগত সময়গুলোতে কবিতা লেখার ব্যাপারে আমাকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছেন। এখানে বলতেই হয় যে শ্যালিকা সাহানা, সাখি ও শ্যালক এমাদুল করিম, ভায়রা আশরাফ আমার লেখালেখির ব্যাপারে শৈশব কাল হতেই বন্ধুর মত সার্বক্ষণিক উৎসাহ দিয়ে আসছেন। উৎসর্গ করছি মেজর খালেদ সাইফুল্লাহ (অব:)কে যার যুক্তি সঙ্গত পরামর্শ, বিচক্ষনতা, ভালবাসা, শ্রদ্ধাবোধ ও মমত্ববোধের কারণে পারিপার্শ্বিক ছোট বড়, ধনী, গরীব নির্বিশেষে সকল ধরনের মানুষ সুন্দরভাবে পথ চলার সুযোগ পায়। যার স্নেহ ও ভালবাসায় আমি এবং আমার পরিবার সিক্ত। উৎসর্গ করছি প্রাক্তন বি সি এস কর্মকর্তা জনাবা সাহানা আক্তারকে- যার স্নেহ, বিশ্বাস, ভালবাসা ও সাহায্য সহযোগিতায় আজও আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দরভাবে দিন যাপন করতে পারছি। সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার মত সাহস ও শক্তি পাচ্ছি। তাই এই মহান ঔদার্য্য ও ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই কাব্যগ্রন্থের ‘মাতৃত্বরই সম্মান’ কবিতাটি রচিত হলো। উৎসর্গ করছি সেলিমা আক্তারকে, যিনি অল্প বয়সেই স্বামীহারা হন। যিনি পরোপকারী, যার আদর স্নেহ পরিশ্রম ও বিচক্ষণতায় অনেক মানুষই উপকৃত। উৎসর্গ করছি বি সি এস কর্মকর্তা; বর্তমানে উপ পরিচালক পদে অধিষ্টিত জনাব মো: মাহবুব উল ইসলামকে। যিনি সত্যনিষ্ঠতা ও ন্যায় নীতির ক্ষেত্রে সর্বদা অনড় থাকার চেষ্টা করেন। যিনি আমার সকল শুভ কর্মের উৎসাহদাতা। যার ভালবাসায় আমি ও আমার সন্তানরা আজ সমৃদ্ধ। উৎসর্গ করছি মানিকগঞ্জের জনাব মো: আশরাফুল হককেÑ যিনি একজন সাধারণ আনসার কমান্ডার, ছোটবেলা থেকেই নিজ প্রচেষ্টায় আজকে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। যার সাহায্যের বদৌলতে অনেক দরিদ্র পরিবার অভাবের তাড়না থেকে রক্ষা পেয়েছে এবং পাচ্ছে। উৎসর্গ করছি তাদের, যারা আমার সকল শুভ কর্মের উৎসাহদাতা এবং অর্থের সহযোগিতা দিয়ে এই কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাঁরা হচ্ছেনÑ সিএ জনাব মো: আবুল কালাম আজাদ, ব্যবসায়ী জনাব মো: তোফাজ্জল হোসেন খান মুকুল, এস আই জনাব এমাদুল করিম, নায়েক আমিরুল ইসলাম, ল্যান্স নায়েক আবদুল কাদের, সিপাহি মোঃ এবাদুল্লাহ ও জনাব মো: আশরাফুল হক প্রমুখ ব্যাক্তিবর্গকে।
কবি জহিরুল হোসাইন খান নাসিম সাহিত্য ও সমাজসেবায় নিবেদিত একজন বহুমাত্রিক সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১ জানুয়ারি ১৯৫৭ সালে, নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামে এক ঐতিহ্যবাহী পরিবারে। পেশাগত জীবনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে ২০১৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন। সেবা ও সততার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৬ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি আনসার সেবা পদকে ভূষিত হন। শৈশব থেকেই তিনি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। সমাজ ও মানবমনের গভীরতাকে তুলে ধরার এক আন্তরিক প্রয়াস তার কবিতায় প্রতিফলিত হয়। তার কবিতা প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক জনকণ্ঠ, ভোরের কাগজ, আল-আযান, খবরের অন্তরালে, এবং আমাদের মানচিত্র, প্রতিরোধ, প্রাপ্তি প্রভৃতি সাহিত্য ম্যাগাজিন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। তার একক কাব্যগ্রন্থ তিনটি— বিস্ফোরণ (২০০৭), না বলা কথা (২০০৯), এবং আছো তুমি হৃদয় নীড়ে (২০১৭)। এছাড়া তিনি বহু যৌথ কাব্যগ্রন্থে অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে স্বপ্ন সুখের সারথি, শতকের স্বপ্ন, হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু, ভালোবাসার কৃষ্ণচূড়া, উম্মোচিত অসময় প্রভৃতি। অচিরেই প্রকাশিতব্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে অস্থির মন, সারাটিক্ষণ, ও দু’চোখ আমার খুঁজে বেড়ায়। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি বাংলাদেশ প্রাপ্তি সাহিত্য পরিষদ, কলম যোদ্ধা সাহিত্য সংগঠন, ধ্রুপদী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক একাডেমি, জাতীয় লেখক পরিবার ও নীলকাব্য সাহিত্য পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ প্রাপ্তি সাহিত্য পরিষদ, কবিতার কুঁড়েঘর, ধ্রুপদী একাডেমি খুলনা, সোনার বাংলা সাহিত্য পরিষদসহ একাধিক সাহিত্য সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন, এবং আবসাস-বরিশালের সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একজন নিবেদিত প্রাণ সাহিত্যসাধক হিসেবে তিনি তার কবিতার মাধ্যমে সমাজের সৌন্দর্য, প্রেম এবং প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরছেন।