আপন ভূবনে (হার্ডকভার)

উনিশশত তেত্রিশ সালের বাইশে আগস্ট ছিল ইংরাজী তারিখ। বাংলা সাল আমার জানা নেই। তবে সময়টা ছিল তুমুল বর্ষণঝরা ভাদ্রের ছয় তারিখ, ঠিক সুবেহ সাদেকের ক্ষণে। এই কথাটি ভেবে মনটা আমার গভীর প্রসন্নতায় ভরে যেতো এই জন্য যে, আল্লাহকে যখন মসজিদে দাঁড়িয়ে তাঁর প্রিয় বান্দারা স্মরণ করছে, ঠিক সেই মুহুর্তে সৃষ্টির মালিক আমাকে এই পৃথিবীর বুকে মাটির স্পর্শে পাঠানোর জন্য নির্দেশ করেছিলেন।
শুনেছিলাম আমার অতি স্নেহময় পিতার মনে সুপ্ত একটা বাসনা ছিল তাঁর মায়ের 'আবেদা' নামের সঙ্গে নাম মিলিয়ে তাঁর আত্মজাকে 'খালেদা' নামে ডাকার। আরো কয়েকটা নাম রাখার প্রস্তাব নিয়ে নাড়াচাড়া করা হলেও ওই 'খালেদা' নামটিই নিদিষ্ট হয়ে গেল। তবে মজার কথা হলো, আমার অন্য পাঁচ ভাই-বোনের নাম রত্নভান্ডার উজাড় করে যথাক্রমে নীলা, পান্না, চুনী, হীরে আর ওপেল রাখা হয়েছিল। সেগুলিতে আমাদের আব্বার বাস্তব চিন্তা-ভাবনার স্বাক্ষর ছিল। কিন্তু আমার নামেউর বেলায় উল্লেখযোগ্য কোনো পাথরের নাম পাওয়া গেল না। 'ফিরোজা' নামটা কারো পছন্দ নয়, রুবী মানে তো চুনী, সেটাও হয় না।