১৮৭২ সালের কথা। ফিলিয়াস ফগ নামের খামখেয়ালী এক ইংরেজ ভদ্রলোক হঠাৎ করেই বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে বসলেন যে মাত্র আশি দিনে পুরো পৃথিবী একবার ঘুরে আসবেন তিনি। তাঁর সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থ বাজি হিসিবে ধরলেন তিনি। সেই সশয় দ্রুতগামী যানবাহন বলতে সবাই ট্রেন আর জাহাজকেই বুঝত! সত্রিই কি বিশ্ব আশি দিনে ঘুরে আসা সম্ভব?
দেখা যাক, এই অসম্ভবকে ফিলিয়াস ফগ কীভাবে সম্ভব করেন!
ফ্ল্যাপে লিখা কথা
প্রিয় কিশোর-কিশোরী বন্ধুরা, বিশ্ববিখ্যাত ক্লাসিকগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইংরেজিতে এবং বড়দের জন্য লেখা। তাই সেগুলো তোমাদের জন্যে আমাদের এ প্রয়াস। বিশ্ববিখ্যাত লেখকদের সেরা রচনাগুলো তোমাদের উপযোগী ভাষা ও পাতায় পাতায় ছবির মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পেরে আমরা আনন্দিত । আমাদের এ সিরিজের বইগুলো পড়ে তোমাদের একদিকে যেমন হবে সৃজনশীলতার বিকাশ, অন্যদিকে পাবে বিশ্বসাহিত্যের বিশ্বসেরা ফিকশনগুলো পাঠের আনন্দ।
এই বইয়ে তোমরা যাদের মুখোমুখি হবে
* ১. ফিলিয়াস ফগ : রহস্যময় এক ইংরেজ। প্রচুর ধনসম্পদের মালিক । কেউ জানে না তার আয়ের উৎস কী। বন্ধুদের সাথে আশি দিনে বিশ্বভ্রমণের বাজি ধরেন।
* ২. পাসেপার্তু : ফিলিয়াস ফগের নতুন পরিচারক। মনিবভক্ত এই পরিচারকও ফিলিয়াস ফগের সার্বক্ষণিক ভ্রমণসঙ্গী।
* ৩. আউদা : ভরতীয় এক সুন্দরী তরুণী। অল্প বয়সে বিয়ে হয় বুড়ো রাজার সাথে । সহমরণের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করেন ফিলিয়াস ফগ।
* ৪. ফিক্স : ব্রিটিশ গোয়েন্দা । ব্যাংক অব ইংল্যাণ্ডে ডাকাতির সন্দেহে ফিলিয়াস ফগকে আটক করার জন্য তার পিছু নেয় সে।
* ৫. ফ্রান্সিস : বারত ভ্রমণের সময় তার সাথে বন্ধুত্ব হয় ফিলিয়াস ফগের। ভারত সম্পর্কে সে ফগকে অনেক তথ্য জানায়।
ফিরােজ আশরাফ এর জন্ম ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯; ফরিদপুর জেলার বাখুন্ডা গ্রামে। গ্রামের স্কুলেই লেখাপড়ার হাতেখড়ি। ঢাকায় আসেন পড়তে, ১৯৮৯ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লােক প্রশাসনে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে একটি বেকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার ওপর এমবিএ। ফিরােজ আশরাফের প্রথম বই বেদনায় নীল আকাশ প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। দুই বাংলায় বইটি ভীষণ জনপ্রিয় হয় এবং লক্ষাধিক কপি বিক্রি হয়। উপন্যাস, গল্প, অনুবাদ, শিশুতােষ গল্প, সাহিত্যের এই চারটি শাখায়ই মূলত তার বিচরণ। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ষাট। দীর্ঘ কয়েক বছরের বিরতির পর তিনি আবার লেখায় ফিরে আসেন সে | ফিরে আসতে চেয়েছিলাে' উপন্যাসের মধ্য দিয়ে। চাকরিসূত্রে এবং নেদারল্যান্ড সরকারের বৃত্তির সুবাদে ফিরােজ আশরাফ ঘুরে বেড়িয়েছেন নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানি, লুক্সেমবার্গসহ ইউরােপের বহু দেশ। বেড়িয়েছেন মালয়েশিয়া, ভারত। জীবন ও জগৎ সম্পর্কে হৃদ্ধ হয়েছে তার অভিজ্ঞতার ঝুলি।। ফিরােজ আশরাফ বিবাহিত এবং দু’কন্যা সন্তানের জনক। স্ত্রী কানিজ ফাতেমা জিনিয়া ঢাকা ইস্টার্ণ কলেজের শিক্ষক।