লেফট্যানেন্ট কর্নেল নাজমুল হুদা খান

লেফট্যানেন্ট কর্নেল নাজমুল হুদা খান, এমবিবিএস, এমফিল, এমপিএইচ, এএমসি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল কোরে কর্মরত। ছোটবেলা থেকেই তিনি লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত। নটরডেম কলেজ ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবস্থায় বিভিন্ন ম্যাগাজিন ও জাতীয় পত্রপত্রিকায় তার কলাম ও লেখা প্রকাশিত হয়। সশস্ত্রবাহিনী, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন ও জার্নালে তার রচনা ও গবেষণাপত্র ছাপা হয়। তিনি দেশ বিদেশের বিভিন্ন সেমিনারে গবেষণাপত্র উপস্থাপনা করেন। তার সম্পাদনায় আর্মি মেডিক্যাল কোরের প্রথম ম্যাগাজিন “এসক্লেপিয়াস” আত্মপ্রকাশ করে এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের প্রথম জার্নাল ঔকএঐ প্রকাশিত হয়। তার লেখা তিনটি বই “ইবোলা যুদ্ধ ও বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী”, “অনুভবের প্রতিরূপ” এবং “করোনাকালের কথকতা” প্রকাশিত হয়েছে। করোনাকালে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক (বাংলা ও ইংরেজি) পত্রিকা, পাক্ষিক ও মাসিক ম্যাগাজিনে বহুসংখ্যক জনসচেতনতামূলক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। তিনি জনস্বাস্থ্য বিষয়ে বিএসএমএমইউ থেকে এমফিল ও বিইউপি থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন। আমেরিকা থেকে আন্ডার ওয়াটার মেডিসিন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং নৌ কমান্ডো প্রশিক্ষণ ও যুক্তরাষ্ট্রের ভাষা বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে বিইউপির অধীনে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের মানসিক সমস্যা বিষয়ে পিএইচডিতে গবেষণারত। লে. কর্নেল নাজমুল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দু’টি ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্স ও একটি সিএমএইচের অধিনায়ক, সামরিক চিকিৎসা মহাপরিদপ্তরের সহকারী মহাপরিচালক, আর্মি মেডিক্যাল কোর সেন্টার এন্ড স্কুলের দু’বার প্রধান প্রশিক্ষক, আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল ইনষ্টিটিউটের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং করোনাকালে করোনা ডেডিক্যাটেড কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রেষণে কুয়েত এবং ইবোলা মহামারী প্রাদূর্ভাব চলাকালে লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে জাতিসংঘ লেভেল-২ হাসপাতালের উপ-অধিনায়করে দায়িত্ব পালন করেন। ইবোলা ব্যবস্থাপনায় সাহসী ভূমিকার জন্য ফোর্স কমান্ডার এবং বাংলাদেশ সামরিক চিকিৎসা মহাপরিদপ্তরের ডিজিএমএসের প্রশংসাপত্র লাভ করেন। তিনি আর্মি মেডিক্যাল কোরের জাতীয় পতাকা প্রদান, রিইউনিয়ন ও জাতিসংঘ মেডেল প্রদান কুচকাওয়াজে গৌরবময় প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি কুয়েত সশস্ত্রবাহিনীতে আন্ডারওয়াটার মেডিসিন ইউনিটের প্রধান ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত আছেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশংসনীয় কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে কুয়েতের ফার্স্ট ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর প্রশংসাপত্র লাভ করেন।