
User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাস ও ঐঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে গল্প আকারে দারুণ ভাবে উপস্থাপন এর আগে হাতেগোনা অল্প কিছু লেখকই পেরেছেন। নতুনদের মাঝে মুহম্মদ নিজাম সেই দক্ষতাটা ভালো ভাবেই আয়ত্ত করতে পেরেছেন। অগ্নিপুরাণ সেই সাক্ষ্যই দিচ্ছে। অসাধারণ এবং অনবদ্য সৃষ্টি, বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে থাকার মতো একটি বই। যেটি আগামী কয়েকশ বছর বাংলা সাহিত্যে স্থান দখল করে রাখবে। অগ্নিপুরাণ, অগ্নিমঙ্গল প্রকাশের পর অগ্নিযুগান্তর ও খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হবে বলে আশা রাখছি।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
The writer is very young, but he has delivered a masterpiece! Definitely a good read!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই।বাঙালায় মুসল মানেরদের আগমনের ইতিহাস ও আগেরকার শাসকেদের ইতিহাস নিয়ে এর চেয়ে ভালো বই আমি আর পড়িনি।ইতিহাসও যে সাহিত্যের ছোয়ায় এতো প্রাঞ্জল হতে পারে তা নিজাম নূরের বইটি না পড়লে বোঝা যায় না। আশা করি লেখকের ক্ষুরধার ও মননশীল লেখনি আপনার মনজয় করতে সক্ষম হবে।
Was this review helpful to you?
or
* উগ্র অথবা আলফা টাইপ পুরুষদের গল্প অগ্নিপুরাণ। সেই সময় অল্প বয়সী মেয়েদের হাঁটে বাজারে বিক্রি করা হত। পরীমণির মতো বিউটিফুল একটা মেয়ের চাইতে বাজারে একটা ঘোড়ার দাম বেশি ছিল। * হিন্দু রাজা বিজয়সেন ছিলেন একজন উগ্র হিন্দু। চারশ বছরের পাল শাসনের অবসান ঘটে তাঁর হাতে। বৌদ্ধ বিহার ধ্বংস এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় ভিক্ষুদের হত্যাও তাঁর হাত রয়েছে। * রাজপুত্র নরুন এক উগ্র বৌদ্ধ। মন্দিরের ভেতর থেকে যাবতীয় হিন্দু দেব-দেবী সরিয়ে ফেলতে চায়। ভাঙচুর ও ধ্বংস লীলা চালাতে চায়। * বখতিয়ার এক উগ্র মুসলিম যোদ্ধা। শুধুমাত্র সম্পদের লোভে বিভিন্ন জমিদারি মহালে আক্রমণ ও লুণ্ঠন চালায় সে। * বখতিয়ার একটা বিস্ময়। জীবনে একশটা লাত্থিগোত্তা খেয়েও কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, সামান্য এক মুটে-মজুর থেকে সুবিশাল সৈন্যদল গড়ে তুলা। একের পর এক রাজ্য জয়- * মহারাজ লক্ষণসেন একটা বিস্ময়। একজন সত্যিকারের জ্ঞানী মানুষ। ভালো মানুষ। ভালো মানুষ বলেই হয়ত, প্রেমে তিনি ব্যর্থ। এই পৃথিবী ভালো মানুষ খায় না, তরবারি খায়- * রাজপুত্র নরুন একটা ফিনিক্স। আগুনে পুড়ে পুড়ে আলো হয়ে ফিরে আসবে সে। পুরনো পিতাদের জাত- যজ্ঞ – পদচিন্ত মুছে ফেলে সম্পূর্ণ নতুন পরিচয়ে- নতুন এক আযানের ধ্বনি নিয়ে ফিরে আসবে সে- নরুনের জন্য শুভকামনা- * নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শুকপতি রাজা হবার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও প্রেমিক হয়েছে। থেকে আটশ বছর আগেও মানুষ এতটা স্মার্ট ছিল, তাঁদের আধ্যাত্মতিক কিংবা যৌন অনুভূতি একটা সরস ছিল- কখনো ভাবতে পারি নি। শুকপতির আমাকে সিদ্ধ করেছে। * বঙ্কিম চন্দ্রের মতো অনেক হিন্দু লেখকের দৃষ্টিতে বখতিয়ার শুধুই একজন দস্যু। একজন খুনী। অন্যদিকে কতিপয় অতি মুসলিমপন্থীর ভাষ্যমতে বখতিয়ার অতিমাত্রায় ভালো মানুষ। এতদিন এই জানতাম। অগ্নিপুরাণ পড়ে নতুন কিছু অনুভব করলাম। অগ্নিপুরাণের বখতিয়ার একজন যোদ্ধা। কুৎসিত চেহারা আর দারিদ্র্যের কারণে বারে বারে বঞ্চিত হচ্ছিল। কিন্তু সে হাল ছাড়ে নি। অদম্য সাহস আর কব্জির জোর খাটিয়ে "Survival of the fittest"এ সে নিজেকে চূড়ায় নিয়ে গেছে। * লক্ষণসেন এতকাল শুধুই একটা নাম ছিল। অগ্নিপুরাণ পড়ার সময়ে সবচেয়ে বেশি শান্তি পেয়েছি রাজপুত্র লক্ষণ ও তন্দ্রাবতীর প্রেমে। সবচাইতে অবাক হয়েছি তাঁর দীর্ঘ বিস্তৃত জীবনের উত্থান-পতন দেখে। * সম্রাট হুমায়ূনের পর বাংলা সাহিত্যে আকবর বাদশার মূখর পদধ্বনির আওয়াজ পাচ্ছি। মুহম্মদ নিজাম- শুভকামনা আপনার জন্যে। এই রকম দারুণ দারুণ বই দিন আমাদের। আপনি পারবেন। আপনি পেরেছেন।
Was this review helpful to you?
or
পাঠক হিসেবে প্রথমবারের মতন মোঃ নিজাম এর বই কিনলাম. বইয়ের প্রথমটা যেভাবে শুরু করেছেন আগ্রহ বাড়িয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট. লক্ষণ সেন কে একদম আমাদের সামনে আমাদের মত সাধারন মানুষের সাথে মিলিয়ে দিয়েছেন, যিনি কিনা সৈমন্তীর মাথায় হাত বুলিয়ে দুষ্টুমির ছলে বলেন তোমার রাজপুত্রের মত বর হবে চুপটি করে লুকিয়ে রাখবে কিন্তু। প্রেম যুদ্ধ অমোঘ সত্য, যুদ্ধের মতো প্রবল বিগ্রহ যেখানে থাকবে, প্রেমের মতো তীব্র আবর্তন সেখানে থাকবে। তাতে মাঝেমধ্যে দ্বিধায় পড়ে গেল পড়ে যেতে থাকবেন। ইতিহাস প্রসঙ্গে কিছু বলতে পারব না থাকতেও পারে তবে পুথি গান কেচ্ছা থেকে প্রসঙ্গ নিয়েই গল্প উপন্যাস। গল্পের পরতে পরতে যদি একশন চান তাহলে আশাহত হবেন। সোহরাব-রুস্তমের মত নয় তার মতোই ঐতিহাসিক ভিত্তি করে রচনা করেছেন। লক্ষনসেনের শুরু থেকে শেষ, বখতিয়ার এর শুরু থেকে শেষ। নরুনেরএর উত্থান, সন্দিহান ছিলাম তবে তাকে যেভাবে অতি দ্রুত দেখানো হয়েছে হয়তো ইতিহাসে, তা আরো বড় হতে পারত তবে আমাদের মূল নায়ক নরুন ছিলেন না। আসলেই দুনিয়া বড়ই অদ্ভুত। যখন আসতে থাকে তখন এর মূল্য আমরা বুঝি না, আরো চাই। আর যখন মুখ ফিরে চাই আর যখন হঠাৎ আঘাত আসে বিপদ প্রসন্ন হয়ে যায়, তখন ভাগ্যের দোষ দেই। দুই পক্ষের দিক থেকে দেখলে একপক্ষের যেমন ভাগ্য খারাপ বলেই তো অপরপক্ষের ভাগ্য ভালো হয়। এর একটি উদাহরণ, বা আসলেই বাস্তব জগতে এটা দেখা যায়। আরো অনেক ভালো লেখা যেত। ইতিহাসিক ঘটনা গুলো অনেক সুন্দর চিত্রায়ন করা যেত। তবে ঘরগুলো মাঝেমধ্যে আদিম অসংযত ছিল। খারাপ না প্রচেষ্টা হিসেবে খারাপ না, ভালো গল্প। ভালো চেষ্টা আর তার বই নিয়ে আসলে ফেসবুকে যাবে প্রচার হয়েছে লেখক সামনের দিনে এরকম আরো অনেক উপন্যাস উপহার দেবেন আশা করছি।
Was this review helpful to you?
or
#বই_আলোচনা বইয়ের নামঃ অগ্নিপুরাণ লেখকঃ নিজাম নূর একটি বিস্তারিত আলোচনায় বইয়ের অনেক তথ্যই বেরিয়ে আসে৷ স্পয়লার জাতীয় এলার্ট সবসময় প্রযোজ্য। ইতিহাস কথা বলবে, আটশ বছর আগের ইতিহাস। বাংলায় তখন সেন বংশের শাসন। সেন বংশের রাজা লক্ষণসেন তখন বাংলার অধিপতি। আরেক কেন্দ্রীয় চরিত্র বখতিয়ার। ষষ্ঠ শ্রেণীতে মুখস্ত করা বিশাল বাংলা নাম "ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি" সেই বখতিয়ারের গল্প অগ্নিপুরাণ। তরুন বালক নরুনের গল্প অগ্নিপুরাণ। বিস্তৃত কাহিনী নিয়ে লেখা ৩৩৬ পৃষ্ঠার বইতে ঘটনার ঘনঘটা অনেক। কাহিনীসূত্রে মুসলিম দিগ্বিজয় কুতুবউদ্দিন আইবেকেরও দেখা মিলেছে। বইয়ের শুরু হয় উজুরানী আর তার নাতনী রাধিকা সেমন্তি কে দিয়ে। তাদের সাথে ছিলো বৈদ্যগুপ্ত। বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠাতা বখতিয়ার খলজির উত্থান থেকে শুরু করে পথচলার পুরোটার খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে। লক্ষণসেনের রাজসিকতাও বেশ ঢালাওভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। দাদা বিজয়সেন আর পিতা বল্লালসেন এর শাসনামলে তৈরী করে যাওয়া বিশাল সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতি লক্ষণসেন এর শেষ জীবনটা চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা। নরুন চরিতটি লেখকের নিজের তৈরী নাকি ইতিহাসের কোনো অবহেলিত অধ্যায় তা নিয়ে সংশয়ে আছি। আমি ইতিহাসের ছাত্র নই আর পাঠ্যবইয়ের বাহিরে খুব একটা ইতিহাস জানা নেই তবে প্রাক কথন অংশে, "খুব সম্ভবত শুধু এই একটিমাত্র চরিত্রের অগ্নি-স্নাত জন্মলগ্ন দেখানোর জন্যেই আমাদের ইতিহাসের দিস্তা দিস্তা নথিপত্র ঘেঁটে অতীতের আঁধিয়ার জলধিতে ফিনিশীয় ডুবুরির মতো আরও সুদীর্ঘকাল রত্ন কুড়িয়ে বেড়াতে হবে"। এই লাইনটুকু ভাবতে বাধ্য করায় যে নরুন ছিলো। আবার পরিশিষ্ঠে এসে শীরন খলজির হন্তারক পরিচয় মেলে এই নরুনের৷ কাহিনী লেখার কাজ লেখক করেছেন বইতে। আমি বই নিয়ে আলোচনা করি তাই কাহিনী সংক্ষেপ আর কাহিনী বিস্তারিত কিছুই লিখিনা। ⭕ প্রথম অধ্যায়ের হাইলাইট ছিলো রাধে-রাধিকা সেমন্তি। অথচ পুরো অধ্যায় শেষ করার পরও রাধিকার বয়সটা ঠিকঠাক ঠাহর করা যাচ্ছিল না। রাধিকার বয়স যখন ছয় সাত বছর ভাবছিলাম তখন নৌকায় বসে তার করা সেই কাজ ভাবতে বাধ্য করে সতেরো আঠারো। ঘটনাটা আরেটু ধোঁয়াশা হয় রাজদত্তের গানের আসরে, তখন বেমালুম গুলিয়ে যাই রাধের বয়স। অবশেষে ২৩৫ তম পৃষ্ঠায় পরিষ্কার হওয়া গেলো রাধের বয়স ১৩!! ⭕ সুদীর্ঘ চারশ বছরের পাল শাসনের অবসান ঘটিয়ে বাংলায় সেন শাসনের প্রতিষ্ঠা করে। ঐতিহাসিক মিনহাজের ভাষ্যমতে, রায় বংশের এই ধারাকে বঙ্গদেশের প্রজাগন অত্যন্ত বড় বলে মনে করতেন। পদমর্যাদায় এদেরকে খলিয়া বলে গন্য করা হত। রায় বংশের পঞ্চম পুরুষ হলেন রাজা লক্ষণসেন। পাল আর সেনের মাঝে রায় কই থেকে আসলো? আমার জানামতে মুঘল শাসনামলে দুজন রায় ছিলেন৷ কিন্তু রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর শুরু হওয়া পাল সাম্রাজ্যের পর সেনরা ক্ষমতায় আসেন। তারচেয়ে বড় কথা এই ভাষ্যমতটা অধ্যায়ের শেষে টীকা হিসেবে দিলে ভালো হতো। এরকম আরও দুই/তিন জায়গায় ভাষ্যমতগুলো লেখার মাঝে দিয়ে দেয়া হয়েছে। একটা বর্ণনামূলক লেখায় এই জিনিসগুলো গল্পের খেই হারিয়ে দেয়। এগুলো অধ্যায়ের শেষে টীকা আকারে দিলে লেখাটা আরও প্রাণবন্ত হতো। ⭕ বখতিয়ারের পরিচয় পর্বটা দারুন ছিলো। একবারে চোখ ধাঁধানো উপস্থাপনা। ⭕ ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ইতিহাসটা প্রবন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। ইতিহাস নিয়ে আসার আগে লক্ষণসেনকে নিয়ে আরেকটু কিছু লিখতে ভালো হতো। ⭕ রাজদত্ত, দারুন একটা উপস্থাপনা। বিশেষত বৈদ্যগুপ্ত আর তার নাতনী সেমন্তির সাথে প্রথম দেখার পর্যায়ে ভাবতেছিলাম ক্ষমতার বলে রাজদত্ত হয়ত সেমন্তিকে আটকে দেবে কিন্তু তা করেনি। টুইষ্টটা ভালো লেগেছে। ⭕ ৬৫ পৃষ্ঠায় দ্বিতীয় প্যারাটা কেন লিখলো বুঝলামই না৷ পাঠকের মনে কি প্রশ্ন জাগতে পারে তা একটা ঘটনা বর্ণনায় লেখক লিখে ফেললেন? ⭕ ৬৯ পৃষ্ঠার শেষাংশে যশোদা কে নিয়ে লেখাটুকু মনে হলো ফেসবুক পোষ্টে কোনো দুঃখের লেখা পড়তেছি। বইটার বর্ণনাভঙ্গি যখন এত চমৎকার তখন এইটুকু খাপ খায়না। ⭕ ৭৪ পৃষ্ঠায় নরুনের সেমন্তিকে নিয়ে ভাবনাটা যৌনতায় রূপ না দিয়েও পূর্ণতা দেয়া যেতো। ⭕ ৮০ পৃষ্ঠায় বখতিয়ার আর দময়ন্তীর সম্পর্কটা যথেষ্ট বাজে উপস্থাপনা। মানুষ কামনা বাসনার উর্দ্ধে নয় তবে এমন ভাবে না দেখালেও হয়। একটা ভালো মানের বইতে এই ধরনের উপস্থাপনা মোটেও কাম্য নয়। ⭕ নরুন-সেমন্তি বা বখতিয়ার-দময়ন্তীর উপস্থাপনা নিয়ে যখন বিরক্ত সেখানে শুকপতি-অলকানন্দার উপস্থাপনা দারুন ছিলো। এখানেও মিলন হয়েছে তবে সেটা শৈল্পিক। চমৎকার উপস্থাপনা। ⭕ ১১৫ পৃষ্ঠার প্রথম প্যারার শেষাংশে তুর্বতীর ঘটনাটায় বেশ কিছু ওয়ার্ড মিসিং বা সাজানো ঠিক নেই। একটা আক্রমনের বর্ণনায় অসম্পূর্ণতা কাম্য নয়। ⭕ ১২০ পৃষ্ঠায় আয়াতুল কুরসীর যে অনুবাদটা দেয়া হয়েছে তা পুরো সঠিক না। এটাকে রেফারেন্স ধরলে বাকী শ্লোক বা কোটগুলোর অনুবাদ নিয়েও প্রশ্ন তুলতে হয়। ⭕ ১২৩-১৩০ পৃষ্ঠার অধ্যায়টিতে ভুলের মহড়া ছিলো। বেটা রিডার বা প্রুফ রিডাররা আসলে কি বই দেখে? বা আদৌ কি এমন কোনো প্রকৃয়া আছে? ⭕ ১৩৪-১৩৮ পৃষ্ঠায় শুকপতি আর অলকানন্দার যে আরেকটুকরো প্রেম গাঁথা উপস্থাপন করা হয়েছে এখানে অলকানন্দাকে নগ্ন না করেও প্রেম রচনা করা যেতো। পারিপার্শ্বিক অবস্থান নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোমার পর বারবার আদিমতম প্রবৃত্তিতে ফিরে যাওয়াটা বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে। অবশ্য লেখক প্রাক কথনে বলে দিয়েছেন, " প্রেম ও যুদ্ধ দিনের গল্প অগ্নিপুরাণ। প্রেম এখানে আদিম, অনাবৃত, অসংযত। যুদ্ধ এখানে অবিশ্রান্ত"। ভাষ্যমত মেনে নিলেও বারবার এই আদিমতম প্রেমখেলার উপস্থাপনা না করলেও হয়। লেখনি লেখকের ব্যক্তিস্বাধীনতা। চাইলেই লেখক আরও রুচিশীল ভাবে উপস্থাপনা নিয়ে আসতে পারে। ⭕ সুপুরুষ কথাটা বুঝাতে লেখক বীর্যবান পুরুষ শব্দটা কেনো ব্যবহার করে আমার অন্তত বুঝে আসেনা। ⭕ ১৮৭ পৃষ্ঠায় শুরু হওয়া অধ্যায়ের শুরুটা যে স্বপ্ন ছিলো সেটা ইজিলি শুরুতেই বলে দেয়া যাচ্ছে। এখানে আরেকটু রহস্য বুনন হলে ভালো লাগতো। এই অধ্যায়ে আরেকটা ছোট্ট দিক বলি। লক্ষণসেনের বয়স ২৭, তন্দ্রাবতীর বয়স ১৭। বয়সের তফাত ১০। ৪০ এর পর তন্দ্রাবতী সংসারে মনোযোগী হয় আর ৫০ এর আগে মারা যায়। টেক এ নোট ৪০ এর পর আর ৫০ এর আগে। তন্দ্রাবতীর মৃত্যুর সময় লক্ষণের বয়স ৫৫ সেই হিসেবে তন্দ্রাবতীর বয়স ৪৫। যদিও এটা একটা উইক সাইট। তবুও পাঠকের ইমাজিনেশনের ওপর এত সূক্ষ্ম হিসাব ছেড়ে দেয়া ঠিক নয়। ⭕ যেসব চরিত্র দিয়ে উপন্যাস শুরু হয় মানে উপন্যাসের শুরুর জিনিসগুলোর একটা গোছানো পরিনতি শেষাংশে আশা করা যায়। সেমন্তির পরিনতিটা না তেমন গোছানো ছিলো না ততটা ভালো লেগেছে। ⭕ বখতিয়ার খলজির সৈন্যদলের একজন নুরু। তার কাছ থেকেই বখতিয়ার খলজির জীবনের ক্রান্তিলগ্ন সম্পর্কে জানা যায়। বখতিয়ার খলজির অপরাজেয় বাহিনী কেনো আর কীভাবে পরাজিত হলো তার সুন্দর একটা ব্যাখ্যা প্রদানের মাধ্যমে ইতিহাসকে সম্বৃদ্ধ করপ গেছেন নুরু। ⭕ শেষাংশে এসে আরেকটা শুরুর আভাস পাওয়া যায়। ইওজ খলজি... নাহ, তিনি বখতিয়ারের বংশধর নন। কে এই ইওজ খলজি আর তাকে নিয়ে কি আভাস দেয়া হলো তা জানতে পড়তে হবে অগ্নিপুরাণ। আমি একটু হিন্ট দিই "রাজা হতে চলেছেন ইওজ খলজি। এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম রাজাদের একজন। কিন্তু সেই গল্প আজ নয়-" ⭕ শেষ অংশটুকু এক টানে ঘোরের মতন করে শেষ করে গিয়েছে লেখক। টুকটাক বানান ভুল বাদ দিলে দারুন। বানান ভুল জিনিসটা আহামরি ভুল নয়, আমরা কেউই ভুল ত্রুটির উর্দ্ধে নই। তবে বইমেলাকেন্দ্রীক বই ছাপানোর তাড়াহুড়ায় খুঁটিয়ে দেখা হয়না বই। একটা সুন্দর বিবরন পড়ার সময় একটু পর পর বানান ভুল পড়ার আনন্দ নষ্ট করে দেয়। আমার আলোচনার বেশিরভাগ জিনিসই নেতিবাচক। তবুও বলবো বইটা সত্যিকার অর্থে ভালো একটা বই৷ একজন উদীয়মান লেখকের তৃতীয় বই এটি, তার প্রথম বইটি পড়া হয়েছে। অনেকাংশে উন্নতি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে নিজেকে আরেকটু ক্ষুরধার করে নিলে আজ থেকে পাঁচ বছর ওর নিঃসন্দেহে একটি সুদৃঢ় অবস্থান লেখক নিজ যোগ্যতায় তৈরী করতে পারবেন। কেউ যদি বলে এত নেগেটিভ কথার পর বইটি কি কিনবো? পড়বো? তাহলে বলবো অবশ্যই পড়বেন। ইতিহাস জানতে হবে। বখতিয়ার খলজিকে জানতে হলে আপনাকে অগ্নিপুরাণ পড়তে হবে। ভালো জিনিসগুলো শুধু বললেই হয় ভালো লেগেছে যেমন লক্ষণসেনের রণকৌশল, সুভদ্রার উপস্থাপনা, রাজদত্তের সমর দক্ষতা, উমাপতির জ্ঞানগর্ভ আলোচনা, শীরন আর জহুরীর দক্ষতা, নরুনের উদভ্রান্ত চলাফেরা, অলকানন্দা এগুলো সবই ভালোলাগার মতন জিনিস। তবে যেসব জিনিসে অভিযোগ করা হয় সেগুলো কারন সহ বলতে হয় যেমনটা ওপরে করা হলো। পৃথিবী বইয়ের হোক। সমালোচনা সমাদৃত হোক। বইয়ের নামঃ অগ্নিপুরাণ লেখকঃ মুহম্মদ নিজাম প্রচ্ছদঃ চারু পিন্টু প্রকাশনীঃ বায়ান্ন ('৫২) প্রকাশকালঃ বইমেলা ২০২০ মুদ্রন মূল্যঃ ৫৫২ টাকা
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাস সৃস্টি করতে হলে ইতিহাস পড়তে হবে। এই মহৎ বাণীটি যায় এই বইয়ের সঙ্গে।পুরোটা পড়ে ইয়া বড় রিভিউ দিব।
Was this review helpful to you?
or
ঐতিহাসিক উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
একদিকে মহান সম্রাট লক্ষণসেনের পতন আর অন্য দিকে বখতিয়ার খলজি নামক এক সামান্য যুবকের উত্থানের ঘটনা নিয়েই এগিয়ে চলেছে বইটির মূল ঘটনা। আর তার মাঝে যুক্ত হয়েছে অনেকগুলো চরিত্র। যারা ইতিহাসের পাতার সাথে সাথে বইয়ের কাহিনির সাথেও রয়ে গেছেন। এটি একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস সাথে লেখক সাহিত্যের রসদও বিদ্যমান রেখেছেন। তাই এখানে ইতিহাস জ্ঞান আর সাহিত্য রস দুই ই পাওয়া যাবে। নামঃ অগ্নিপুরাণ লেখকঃ মুহম্মদ নিজাম
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
নাম দেখেই ধারণা করা যায়, ঐতিহাসিক উপন্যাস। পটভূমি মূলত ১২০০ সালের শুরুতে সেন শাসিত বাংলা। এ গল্প শেষ সেন রাজা লক্ষণসেনের আর মুসলিম বীর বখতিয়ার খিলজির। যে সময়ে বাংলায় সেন শাসন শেষ হয় আর তুর্কি বীর বখতিয়ার ক্ষমতা দখল করে নেয় তখনকার সময় নিয়েই আবর্তিত এর কাহিনী। আছে বংশ হিসাবে রাজপুত্র অথচ সময়ের স্রোতে দারিদ্র্যতার কষাঘাতে জর্জরিত কল্পিত চরিত্র নরুনের কথা। আছে রাজদত্ত, বৈদ্যগুপ্তদের কথা। শুকপতি নামের এক সুত্রধর (কাঠমিস্ত্রি) গ্রামের মোড়লেরও ভূমিকা আছে বিশাল, যে কী না হুট করেই কল্পনাতীত দায়িত্ব পেয়ে যায়, ন হাজার পাঁচেক মানুষ নিয়ে হাজার হাজার রণতরী বানিয়ে ফেলে নিমিষেই। অন্যদিকে বখতিয়ার খিলজির সাথে আছে শীরন, জহুরী, আলী মর্দানের মত চরিত্র। যারা কাধে কাধ লাগিয়ে, অশ্বের পিঠে চড়ে খাপ খোলা তলোয়ার হাতে একে একে জয় করে চলেছে তাম্রকূট, অমরকূট, ঝাড়খণ্ড। ক্রমেই এগিয়ে আসছে লখনৌ আর বাংলার দিকে..... বখতিয়ারের রাজ্যের পর রাজ্য দখলের কৌশল আর সুন্দরবনে দস্যু ডুম্মনকে কাবু করতে লক্ষণসেনের নৌবহর নিয়ে আক্রমণের বর্ণনা ছিল বেশ চমৎকার। প্লট হিসাবেও অসাধারণ সন্দেহ নেই। তবে সেই অর্থে "সুখ পাঠ্য" নয়। হাজার বছর আগের জংলা, নদীবিধৌত বাংলার মায়াবী বর্ণনা যেমন আছে, কিছু কিছু জায়গায় সাথে আছে রগরগে যৌনতার বর্ণনা যা ভাল লাগেনি। বইয়ের ভাষা সেই অর্থে একদম সরলও না। তবে নামের সাথেই যেহেতু "পুরাণ" আছে, একদম জলবৎ তরলং ভাষা আশা করাও বোধহয় ঠিক না। সব মিলিয়ে আমার কাছে বইয়ের রেটিং পাঁচে তিন, বা টেনেটুনে সাড়ে তিন। এটুকু না হলে আসলে প্রায় সাড়ে তিনশ পৃষ্ঠার এই বই শেষ করা হত না!
Was this review helpful to you?
or
এক যুদ্ধদিনের গল্প অগ্নিপুরাণ।প্রতিটি পাতায় রয়েছে যুদ্ধদিনের ইতিহাস,খুন,রক্ত,ক্ষমতার লোভ,হিংসা,আক্রোশ!প্রেম,কাম,যৌনতাও লুকিয়ে রয়েছে অগ্নিপুরাণে।"প্রেম এখানে আদিম,অনাবৃত,অসংযত।" অত্যন্ত রুপবান যুবাপুরুষ এবং পরাক্রান্ত যোদ্ধা লক্ষণসেন।বহু বছর আগে পাল রাজাদের উচ্ছেদ করে বাংলায় সেন শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো।বংশের পঞ্চম পুরুষ লক্ষণসেনের জন্মলগ্ন থেকে শুরু মৃত্যুর পূর্বক্ষণ পর্যন্ত ঘটন-অঘটনে সমৃদ্ধ।সিংহাসনে বসার আগেই যিনি পিতামহ বিজয়সেনের সাথে যুদ্ধে নিজের পরাক্রম বারবার প্রমাণ করেছেন।বয়সের ভারে দূর্বল হলেও ভেতরের তেজ কখনো দমে যায়নি বীরপুরুষ লক্ষণসেনের।সুভদ্রার অপমানের শোধ নিতে দক্ষহাতে রাজা ডুম্মনপালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন তিনি।তেজের সাথে জয়ী হোন।কিন্তু রাজা লক্ষনসেন যখন নদীয়ায় বসে ডুম্মনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার ছক কষছেন,বহু বহু দূরে তাম্রকূট,অমরকূট বিজয় করে বঙ্গদেশের দিকে ছুটে আসছেন এক অকুতোভয় যবন যোদ্ধা! গরমশির থেকে ভাগ্যের ওপর বাজি রেখে আসা এক হতভাগ্য যুবক বখতিয়ার।একটি চাকরির জন্য দ্বারেদ্বারে ঘুরে ক্লান্ত বখতিয়ার একদিন এসে হাজির হয় হিজবর উদ্দীনের দরবারে।নিম্নবিত্ত ঘরে জন্ম নেয়া বখতিয়ারের কুৎসিত মুখশ্রীর জন্য সবার কাছে অপমান এবং গ্লানির সীমা ছিলো না।কিন্তু ভিতরে অদ্ভূত এক আগুনের ফুলকি ছিলে বখতিয়ারের ভেতর।একদিন ভাগ্য বদল হয় বখতিয়ারের।তরাইনের ময়দানে নিজের সাহসের প্রমাণ দিয়ে ভাগ্যকে হাতের মুঠোয় আবেগ বখতিয়ার।তারপর শুধুই যুদ্ধজয়ের গল্প।তাম্রকূট,অমরকূট,হিন্দুস্তান সব দখল করার পরেও বখতিয়ারের মন পড়ে থাকে দূরের রহস্যময় বঙ্গদেশের প্রতি।একদিন সেখানে রাজত্ব করার স্বপ্নে বিভোর বখতিয়ার বীর লক্ষণসেনকে সরিয়ে রাজা হতে চায়! রাজ্যহারা এক রাজপুত্র নরুণ পাল!এককালের বাংলা শাসন করা পাল বংশের মুকুটহীন রাজা সে।পালপাড়ার অন্য সকলে নিজেদের দূর্ভাগ্য মেনে নিলেও সে কখনো মানতে পারেনি।বুকের ভেতর প্রতিশোধের আগুন জ্বালিয়ে রেখেছিলো সবসময়।একদিন সেন রাজাদের পতন ঘটিয়ে আবার বাংলার রাজ হতে চায় নরুণ।তার চারপাশে স্বর্গের অপ্সরাদের মতো সুন্দরীরা ঘিরে থাকবে।মা,বাবা,আর বোন পৌষার আর কোন কষ্ট থাকবে না।অথচ,নিয়তি বারবার তার সাথেই বিদ্রুপ করে।বৃদ্ধ ভুসুকু দাদু অলীক স্বপ্ন দেখিয়ে একদিন হারিয়ে যায়।তার ফিরে আসার প্রতীক্ষায় থেকে থেকে নরুণ একদিন উপলব্ধি করে,যা হারিয়ে যায় একেবারেই হারায়য়।আর ফিরে আসে না।এক আশ্বিনে বাবা অশোকপাল মারা যায়,আরেক আশ্বিনের ঝড়ে গৃহহারা হয় নরুণ।তারপর অসীম ক্ষোভ জমিয়ে রেখে একদিন বাড়ি ছাড়ে নরুণ।লক্ষণাবতীতে হয়তো আর কখনো ফিরতো না সে,কিন্তু ফিরতে হয় ঘটনাচক্রে।আর তারপর কি হয় আসলে? প্রতিক্রিয়া:ইতিহাস,যুদ্ধদিনের গল্প পড়তে ভালো লাগে না সবার।কিন্তু অগ্নিপুরাণ এমন এক যুদ্ধদিনের গল্প যা আপনাকে প্রতিটি মুহুর্ত আচ্ছন্ন করে রাখবে।প্রতিটি যুদ্ধ,প্রতিটি বর্ণনা নিখুঁতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।বখতিয়ার যখন সৈন্যসহ আল্লাহু আকবার বলে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে মনে হচ্ছিলো আমি যেন সামনে থেকে দেখছি।লক্ষনসেনের প্রেম,মমতায় ভরা মন,পরাজয়ের গ্লানির প্রতিটি মুহুর্ত ছুঁয়ে গিয়েছে।নরুণের কি হবে উৎকণ্ঠা সত্যি মনে হয়েছে।লেখক ইতিহাসের কতকিছু পড়েছেন,কতটুকু কষ্ট করেছেন গল্পচ্ছলে যুদ্ধদিনের ইতিহাস বলতে,অগ্নিপুরাণ পড়তে গিয়ে তা উপলব্ধি করেছি।এখানে শুধু যুদ্ধ না,রয়েছে প্রেম-কাম,লোভের মেলবন্ধন।অগ্নিপুরাণে ইতিহাস পড়তে এতটুকু ক্লান্তি লাগে নি আমার। গল্পের প্রতিটি চরিত্র হৃদয় জয় করেছে।কখনো বখতিয়ারকে উচ্চাকাঙ্খী,লোভী,লুটেরা মনে হয়েছে।কখনো বন্ধুবৎসল,আন্তরিক একজন সেনাপ্রধান মনে হয়েছে।নিজের কঠিন ব্যক্তিত্ব,তুখোর যুদ্ধজ্ঞান দিয়ে যিনি জয় করেছিলেন জহুরী,আলি ইওজ,শীরন,আহমেদ বেগ,হাজীবাবা এমনকি দিল্লীর প্রধান আইবেক উদ্দীন সহ নিন্দুক আমীরদের মন।যুদ্ধের কোন নিয়ম মেনে যুদ্ধ না করলেও প্রতিবার বিজয়ী হয়ে ফিরেছেন বখতিয়ার।কিন্তু লোভ কি মানুষের পতনের মূল কারণ নয়?গল্পের শেষ পর্যন্ত বখতিয়ার নিজ মহিমা ছড়িয়ে গিয়েছেন। বখতিয়ারের তুলনায় বয়সের ভারে ক্লান্ত রাজা লক্ষণসেন অনেকটাই ম্রিয়মাণ।যৌবনকালে নিজের পরাক্রম বারবার প্রমাণ করেছেন।কিন্তু রাজ্যহারা নরুণের কাছে তিনি বরাবরই ঘৃণার পাত্র।শিশুদের মতো কোমল,মায়াময় রাজা লক্ষণসেন।অথচ,তার শেষ বিদায় কতটা অপমান আর গ্লানিতে শেষ হলো! রাজ্যহারা রাজপুত্র তুখোড় তীরন্দাজ নরুণ কখনো লোভী,কখনো চতুর কখনো অত্যন্ত দূর্ভাগা।সে প্রেম চায়,অপ্সরা সুন্দরীদের বাহুলগ্ন হতে চায়।অথচ,বারবার হেরে যেতে হয়।তবুও ভেতরের জ্বলে থাকা আগুন তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়।তবুও সে আবার মায়ের কাছে,বোন পৌষার কাছে ফিরতে চায় একদিন! সেমন্তি রাধিকা,সুভদ্রা,অলকানন্দা কিংবা দময়ন্তী অগ্নিপুরাণ জুড়ে নিজেদের যৌবন ছড়িয়েছে।প্রেমে কাতর করেছে পরাক্রমশালী পুরুষদেরও।ক্ষমতার লোভী,নারীপ্রিয় রাজদত্ত যুদ্ধে যেমন নিজেকে প্রমাণ করেছে তেমনি লালসায় মত্ত।আলী মর্দান ক্ষমতার লোভে অন্ধ,হিংসায় পূর্ণ হৃদয়,অথচ বখতিয়ারকে অমান্য করতে পারেনা কোনভাবেই।শীরণ,আহমেদ বেগ,জহুরী হৃদয় থেকে মেনেছে বখতিয়ারকে,বরাবরের মতো সম্মান করে গিয়েছে।বিচক্ষণ উমাপতির সম্পর্কে বেশিকিছু আর জানা যায়নি।জানা যায়নি কি ঘটেছিলো সেমন্তী কিংবা সুভদ্রার ভাগ্যে।শুকপতি আর অলকানন্দার প্রেমে আকাশের চাঁদও লজ্জায় লুকায়।এখানে প্রেম বর্ণনা হয়েছে শাশ্বত ও চিরন্তন আদিমতা মেনে।যুদ্ধদিনের প্রেমে র গল্পও বলা যায় অগ্নিপুরাণকে। প্রিয় অনেক অনেক উক্তি রয়েছে অগ্নিপুরাণ জুড়ে। ১.প্রতিটা রণাঙ্গন হল একটা ভাগ্য নির্ধারণ ক্ষেত্র।এইখানে কেউ কেউ পতঙ্গের মতো মারা যায় কেউ শুধু নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রাণান্ত কষ্ট করে যায়।আর যারা সত্যিই জীবনে প্রতিষ্ঠা পেতে চায়,তাদেরকে হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে রণাঙ্গনের সমুখে দাঁড়িয়ে শত্রু শিবিরে ত্রাসের সঞ্চার করতে হয় আর পাঁচটা সাধারণ সৈনিকের থেকে নিজেকে আলাদা করার এই হলো সর্বোচ্চ পন্থা ২.ভাগ্য বড় আজব চিড়িয়া।কানা-লুলা-অন্ধ-বধর সবাইকেই সে গোপনে প্রলোভন দেখায়।অথচ করুণা সে কাউকেই করে না।জগতে খুব অল্প মানুষই রয়েছে যারা ভাগ্যরেখার ক্ষতচিহ্নে পদাঘাত করে জীবনের রণাঙ্গনে পদ্ম ফুটাতে পারে। ৩.পুরুষের বিক্রম আর মেয়েদের রুপ।বাইরে থেকে দেখে কতটা বোঝা যায় দাদু?যে বা যারা এইগুলো ধারণ করে সবচাইতে বেশি বুঝে সে নিজে।সবচাইতে বেশি দেখে সে নিজে। ৪.প্রথাগত পদ্ধতিতে মানুষ মরতে মরতে এত বেশি মরে গিয়েছে যে,এইসব মৃত্যুতে তারা আর আমোদিত কিংবা আতঙ্কিত হয়না।ভয় পায়য় অন্ধকারাচ্ছন্ন অজ্ঞতাকে। ৪.যে যায়,সে গিয়েছে। যে আসে,সে একেবারেই অন্য মানুষ। ৫.মহারাজাধিরাজ লক্ষণসেনের মহাপ্রয়াণের মধ্য দিয়ে পুরাণ কথার অবসান ঘটলেও অগ্নিযুগের গল্প ফুরায় না।বরং উজান ধারায় উত্তাপ ছড়ায়।




