
User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ। এই বইটি সবার পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ। সবারই পড়া উচিৎ। সম্ভব হলে প্রত্যেকের জন্য পাঠ্য করে দিতাম।
Was this review helpful to you?
or
#সপ্তর্ষি_রকমারি_বুকরিভিউ_প্রতিযোগ [ রিভিউ ] ▪︎কাহিনি সংক্ষেপ : ❝গল্প❞ তৈরি হয় কেমন করে? সূচনা থাকবে। মধ্যভাগ থাকবে। আরও থাকবে সমাপ্তি। কিন্তু সমাপ্তি ছাড়া কি গল্প হয়? পৃথিবী জুড়ে কত শত গল্প। অথচ রুনু সন্ধান করছে এমন একটা গল্পের, যার কোনো শেষ থাকবে না। সেই গল্পের কাহিনি এগিয়ে যাবে বিরামহীন গতিতে। হঠাৎ করে দেখলে মনে হতে পারে, এমন গল্প থাকা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে একটু যদি পেছনে ফিরে তাকাই, ভেবে দেখি নিজেদের ভুলে যাওয়া ইতিহাস - তাহলে কিন্তু তেমন একটা গল্প আমরা ঠিক পেয়ে যাব। আর এই গল্পের সবচেয়ে মজার ব্যাপারটা কী জানেন? গল্পের নায়ক আমাদের খুব চেনা। প্রকৃতপক্ষে; আপনি, আমি - আমরা সবাই সেই গল্পের নায়ক। কারণ এই গল্পটা তো আমাদের নিজেদের-ই গল্প! ❝ফরমাশ পেয়েছিলাম এমন গল্প বলতে হবে যে গল্পের শেষ নেই। এহেন গল্প অবশ্য অনেক আছে। কিন্তু তার মধ্যে বেশিরভাগই ফাঁকির গল্প। অথচ যার কাছ থেকে ফরমাশ তাকে কোনমতেই ফাঁকি দেয়া যায় না।❞ ছোট্ট রুনু শুনতে চেয়েছিল এমন একটা গল্প, যে গল্পের শেষ নেই। হ্যাঁ; শেষ থাকা যাবে না। ফাঁকিও থাকা যাবে না। বরং গল্প হতে হবে একেবারে খাঁটি। এবং রুনুর সকল শর্ত পূরণ করে তৈরি সেই গল্পের কথা-ই উঠে এসেছে বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠায়। এই গল্প, মানুষের গল্প। এই গল্প, আমাদের সকলের গল্প। কত গল্পই তো পড়ি। কিন্তু নিজেদের গল্পটা ঠিকঠাক জানি তো? সে অনেক আগের কথা! কম করে হলেও সাড়ে চারশ কোটি বছর হবে! এবং এই সংখ্যাটা দিয়েই পৃথিবীর আনুমানিক বয়স ধারণা করা হয়। কিন্তু এখানেও মজার একটা ব্যাপার আছে; পৃথিবীর বয়স গণনা করা হয় কেমন করে? কী সেই উপায়? তাছাড়া শুধু কি বয়সের হিসেব? সৃষ্টিতত্ত্বের ব্যাপারটাই বা কতটুকু জানি? একসময় পৃথিবীতে জল, পাহাড়, মাটি, গাছ - কিছুই ছিল না। ছিল শুধু আগুন। সেই আগুন নিভে গিয়ে পৃথিবীর বুকে জন্ম নিল প্রাণ। খুলে গেল সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। কীভাবে? ❝এই দুনিয়ার মজাই হল ওই। এখানে সবকিছুই বদলে যায়। তার মানে আগে যে রকম ছিল সেই রকমটি আর থাকে না। অন্য রকম হয়ে যায়। এই বদলের একটুও বিরাম নেই।❞ আণুবীক্ষণিক প্রোটোপ্লাজম থেকে শুরু। সেখান থেকে বদলে যেতে লাগল প্রাণের ধারা। ট্রাইলোবাইটদের যুগের শেষে জলের তলে সংঘবদ্ধ হলো নতুন ধরনের প্রাণ, অস্ট্রাকোড্রাম। এককোষী জীব ধীরে ধীরে বহুকোষী প্রাণীতে রূপান্তরিত হলো। এবং এভাবেই একদিন পৃথিবীর বুকে দেখা দিল আমাদের পূর্বসূরি, প্রাইমেট। কিন্তু কীসের গুণে আমরা মানুষ হয়ে উঠলাম? বন্য থেকে সভ্য হয়ে ওঠার গল্পটাই বা কী? কেবল তো শুরু। আরও কত গল্প বাকি। মিশরের পিরামিড, গ্রীসের সমৃদ্ধি আর রোমের দম্ভ তৈরির গল্প। সভ্যতার ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে মানুষের জিতে যাওয়ার গল্প কিংবা হেরে যাওয়ার গল্প। সবচেয়ে বড় কথা; ভবিষ্যতের পৃথিবীটাকে আপনি, আমি - আমরা সবাই কতটুকু জয় করতে পারি, সেই গল্প যে এখনো বাকি! ▪︎পর্যালোচনা : ঠিক সময়ে ঠিক বই পড়তে পারার মধ্যে কি কোনো স্বার্থকতা নেই? সেই বইগুলোর কথা ভেবে দেখুন তো একবার; যেগুলোর মধ্য দিয়ে বই পড়ার এই যাত্রাটা আপনি শুরু করেছিলেন। ধীরে ধীরে রুচি বদলেছে; বেড়েছে পড়ার ব্যাপ্তি। কিন্তু আজকের দিনের ঋদ্ধ পাঠক হয়ে ওঠার পেছনে গোড়ার দিকে পড়া সেই বইগুলোর অবদানের কথা কি ভুলে যাওয়া সম্ভব? নিশ্চয়-ই ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়, তাই না? আমার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। মাত্র বানান করে পড়তে শিখেছি, তখন হাতে পেলাম ❝যে গল্পের শেষ নেই❞। ওই বয়সে ওইরকম একটা বই জাদুর বাক্সের তুলনায় কম আনন্দদায়ক ছিল না আমার কাছে! তবে আসল মজাটা কোথায় জানেন? এত বছর পর আবারও যখন বইটা আমি পড়ছি, ছেলেবেলার সেই জাদুর বাক্সের আনন্দগুলো কীভাবে যেন ফিরে ফিরে আসছে! আর এখানেই মূলত স্বার্থকতার প্রসঙ্গটা চলে আসে। আমার অন্তত তাই ধারণা। এবার আসি ❝যে গল্পের শেষ নেই❞ প্রসঙ্গে। সমগ্র পৃথিবীর ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা গবেষণামূলক/ প্রবন্ধ ঘরানার একটা বই; যেখানে প্রাধান্য পেয়েছে মানুষের শূন্য থেকে শিখরে ওঠার বিচিত্র সব গল্প। প্রবন্ধের বইগুলো পড়ার ক্ষেত্রে; চরিত্রায়ণের তুলনায় মূল গল্পটাই আমার কাছে বেশি প্রাধান্য পায়। যেহেতু কাঠখোট্টা ঘরানার বই; কাজেই লেখকের লেখার ধরনটা সুন্দর না হলে গল্পটা ঠিক জমে না। এদিক দিয়ে অবশ্য ❝যে গল্পের শেষ নেই❞ যথেষ্ট সফল বলা যায়। কেননা বিজ্ঞানের জটিল তত্ত্বকথার সাথে ইতিহাস ও দর্শনের মেলবন্ধন ঘটিয়ে দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় বইয়ের গল্পগুলো লিখেছেন খুবই চমৎকারভাবে। এক্ষেত্রে লেখার ধরন এতটাই প্রাঞ্জল; যার কারণে কমবেশি সকল বয়সের মানুষ-ই বইটা পড়ে আনন্দ পাবে। এবং ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে; বিজ্ঞান কিংবা ইতিহাস নিয়ে যাদের আগ্রহ রয়েছে, তাদের জন্য চমৎকার একটা বই হতে পারে ❝যে গল্পের শেষ নেই❞। বইয়ের গল্পগুলো এগিয়েছে দুই ধাপে। প্রথম ধাপের গল্পগুলো জুড়ে বর্ণিত হয়েছে পৃথিবীর সৃষ্টিতত্ত্ব, প্রাণের ইতিহাস, মানুষের বন্য থেকে সভ্য হয়ে ওঠার কথাসহ আরও অনেক কিছু। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপের গল্পগুলোতে কেবলই মানুষের রাজত্ব। মূলত দ্বিতীয় ধাপের গল্পগুলো-ই বইয়ের প্রধান আকর্ষণ। কেননা এখানেই মিশর, গ্রীস, রোমের মতো প্রাচীন সভ্যতাগুলোর সমৃদ্ধির রহস্যময় গল্পগুলো উঠে এসেছে। সুন্দর অথচ করুণ সব রহস্যের গল্প! কিন্তু হ্যাঁ; সমৃদ্ধির গল্প তৈরি করা বেশ ব্যয়বহুল। কেননা অফুরন্ত ঐশ্বর্য প্রাপ্তির জন্য কঠিন মূল্য দিতে হয়। আর তাই তো জিতে যাওয়ার যে গল্পটা আমরা জানি; ঠিক তার পেছনে হেরে যাওয়ার গল্পটাও মুখ লুকিয়ে থাকে। সভ্যতার ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে চিরায়ত জয়-পরাজয়ের এই গল্পগুলো উঠে এসেছে বইয়ের পাতায়। এক্ষেত্রে পাঠক যেন নেতিবাচক বার্তা না পায়, সেজন্য লেখকের সতর্কবাণী কিছুটা এরকম- ❝...মনে রাখতে হবে, তখনকার যুগ ছিল নেহাতই তখনকার মত, তখনকার কালে মানুষের অবস্থা ছিল নেহাতই তখনকার কালের মত।❞ এবং ❝যে গল্পের শেষ নেই❞ পড়ার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। ক্ষুদ্র আকারের এক বই; যা পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত ঘুরিয়ে আনবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এখানেই শেষ নয়। কেননা এই গল্পের যে শেষ হতে নেই! [ একনজরে বইয়ের তথ্য ] ▪︎ বইয়ের নাম : যে গল্পের শেষ নেই ▪︎ লেখকের নাম : দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ▪︎ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নাম : দি স্কাই পাবলিশার্স ▪︎ বইয়ের জনরা : ইতিহাস ও ঐতিহ্য/ গবেষণা/ প্রবন্ধ [ প্রতিযোগী : নবনীতা প্রামানিক, দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ ইমেইল : [email protected] ] ©Nabonita Pramanik
Was this review helpful to you?
or
দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় - ভারতের একজন প্রখ্যাত মার্কসবাদী দার্শনিক ও লেখক। তিনি প্রাচীন ভারতের দর্শনের বস্তুবাদকে উদ্ঘাটন করেছেন। তাঁর সবচেয়ে বড় কাজ হল লোকায়তের প্রাচীন দর্শনকে তিনি বিরুদ্ধপক্ষের বিকৃতি হতে রক্ষা করেন এবং তা সংগ্রহ ও প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তিনি প্রাচীন ভারতের বিজ্ঞানের ইতিহাস ও বিজ্ঞানের পদ্ধতি সম্পর্কেও গবেষণা করেছেন বিশেষ করে প্রাচীন চিকিৎসক চরক ও সুশ্রুত সম্পর্কে। পৃথিবীতে সব কিছুর শেষ আছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অনেক অনেক কিছুর শেষ দেখেছি আমরা যেমন একটা সামান্য গল্প, গল্প বলা শুরু করলে এক সময় গল্পও শেষ হয়ে যায় কিন্তু এখন পর্যন্ত একটা গল্পের শেষ আমরা পাইনি, সেই গল্পটি হচ্ছে পৃথিবীর গল্প এবং এই গল্পটাই সব থেকে বেশি বাস্তব গল্প। বইয়ের নামই বইয়ের পরিচয় তুলে ধরেছে। পৃথিবীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যা যা ঘটেছে লেখক সেসব কিছুই প্রতিটা ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন এই বইতে। অতিক্ষুদ্র একটা প্রাণী অ্যামিবা থেকে কীভাবে বিশাল ডাইনোসরের উৎপত্তি!, ডাইনোসরের বিলুপ্ত হওয়া থেকে পৃথিবীর পরিবর্তন এবং মানুষের আগমন; পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠতে কতো বাধা বিপত্তি পার হওয়া, সমাজ তৈরি হওয়া, জাতি তৈরি হওয়া রাষ্ট্র তৈরি হওয়া, বিভিন্ন জাতির ইতিহাস, কলকারখানা তৈরির ইতিহাস, যুদ্ধ জয় এবং মানুষ হিসেবে আমাদের কী করা উচিৎ ছিলো এবং আমরা আসলে কী করছি সেই প্রশ্ন তুলে ধরা; সব কিছু খুব সুন্দর ভাবে প্রকাশ করা আছে এই বই। ছোট একখানা বই কিন্তু এতো গুলো তথ্য পদে পদে মিলিয়ে একসাথে প্রকাশ করার কৌশল দেখেই বোঝা যায় লেখক কতটা পরিশ্রমী! গল্প পড়ার শুরুতে মনে হচ্ছিলো জীববিজ্ঞান বই পড়ছি, ভালোই লাগছিলো ছোট বেলার পড়া গুলো আবার মনে আসছিলো কিন্তু পড়তে পড়তে যখন ৫০ পৃষ্ঠা পার হয়ে গেলো তখন থেকে বেশ ভালো লাগা শুরু করলো কারণ আপনারা বইটি পড়লেই বুঝতে পারবেন। আমরা হয়তো সবাই কম বেশি পৃথিবীর গল্পট জানি বিছিন্ন ভাবে বিভিন্ন রূপে কিন্তু সেই গল্পই খুব সুন্দর ভাবে একটা রূপে সহজ ভাষায় লেখক এই বইতে বলেছেন। এই একটা বই যেটা পড়তে আমার বিন্দুমাত্র একঘেয়েমি আসেনি। এক কথায় বলতে লেখক "দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়" তার 'যে গল্পের শেষ নেই" বইতে সেই গল্পটা বলেছেন সত্যি যেই গল্পের শেষ নেই। ছোটদের উপহার দেয়ার জন্য চমৎকার একটি বই এটি। আপনারাও "দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়" এর লিখা "যে গল্পের শেষ নেই" বইটি সংগ্রহ করুন এবং পড়ে ফেলুন। শুভ হোক আপনার পাঠ্য কার্যক্রম।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই: যে গল্পের শেষ নেই(Hardcover) লেখক:দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় মুল্য: 140 টাকা ধরন: ইতিহাস ও ঐতিহ্য; গবেষণা ও প্রবন্ধ প্রকাশনা: দি স্কাই পাবলিশার্স রিভিউ: সব কিছুর শেষ আছে, তাহলে গল্পের কেন নয়? এ আবার কী গল্প?। এ তেমনই গল্প যা আজো চলছে, ইতিহাসবিদ থেকে বিজ্ঞানী তারা গল্পকে নিজের ভাষায় ইতিহাসের খাতায় লিপিবদ্ধ করছে, করার চেষ্টা করছে। সে গল্পের শুরু হয়েছে এক কোষী জীব থেকে। আসলে কি তাই? না এ গল্পের শুরু প্রাণহীন পৃথিবীকে নিয়ে। গাছের বয়স নির্ধারণ করা হয়, গুড়ি হিসাব করে, প্রাণির বয়স নির্ধারণ করা হয়, তাহলে পৃথিবীর বয়স কিভাবে নির্ধারণ করা হয়? দেবীপ্রসাদ বস্তু থেকে গিয়েছেন প্রাণে, সেই প্রাণ থেকে গিয়েছেন প্রাণিতে। এরপর তিনি প্রবেশ করেছেন, সাম্রাজ্যবাদের জগতে। এই যে এত বড় ইতিহাসকে লেখক মাত্র ১০২ পৃষ্ঠার ইতিহাসে বন্দী করেছেন, এতে বইয়ের গুরুত্ব কমে নি এতটুকু। বরং বইটি হয়ে উঠেছে সকল শ্রেণি পেশার মায়নুষের জন্য অবশ্য পাঠ্য একটি বই। পাঠপ্রতিক্রিয়া: মানবজাতির এত দীর্ঘ ইতিহাস লেখক এত অসাধারণ ভাবে তুলে ধরেছেন, যা সত্যিই অনবদ্য। লেখকের এই বই সকল শ্রেণির সকল মানুষের জন্য পাঠ্য। দ্রুততার সাথে পৃথিবীর সমগ্র ইতিহাস পাঠ করার জন্য এর চেয়ে ভালো বই বাংলা ভাষায় আর লিখা হয় নি। আমার কাছে এর রেটিং ৫/৫।
Was this review helpful to you?
or
এখানে লোকাল লাইব্রেরি থেকে নিলে তো এগুলা এত দাম পরে না।




