
User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বই: ভয়ংকর ভুতুড়ে লেখক: হুমায়ূন আহমেদ 'ভূত আপনার কাছে রাতে এসে গল্প করছে। তাদের ভূত সমাজের বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করছে। এ কিন্ত আবার শিক্ষিত ভূত, ইংরেজি জানে, জাপানি ভাষা পারে আবার কবিতা,গল্পও লেখে। আপনার অনুভূতি তখন কেমন হবে?' ⬛ কাহিনী সংক্ষেপ - আখলাক সাহেব কলাবাগানে নিজের বাড়িতে থাকে। গণিতের শিক্ষক, বিবাহ করেননি। স্বভাবে গম্ভীর মানুষ। ছোট বোন মিলি এখনও প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে তার বিয়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু তিনি নারাজ। বয়স বায়ান্নোর দোরগোড়ায়। এক রাত্তিরে হুট করেই তিনি উপলব্ধি করলেন তিনি কোনো ভূতের সাথে কথা বলছেন। কিন্তু বিংশ শতাব্দীতে এসে তার কাছে ভূতের অস্তিত্ব আছে বলে বিশ্বাস করা হাস্যকর ছাড়া অন্য কিছু নয়। নিছকই স্বপ্ন ভাবলেন তিনি। এভাবে প্রায় প্রতি রাতেই ভূত আসে তার কাছে। ভূত তার রাজ্যের গল্প করে কখনো কবিতা শোনায়। তবে তার একটি উদ্দেশ্য আছে। সেই ভূতও আখলাক সাহেবের মতো বিয়ে করতে চায় না কিন্তু তার পরিবার নারাজ, তাই সমস্যা সমাধানের দরুন দারুস হয়েছে তার কাছে। এদিকে ভূত মানুষ সমাজ নিয়ে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে মতিভ্রম করতে শুরু করলো আখলাক সাহেবের। আখলাক সাহেবের মাথায় গন্ডগোল হয়েছে এটা সমাজের অনেকেরই ধারণা। অথচ এ সকল সমস্যার সমাধান করে হ্রিহ্রিলা নামক এক সুন্দরী ভূত। এমন করেছিল সে? ⬛ পাঠ প্রতিক্রিয়া ও পর্যালোচনা - গল্পটা শুরু থেকেই পড়ে মজা পাচ্ছিলাম। ভূত ও মানুষ সমাজ- ভূত সমাজ গল্প লেখে মানুষ সমাজ নিয়ে আবার মানুষ সমাজ গল্প লেখে ভূত সমাজ। দু সমাজের প্রতি দু সমাজের কত ভ্রান্ত ধারণা। আখলাক সাহেব বিচক্ষণ মানুষ হয়েও করে ফেলেছেন কিছু হাস্যকর ঘটনা। হয়তো ভূতের অস্তিত্ব বিশ্বাস না করা মানুষটা যখন হঠাৎ করেই সেই অস্তিত্ব উপলব্ধি করলো সেটারই ফলাফল। মানুষ সমাজের মতো ভূত সমাজের কিছু বদ ভূত থাকে। তাই তো নিজের নাম লুকিয়ে লেখক-৭৪ পরিচয়ে ভূত এতো কাহিনী করলো। তবে ভালো মানুষের মতো ভালো ভূতও তো থাকে তাইনা। নাহলে মানুষ সমাজের মতো ভূত সমাজ চলবে কীভাবে? ⬛ চরিত্রায়ন - গল্পের মুখ্য চরিত্র ছিল আখলাক সাহেব। তাকে নিয়েই গড়ে উঠেছে পুরো গল্প। এছাড়াও ছিল লেখক -৭৪, হ্রিহ্রিলা, মিলি, তারেক, দবিরুদ্দিন, শামসুদ্দিন সাহেব, জয়েনউদ্দিন, এমরান সাহেব,মোতালেব। মোতালেব ভীতু ধরণের ছেলে তবে দবিরুদ্দিন ও শামসুদ্দিন সাহেবের ঝগড়ার টপিকগুলো উপভোগ্য ছিল। শেষ মুহূর্তে ক্ষুদ্র সময়ের জন্য আগমন ঘটনা হ্রিহ্রিলা চরিত্রটা আমার কাছে একটু বেশিই প্রিয় হয়ে উঠেছে। ⬛ পরিশেষে - হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের এন্ডিং পড়ে সবসময়ই আমি হতাশ হবে তবে এই বইয়ের এন্ডিংয়ে একটা সুখী সুখী ভাব পেয়েছি। হ্রিহ্রিলাকে বারবার খুঁজছিলাম আর কিছু সময়ের জন্য কিন্তু সে তো দুষ্প্রাপ্য। রেটিং: ৪.৫/৫ রিভিউ: জান্নাতুল ফেরদৌসী রুনা
Was this review helpful to you?
or
মজার একটা বই
Was this review helpful to you?
or
khube shadharon ekta golper boi....jodio nam voyonkor vuture tobe enjoyable ekta boi voyanok na borong mojaar
Was this review helpful to you?
or
gd
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
খুব মজার একটা বই, কয়েকটা জার্মান শব্দও শেখা হইছিল এটা পড়ে...
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়ে অনেক মজা লাগলো। একদিনেই পড়ে শেষ করা যাবে। মজার টুইস্ট আছে শেষে 🫡😘
Was this review helpful to you?
or
আখলাক সাহেব, তিনি অংকের শিক্ষক। বয়স বায়ান্ন হল, এখনো বিয়েথা করেননি। তিনকূলে আছে এক বোন, আর তার বাসায় সপ্তাহে একবার করে যান। গেলেই মেয়েটা তার বিয়ে দেবার জন্য বড্ড চাপাচাপি করে। বিরক্ত হন আখলাক সাহেব। এই লোকের বাড়িতেই কিনা হানা দিলো ভূত। যে সে ভূত নয়, একদম লেখক ভূত! তার লেখার বিষয় মানুষ, মানব সমাজ ইত্যাদি। ভূত তাকে জার্মান ভাষায় শুভরাত্রি জানিয়ে বিদায় নিলো প্রথম রাতে। আর তার পর থেকেই সমস্যা শুরু। একমুখ দুইমুখ করে চাওর হয়ে গেল ভুতের গল্প, সবাই ক্রমশ সন্দেহ করে চলল তার মানসিক ভারসাম্য সম্পর্কে! ওদিকে ভূত প্রায় রাতেই আসে, আর উদ্ভট আইডিয়া তার মাথায় ঢুকিয়ে চলে যায়। তার সেসব কথা যথেষ্ট যৌক্তিক লাগে বলাই বাহুল্য। গল্পটি বেশ ছিমাছাম, চমৎকার। মোটামুটি শিশুতোষ পাঠকদের জন্য লেখা হলেও পড়তে কারোই খারাপ লাগেনি। গল্পে রয়েছে স্বতঃস্ফূর্ত হিউমার আর দারুণ সব আইডিয়ার সমাবেশ, যা সামান্য হলেও বিভ্রান্ত করেছে, কিন্তু মজাও পেয়েছি।




