
User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
অতীতের গল্প শুনতে কার না ভালো লাগে। ছোট এই বইটিতে সেই পুরাতন দিনের ভারতের এক বন জঙ্গলে ঘেরা এলাকা এবং এলাকাবাসীর গল্প সত্যিই উপভোগ্য ছিলো।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত ছিল বিধায় 'পালামৌ' গ্রন্থটি প্রথমবার পড়ার সুযোগ হয়েছিল।এবং কৌতুহলবশত দ্বিতীয়বার পড়ে শেষ করলাম। 'পালামৌ' বাংলাসাহিত্যের একটি সার্থক ভ্রমণকাহিনী।ভ্রমণকাহিনী বলা হলেও রচনাটিতে লেখক ব্যক্তিগত জীবন উপলব্ধির আলোকে ভাষ্য রচনা করছেন ফলে দার্শনিকতা লক্ষণীয়। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ''সঞ্জীবচন্দ্র"(পালামৌ) একটি প্রবন্ধে এই বইটির উজ্জ্বল ও ব্যর্থ দুটি দিকই সমান সহানুভূতিতে বর্ণনা করছেনে।রবীন্দ্রনাথ তাঁর প্রবন্ধে সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে বলেছেন: "সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিভা পূর্বোক্ত শ্রেণীর।তাঁহার রচনা হইতে অনুভব করা যায় তাঁহার প্রতিভার অভাব ছিল না,কিন্তু সেই প্রতিভাকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করিয়া যাইতে পারেন নাই।তাঁহার হাতের কাজ দেখিলে মনে হয়,তিনি যতটা কাজে দেখাইয়াছেন তাঁহার সাধ্য তদপেক্ষা অধিক ছিল" এছাড়াও রবীন্দ্রনাথের রচিত প্রবন্ধে পালামৌ সম্পর্কিত বিষয়াবলী এই বইয়ের ভূমিকাতে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পালামৌ ভ্রমণকাহিনীটি সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বৃদ্ধ বয়সে লেখা।তিঁনি এই গ্রন্থে প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনার পাশাপাশি অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য ব্যবহার করেছেন।বিশেষ করে কোল জাতিদের জীবনদর্শন,ভাষা,কোল নারীদের বর্ণনা উল্লেখ্যযোগ্য।বইটি পাঠকালে সবচেয়ে মজার লেগেছে,কোলদের বিবাহপ্রথা।তাদের বিবাহকে একধরনের কন্যা-হরণ বলা চলে।কোলদের উৎসব সর্বাপেক্ষা বিবাহে।পালামৌ রচনায় লেখকের বিভিন্ন উপমায় রম্যের ব্যবহার,রসবোধ তৃপ্তি জোগায়।পরিশেষে বলা চলে,লেখকের বর্ণনা প্রতিভা যেকোনো পাঠকহৃদয়ে সাড়া জাগাবে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি উক্তি: ★'বন্যেরা বনে সুন্দর,শিশুরা মাতৃক্রোড়ে' ★'গল্প করা বৃদ্ধ বয়সের রোগ,কেহ শুনুন বা না-শুনুন,বৃদ্ধ গল্প করে' ★'নিত্যমুহূর্তে এক-একখানি নূতন পট আমাদের অন্তরে ফোটোগ্রাফ হইতেছে এবং তথায় তাহা থাকিয়া যাইতেছে।আমাদের চতুঃপার্শ্বে যাহা কিছু আছে,যাহা কিছু আমরা ভালোবাসি,তাহা সমুদয় অবিকল সেই পটে থাকিতেছে"। ব্যক্তিগত রেটিং: ৪.৮৮/৫ বই: পালামৌ লেখক: সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রকাশনী: বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পৃষ্ঠা: ৩৮ মুদ্রিত মূল্য: ৬০ টাকা মাত্র #নয়টাচার #সাতএকদুইহাজারবিশ
Was this review helpful to you?
or
ভ্রমণ বিষয়ক বই খুব কম পড়া হয়েছে। তাই ভ্রমণ বইয়ের বিচার করার অভিজ্ঞতা আমার নেই। তারপরেও বলব এত সহজ ভাষায় বইটি পড়তে ভালই লেগেছে। লেখকের এর সাবলীল বর্ণনা পড়ে মনে হয়েছে যেন কোন প্রিয় বন্ধুর সাথে আলাপচারিতা, কোন বাহুল্য নাই, কোন দ্বিধা নেই। আফসোস একটাই, বইটি একটু বেশিই ছোট। আরো দীর্ঘ হলে তৃপ্তিটা বাড়ত।
Was this review helpful to you?
or
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঠ চক্র থেকে আমাদের পড়তে দিয়েছে সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বই "পালামৌ"। প্রথমে ভেবেছিলাম এটা নিছক ভ্রমন কাহিনী। কিন্তু শেষ করার পর বুঝলাম শুধু ভ্রমন কাহিনীও নয়, এখানে ফুটে উঠেছে "কোল" দের জীবনযাত্রা। সেই জীবনযাত্রার মধ্যে দিয়ে তাদের সংস্কৃতি, তাদের সমাজ, তাদের অর্থনীতি। অর্থনীতির করুণ রুপটা আমরা পাই মহাজনদের পিশাচ সুলভ ঋণ সিস্টেমে। কোল রা দরিদ্র হয়েও বিয়ের জন্যে ধুম ধাম করতে চায়, এরই কারনে তারা পা দেয় মহাজনদের ঋণের ফাঁদে। যার খেরারত দিতে হয় আজীবন, কেউ কেউ আবার পালিয়েও যায়। যারা পালাতে পারেনা, তাদের জীবন হয় দুর্বিসহ। পালামৌতে কখনও প্রকৃতির বর্ননা, কখনও শিকাড় কাহিনীর মতো বাঘ শিকাড়ের সঙ্গি হওয়া। ছোট্ট একটি বই, মাত্র ৩১ পৃষ্ঠাতে কি বিশালতা। আমি বিস্মিত। তাজুল ইসলাম মাসুদ, ফাউন্ডার, বিক্রি বাড়ুক ডটকম
Was this review helpful to you?
or
বইঃপালামৌ লেখকঃসঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ধরণঃভ্রমনকাহিনী প্রকাশনীঃমাটিগন্ধা ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৯/১০ বাংলা সহিত্যের প্রথম সার্থক ভ্রমণকাহিনী এই বইয়ের লেখক হচ্ছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অগ্রজ।যিনি সরকারি চাকরিসূত্রে রাঁচি'র একটি পরগণা “পালামৌ”ভ্রমণের সুযোগ পান। পাহাড়,জঙ্গল,বাঘ এই লইয়াই পালামৌ।তবে এখানে যে মনুষ্যপদচিহ্ন নাই একথা বলিলে ভ্রান্তি হইবে বৈকি।কারণ এখানে বাস করে “কোল”নাম্নী বন্য,খর্বকায় এক বিশেষ জাতি,লেখক যাদেরকে কখনও আবলুস কাঠ(কালো রঙের কাঠ)আবার কখনও বা পাথরের সাথে তুলনা করেছেন।তবে তাদের মাঝে সৌন্দর্যের কোন কমতি নেই বিশেষকরে কোল-নারী(তবে হ্যাঁ,নারী মাত্রই সৌন্দর্যের প্রতিমূর্তি),স্ব-স্ব অবস্থানে তারা স্বকীয়। কোল সংসারে নরীরা প্রধান,এরা বাইরের সকল কাজ করে থাকে তজ্জন্য এদের যৌবন-সূর্য ধীরে-ধীরে অস্ত যার আর পুরুষেরা ঘর সামলায়,বাচ্ছা দেখাশোনা করে আর সুযোগ পেলেই আলসেমি করে থাকে এজন্য এরা দ্রুতই বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়ে।লেখক ঘুরেফিরে এই জাতির সংস্কৃতি,সামাজিকতা,উৎসব,জীবনধারা বেশ নিপুণতার সহিত ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রকৃতিতে বসবাসকারী সকল সত্তার-ই একটা স্বতন্ত্র স্থান আছে যেখানে সে ব্যতিরেকে অন্য সকলকে খাপছাড়া লাগে।।কোন নির্দিষ্ট স্থানে ঐ নির্দিষ্ট সত্তাই মানানসই। শেষ করব লেখকের কোলজাতি কে নিয়ে করা একটা বিখ্যাত উক্তি দিয়ে-“বন্যেরা বনে সুন্দর;শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।” হ্যাপি রিডিং
Was this review helpful to you?
or
আজ পড়লাম সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ভ্রমণ কাহিনী "পালামৌ"। ৩৪ পৃষ্ঠার ছোট্ট একটা বইতে লেখক তার অসাধারণ প্রতিভার সুন্দর প্রকাশ ঘটিয়েছেন। চমৎকার বর্ণনায় একেবারে মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়ে গেছি বইটা একটানা। লেখক বইতে পালামৌ বনাঞ্চলের সৌর্ন্দয বর্ণনার পাশপাশি তার গভীর অবলোকন শক্তির দ্বারা কিছু সামাজিক চিত্র আলোচনা, ব্যাখ্যা করেছেন। বিভিন্ন জাতির বিলুপ্তি, পাহাড়িদের বিবাহ প্রথা, তাদের উপর শোষন নিপিড়নের কথা উঠে এসেছে আলোচনায়। এমনকি এক পাহাড়ি নববধূর মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণেও লেখকের চমৎকার চিন্তাভাবনা পরিচয় বহন করে। এতো দিন কেনো বইটা পড়া হয়নি বলে একটু আফসোস হচ্ছে। নতুন বছরটা শুরু হলো চমৎকার এই বইটা দিয়ে। আমার এবছরের প্রথম পড়া বই "পালামৌ"।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সফল ভ্রমণ কাহিনী পালামৌ। লেখক সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়; বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অগ্রজ। এই রচনায় ফুটে উঠেছে সরকারী এক কর্মকর্তার চাকরী সূত্রে ভারতের একটি পরগনায় ভ্রমণের গল্প, সেই এলাকার মাটির গল্প, ঐ এলাকার আদিবাসীদের গল্প! পত্রিকায় পড়ে ধারণা ছিল পালামৌ যেমন তেমন শহর না হয়ে পারেই না। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে বহাল হয়ে সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ভ্রম কাটলো রাঁচি থেকে পালকি বাহকদের দেখানো প্রথম পালামৌ দর্শনে, শুধুই জঙ্গল আর জঙ্গল। পালামৌ পৌঁছে আরেকবার ধারণা ভুল প্রমাণ হল! গহীন সেই অরণ্য মোটেও জনবিরল নয়। সেখানে “কোল” নামে পরিচিত বন্য, খাটো, কালো বর্ণের সম্প্রদায়ের মানুষগুলো কালো পাথুরে পটভূমিতে আপন খেয়ালে উন্মেলিত। প্রকৃতির এই সান্নিধ্যেই তাঁর কলমের আঁচড়ে রচিত হয় একটি মূল্যবান উক্তি - "বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরে মাতৃক্রোড়ে"! কৌতুহলী, উদ্যমী, পরিশ্রমী, সংসারের প্রধানা নারীরাই কোল জাতির চালিকা শক্তি! সেখানে পুরুষরা ঘর সামলায়, বাচ্চাদের দেখাশুনা করে, সুযোগ পেলেই আলসেমি করে। ফলস্বরূপ পুরুষরা সময়ের আগেই বয়সের ভারে ন্যুজ্ব হয়ে পড়ে আর মহিলারা হয়ে থাকে যৌবনের প্রতিমূর্তি। সেখানে মাদলের বাদ্যে যুবতীর দেহে কোলাহল পড়ে, তাদের গানের “ধুয়া” পাহাড়ের গায়ে গিয়ে লাগে। সেই জঙ্গলেও চোখে চোখে কথা হয়, হৃদয় হরণ হয়, ভালোবাসা পরিণতি পায়। প্রণয়ের সেই খেলা গড়ায় দুই পরিবারের মধ্যেকার মারামারি, কাটাকাটি, গালাগালিতে। মিছামিছি সেই কোন্দলের সমাপ্তি বিশাল ভোজ সভায় । এই বিয়ে উপলক্ষ্যেই কারো কারো কপালে জোটে কর্জ নামক এক বিশাল বোঝা! ভয়াবহ সেই পরিণাম লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন নিপুণতার সাথে! পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ প্র.না.ব. ছদ্মনামের আড়ালে “পালামৌ” লেখার শুরুতেই সঞ্জিবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একটা বিষয় খোলাসা করে নেন যে, পালামৌ এর স্মৃতিকথা অন্যদের বিশেষ করে যুবকদের ভালো লাগবে তার নিশ্চয়তা নেই। এ শুধুই বিনম্র ভদ্রতা মাত্র! তার লেখা কোন সময়ে বা বয়সে বাঁধা নেই! সাধু ভাষায় লেখা এবং ভাষার কাঠিন্য এখনকার সাহিত্যের সাথে দাঁত কষাকষি করলেও একবার এর রস পেতেই আমি আবেগে তাড়িত তাঁর লেখার প্রেমে। এর বেশি বলা আমার পক্ষে সাজে না। সঞ্জিবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সমালোচনা করবো এমন পাগলামি আমায় পায় নি। স্বয়ং কবি গুরু যা বলার বলে দিয়েছেন অনেক আগেই – “তিনি যতটা কাজে দেখাইছেন তাঁহার সাধ্য তদপেক্ষা অধিক ছিল...সঞ্জীবের প্রতিভা ধনী, কিন্তু গৃহিণী নহে”। তারপরেও পাগলামি করেই ফেলি একটু আধটু। পাঠক হিসেবে আমি তাঁকে দেখেছি এক মুগ্ধ দর্শকের বেশে যিনি প্রকৃতির রূপে মোহিত, হতবাক, উদ্বেলিত। পাহাড়ের প্রেমে তিনি একা পড়েন নি, তাঁর পশ্চাতে তাঁর অনুগামী অজস্র। স্বল্প পরিসরে একটি জাতির সংস্কৃতি, উৎসব, সামাজিকতা, জীবন ধারা ফুটিয়ে তোলা চাট্টিখানি কথা না। এই মুন্সিয়ানা সঞ্জীবচন্দ্রকেই মানায় । সেই জাতির সুখ-আনন্দ যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন দক্ষতার সাথে, একই পারদর্শিতা দেখিয়েছেন তাদের দুঃখ ভরা জীবনের অব্যক্ত কথা মালা সাজিয়ে। সেই মানুষগুলির জীবনে এখনো যে আদিম সুর সুরলিত হয়; সেই সুরে আমি বুঁদ হয়ে থাকি! সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পালামৌ থেকে শুধুমাত্র এই গোষ্ঠির পরিচয় পাওয়াই একটি সর্বোৎকৃষ্ট প্রাপ্তি। “বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে” কি বুঝাতে চেয়েছেন লেখক এর মধ্য দিয়ে? প্রকৃতিতে সবারই একটা নির্দিষ্ট স্থান আছে, যার ভিন্ন রূপ প্রকৃতি মেনে নেয় না। সবারই জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিবেশ রয়েছে, সেই পরিবেশের বাইরে সে বেমানান। ঠিক তেমনি এই জগতের সবার জন্যই কিছু দ্বায়িত্ব-কর্তব্য বা কাজ যাই বলি না কেন তা আছে। কেউ যখন তার গন্ডি থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে তার প্রভাব সবখানেই দেখা যায়। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত নিজ অবস্থান থেকে নিজ দ্বায়িত্বে সচেতন হওয়া এবং প্রকৃতির ভারসাম্যকে সমুন্নত রাখা। প্রকৃতির মাঝে গিয়েম প্রকৃতির সাথে মিশে লেখকের যে জ্ঞান হয়েছে তা ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে। প্রভাবিত করেছেন বহু পাঠককে। বলিষ্ঠ লেখনীর অধিকারী আপোষ করেন নি কখনো। বৃটিশ রাজের সেবা করলেও অন্যান্য সাহেব কর্মচারিদের সাথে বনিবনা ঠিক হয় নি কখনো সঞ্জিবচন্দ্রের। তা তাঁর কর্মজীবনের দিকে চোখ বুলালেই বোঝা যায়। তাঁর লেখায় সেটার প্রতিফলন করতেও কুন্ঠাবোধ করেন নি কখনো। পালামৌ ভ্রমণ কাহিনীতেও তাঁর ছোঁয়া পাওয়া যায়। বিশেষত বইয়ের শেষ বাক্যে – “আমাদের দেশি মদ একবার বিলাতে পাঠাইতে পারিলে জন্ম সার্থক হয়, অনেক অন্তরজ্বালা নিবারণ হয়”।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ : পালামৌ
Was this review helpful to you?
or
উনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম সেরা লেখক সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপধ্যায় এর ভ্রমন কাহিনি নিয়ে লেখা “পালামৌ” বইটি।লেখক তার সুনিপুণ লেখনির দ্বারা ভারতের পালামৌ জায়গাটির বর্ণনা এতই সুন্দর করেছেন সত্যিই প্রশংসনীয়।পাহাড়ী ঐ এলাকায় একাকীত্বের বসবাস দুঃসহ মনে হওয়ায় যদিও তিনি ফিরে আসেন ওখান থেকে কিন্তু খারাপ লাগাটার পরিবর্তে আশপাশ ঘেরা সৌন্দর্যতাই এসেছে তার লেখায়। গল্পটা তিনি লিখেছেন পালামৌ ছেড়ে আসার অনেক পরে, তাই খানিকটা স্মৃতিতর্পন জাতীয় লেখা।পাহাড় নিয়ে নানান ঢঙের নানান বর্ননা পুরো বই জুড়ে। “পালামৌ পরগনায় পাহাড় অসংখ্য, পাহাড়ের পর পাহাড়, তাহার পর পাহাড়, আবার পাহাড়। যেন বিচলিত নদীর সংখ্যাতীত তরঙ।” তিনি পালামৌ এর সুন্দর প্রাকিতিক চোখ ধাঁধানো পরিবেশ এর বর্ণনা এই বইটিতে করেছেন।পালামৌ’র এলাকাবাসীর সাথে লেখক নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা খুবই কম উল্লেখ করেছেনতবে বইয়ের প্রতিটা অংশেই লেখক নিজের কিছু দারুন ভাবনা তুলে ধরেছেন, বাঘ শিকারও বাদ যায়নি তা থেকে। .বইটা পড়তে যখনই মজা লাগার পরিমান বাড়তে লাগে তখনই যেন ঝুপ করেই শেষ হয়ে গেলো লেখকের গল্পের ঝাপিঁ।মনে হয়েছে বইটি অনেক সংক্ষিপ্ত আকার হয়ে গেছে। পালামৌ নিয়ে গল্পের জন্যে একটা অতৃপ্তি লাগলেও বইটা পড়ার পর অনেক ভাল লাগে।যদিও এই ভ্রমণ কাহিনী যতটা না ভ্রমণ কাহিনী, তার চেয়ে মানবিক উপাখ্যানের গল্প হিসেবেই মনে হয়েছে।ভ্রমন পিয়াসুরা এই বইটি পড়ে অনেক মজা পাবেন।পাঠকদের ভাল লাগা বাড়িয়ে দেওয়ার মত বই এটি।




