কাশ্মীর হল ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর পশ্চিমের একটি অঞ্চল। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত কাশ্মীর শব্দটি ভৌগোলিকভাবে শুধু হিমালয় পর্বতমালা এবং পীর পঞ্জল পর্বতমালার উপত্যকাকে নির্দেশ করা হতো। আজ কাশ্মীর বলতে বোঝায় একটি বিশাল অঞ্চল যা ভারতীয়-কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ । আর অন্যদিকে পাকিস্তানি-শাসিত গিলগিত-বালতিস্তান ও আজাদ কাশ্মীর প্রদেশ এবং চীন-শাসিত আকসাই চীন ও ট্রান্স-কারাকোরাম ট্রাক্ট অঞ্চলসমূহ নিয়ে গঠিত।
রণবীর সিং-এর নাতি হরি সিং, ১৯২৫ সালে কাশ্মীরের সিংহাসনে আরোহণ করেন, তিনি ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশের ব্রিটিশ শাসনের সমাপ্তি এবং পরবর্তীতে সদ্য স্বাধীন ভারত ও পাকিস্তানে বিভক্ত হওয়ার পরও শাসক ছিলেন। বার্টন স্টেইনের হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া অনুসারে,
কাশ্মীর হায়দ্রাবাদের মত বড় বা পুরাতন স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল না। ১৮৪৬ সালে শিখদের প্রথম পরাজয়ের পর ব্রিটিশদের পক্ষ থেকে একজন প্রাক্তন শাসক পরিবারকে রাজকীয় সম্মান সরূপ রাজ্য পুণঃবিন্যাস্ত করে এটি তৈরি করা হয়েছিল। হিমালয়ের পাদদেশের রাজ্যটি পাঞ্জাবের একটি জেলার মাধ্যমে ভারতের সাথে সংযুক্ত ছিল, কিন্তু এর জনসংখ্যা ছিল ৭৭ শতাংশ মুসলিম এবং এটি পাকিস্তানের সাথে একটি সীমানা সংযোগ ছিল। এই কারণে এটি অনুমান করা হয়েছিল যে ১৪-১৫ আগস্টে ব্রিটিশ শাসন শেষ হলে মহারাজা পাকিস্তানে যোগ দেবেন। যখন তিনি এটি করতে ইতস্তত করেন, তখন পাকিস্তান তার শাসককে বশ্যতা স্বীকার করতে ভয় দেখানোর জন্য গেরিলা আক্রমণ শুরু করে। পরিবর্তে মহারাজা মাউন্টব্যাটেনের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন এবং গভর্নর-জেনারেল এই শর্তে সম্মত হন যে শাসক ভারতে যোগদান করবেন। ভারতীয় সৈন্যরা কাশ্মীরে প্রবেশ করে এবং রাজ্যের একটি ছোট অংশ ব্যতীত অন্য সব জায়গা থেকে পাকিস্তানি মদদপুষ্ট অনিয়মকারীদের তাড়িয়ে দেয়। এরপর জাতিসংঘকে আমন্ত্রণ জানানো হয় মধ্যস্থতা করার জন্য। জাতিসংঘ মিশন জোর দিয়েছিল যে কাশ্মীরিদের মতামত নিশ্চিত করতে হবে, অন্যদিকে ভারত জোর দিয়েছিল যে সমস্ত রাজ্য অনিয়মমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনও গণভোট ঘটতে পারে না।
দাদা মৌলভী ছালামত উল্লাহর একান্ত প্রিয় নাতি ছিলেন। ইসলামী ব্যক্তিত্বের জীবনী, নবী রাসূল দের জীবন কাহিনী ও ধর্মীয় উপদেশমূলক গল্প কাহিনী দাদা যেমন বলতেন, তেমনি দাদি সুফিয়া খাতুন সন্ধ্যার গল্প আসরে ও এসব বলতেন, যা লেখকের শিশু মনে যথেষ্ট রেখাপাত করেছিল। বাবা নূর মোহাম্মদ শফিকুল আলমের কঠোর অনুশাসন, এবং মা রেজিয়া খাতুনের পক্ষ থেকে পড়ালেখার জন্য অত্যাধিক চাপ, সবসময় বিদ্যা অনুশীলনের দিকে, জীবনের সময়টাকে ধাবিত করেছে। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি সকল ধরনের বই পড়ায় ছোটবেলা থেকেই আগ্রহী ছিল। বিশ্ব সাহিত্যের ক্লাসিক উপন্যাস গুলো স্কুল জীবনেই পড়া শেষ করেছিলেন। নিজস্ব, সমৃদ্ধ একটি লাইব্রেরী ও গড়ে তুলেছেন নিজের ঘরে। ৮৬ সনে ঢাকা সিটি কলেজে পড়ার সময় থেকেই, ঢাকার প্রায় জাতীয় দৈনিকে বিভিন্ন লেখা ছাপা হয়। গল্প লিখে সে সময় সম্মানি পেতেন, পত্রিকাগুলো থেকে। পত্রিকায় ছাপা হওয়া, সাহিত্যের সব শাখা মিলে, লেখার সংখ্যা প্রায় হাজারের কাছাকাছি। শিশু কালে দাদা মৌলভী ছালামত উল্লাহর দ্বীনি সংস্পর্শ, অসংখ্য দ্বীনদার আলেম, মুফতি, মুহাদ্দেসের দ্বীনি সহচর্য, লেখনি চেতনায় নতুন মাত্রা যোগ করে। সেই থেকে ধর্মীয় বিষয়ে লেখা, মানুষ ও মানবতার উপকারে, সমাজের উপকারে, লেখালেখি করা প্রতিপাদ্য বিষয় হয়ে ওঠে, লেখকের জীবনে। তিনি কোমার ডগা, তিন নাম্বার ওয়ার্ড, লাকসাম, কুমিল্লা এর অধিবাসী। ইসলামী বিষয় নিয়ে গবেষণা করা, ইসলামী লেখা লিখতে নিজেকে সচেষ্ট রাখা, মানুষ ও মানবতার এবং সমাজের উপকারে ভালো লিখে, মহান আল্লাহকে খুশি করার চেষ্টায় ব্যতিব্যস্ত রয়েছেন। ইহকাল ও পরকালে মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা রহমত পাবার ইচ্ছায়,আমৃত্যু ইসলামের খেদমত করার প্রত্যয়ে, এখনো কলম চালিয়ে যাচ্ছেন।